উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
যদি তিনবারের বেশিও পানি ঢালা প্রয়োজন হয় তাহলে পাঁচবার পানি ঢালা যেতে পারে। যদি পাঁচবারের বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে সাতবার পানি ঢালবে। অর্থাৎ বেজোড় সংখ্যায় শেষ করবে।
[শাইখ বিন বায (রহ:) এর নুরুন আলাদ দারব ফতোয়াসমগ্র থেকে কিঞ্চিত সংক্ষেপিত]
আলহামদুলিল্লাহ।
গোসলের শরিয়তসম্মত পদ্ধতি হচ্ছে- প্রথমে ইসতেনজা করাবে। অর্থাৎ মৃতব্যক্তির পেশাব বা পায়খানা জাতীয় কিছু বের হলে গোসলদানকারী হাতে একটি নেকড়া বেঁধে নিয়ে মৃতব্যক্তির পায়খানা ও পেশাবের স্থানদ্বয় ধুয়ে পরিস্কার করবে। নাভি ও হাঁটুর মাঝখানের স্থান ঢেকে নিয়ে পানি ঢালবে।
তারপর ওজু করাবে। মুখ ও নাক পানি দিয়ে মুছে দিবে। চেহারা ও হাতদ্বয় ধুয়ে দিবে। মাথা ও কানদ্বয় মাসেহ করাবে। পা দুটো ধুয়ে দিবে। এরপর বরইপাতা মিশ্রিত পানি তার মাথার উপর ঢালবে। এরপর তার ডান পার্শ্বে পানি ঢালবে। তারপর বাম পার্শ্বে পানি ঢালবে। এরপর সারা শরীরে পানি ঢালবে। শেষবার পানির সাথে কর্পুর দিবে। কর্পুর একজাতীয় সুগন্ধি; যা সবাই চিনে। কর্পুর শরীরকে ভাল রাখে এবং সুগন্ধি ছড়ায়।
এটি গোসলের উত্তম পদ্ধতি। তবে যেভাবেই গোসল করানো হোক না কেন সেটা জায়েয। গুরুত্বপূর্ণ হলো-মৃতব্যক্তির সারা শরীরে পানি পৌঁছানো ও নাপাকি দূর করা।
তবে উত্তম হলো- ইসতেনজা করানোর মাধ্যমে শুরু করা। এরপর ওজু করানো। এরপর বরই পাতার পানি দিয়ে তিনবার পানি ঢালা। এরপর সারা শরীরে তিনবার পানি ঢালা। প্রথমে ডান পাশে। তারপর বাম পাশে। তিনবার পানি ঢালবে।যদি তিনবারের বেশিও পানি ঢালা প্রয়োজন হয় তাহলে পাঁচবার পানি ঢালা যেতে পারে। যদি পাঁচবারের বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে সাতবার পানি ঢালবে। অর্থাৎ বেজোড় সংখ্যায় শেষ করবে।
এটি উত্তম। যদি একবার বা দুইবার গোসল করায় সেটাও জায়েয হবে। তবে উত্তম হচ্ছে- তিনবার। প্রয়োজন হলে পাঁচবার, আরও বেশি প্রয়োজন হলে সাতবার।
[শাইখ বিন বায (রহ:) এর নুরুন আলাদ দারব ফতোয়াসমগ্র থেকে কিঞ্চিত সংক্ষেপিত]
Post a Comment