বিশ্বাস হবে কেমন ?


ইমাম আ'যম আবু হানিফা (রহঃ) বলেনঃ

"প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ও জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির জন্ ওয়াজিব যে সে বলবে- 'আমি ঈমান আনলাম আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলদের ওপর, মৃত্যুর পর জীবিত হওয়ায়, অদৃষ্টের ওপর যার ভাল-মন্দ সবই আল্লাহর তরফ থেকে, হিসাব, মীযান, বেহেশত ও দোযখের উপর, এ সবই সত্য।"

প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ও জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির উপর অবশ্য কর্তব্য যে, সে সজ্ঞানে নিজের মুখে, মনে প্রাণে ঈমানের বাক্য উচ্চারণ করবে।

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার অর্থঃ মনে প্রাণে আল্লাহর সত্ত্বা ও বিদ্যমানতায় বিশ্বাস করা, তাঁর পবিত্রতায় বিশ্বাস করা, তাঁর সত্ত্বার একত্বতায় বিশ্বাস করা, তার সিফাত সমূহে বিশ্বাস করা।

ফিরিশতাদের প্রতি ঈমান আনার অর্থঃ তাঁরা আল্লাহর সম্মানিত বান্দা, আল্লাহর নির্দেশে তাঁরা কাজ করে, কোন কিছুই তাঁর নির্দেশের বাইরে করে না, তাঁরা নিষ্পাপ, কখনো আল্লাহর অবাধ্যতা করে না, তাঁরা নরও নয়, নারীও নয়, তাঁরা যে কোন আকার ধারণ করতে পারেন।

কিতাবের প্রতি ঈমান আনার অর্থঃ আল্লাহর তরফ হতে এসব কিতাব নাযিল হয়েছে, যেমন- তওরাত, যাবুর, ইনজিল ও আল-কুরআন এবং এছাড়া অন্যান্য অগণিত সহীফা, যার সংখ্যা জানা নেই।

রাসূলদের প্রতি ঈমান আনার অর্থঃ আল্লাহর প্রেরিত সকল আম্বিয়ার প্রতি ঈমান রাখা। এখানে রাসূল শব্দটি নবী ও রাসূল উভয় অর্থে ব্যবহৃত।

মৃত্যুর পর জীবিত হওয়ার প্রতি ঈমান আনার অর্থঃ দ্বীনের জরুরী বিষয়সমূহের মধ্যে হাশরের প্রতি ঈমান অন্যতম এবং তা অস্বীকার করা কুফরী। এখানে মৃত্যুর পরের কবরের অবস্থান থেকে হাশরে সমবেত হওয়া ও জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারণ পর্যন্ত বুঝানো হয়েছে।

অদৃষ্টে ঈমান আনা অর্থঃ আল্লাহর হুকুমে সবকিছু সংঘটিত হয়। এর ভাল-মন্দ সংঘটিত হবার স্হান-কাল, এর উপর বর্তিত ছাওয়াব ও আযাব সবকিছুই আল্লাহর তরফ থেকে।


সূত্রঃ আল-ফিকহুল আকবর
-ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)

Post a Comment

أحدث أقدم