যে মৃত্যুর কথা, কবরের কথা স্মরণ করে কাঁদতে কাঁদতে সালফে সালেহীনরা দাড়ি ভিজিয়ে ফেলতেন, সাহাবারা বেহুঁশ হয়ে পড়তেন; সেই মৃত্যুকে কমনীয় করে সাজাতে সাহিত্যিকদের যে আয়োজন, তার আউটপুট একটাই- আল্লাহ্র স্মরণ দূরে সরিয়ে ফেলা। তরুণরা শাহাদাতের মৃত্যুর স্বপ্ন দেখবে না, দেখবে ‘চান্নি পসর রাইতে’ মরণের। যেন জ্যোৎস্না রাতে মৃত্যুর ফিরিশতা সহজে জান কবজ করে। হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ানো যে যুবকটিকে হুমায়ূন আহমেদ হিরোরূপে দেখিয়েছেন, সে আপাদমস্তক অথর্ব; দিনের পর দিন গায়ে পানি না লাগানো অপবিত্র শরীরের একটা অপদার্থ, যে বাস্তবে থাকলে গায়ের গন্ধেই টেকা মুশকিল হত। মেয়েরা চাইবে ‘রূপা’ আর বাকের ভাইয়ের ‘মুনা’ হতে; মারইয়াম থাকবে অপরিচিত, ‘মারিয়া’ বললে ঠিক আছে, পাঁচ পদ্মের নায়িকা বলে কথা! আর যুবকেরা তাদের প্রাণশক্তি দিয়ে আসবে হাঁ করে চাঁদের আলো খেতে থেকে, আর রাতের অন্ধকারে জৈবিক মিলন ঘটিয়ে প্রেয়সীর অধিকার আদায় করে; যেমনটা জাফর ইকবাল বলেছিল-“হুমায়ূনের গল্প পড়ে তরুণ-তরুনীরা অবলীলায় প্রেমে পড়তে শিখেছে”।
রবীন্দ্রনাথের গল্প পড়ে মুক্তি খোঁজা মানুষেরা কোনদিন জানবে না মুক্তির এক মহাগ্রন্থ তাদের সামনে পড়ে আছে। ভাবালুতায় ডুবে যাওয়া তরুণেরা তাঁকে চিনবে না তাদেরই মুক্তির জন্য যিনি রক্ত ঝরিয়ে গেছেন। সুনীল-সমরেশের ভক্তরা বুঝবে না মুশরিকদের জীবনবোধ থেকে আমাদের নেবার কিছু নেই, আমরাই গোটা পৃথিবীকে আদর্শ আর জীবনাচরণ শেখাতে এসেছি।
কদিন আগে অপ্রয়োজনীয় জ্ঞান থেকে বেঁচে থাকা বিষয়ে আমার একটা লেখায় একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইসলামী বইয়ের পাশাপাশি সুনীল-সমরেশদের বই পড়লে কোন সমস্যা আছে কি না। এককালে আমিও ভাবতাম সমস্যা নেই। এখন বুঝি কেন আছে। খেয়াল করলে দেখি কোন স্কলার অব ইসলামের বুকশেলফে এই জাতীয় সাহিত্য স্থান পায় না। কেন পায় না, সেটা ওপরে আলোচনা করেছি।
দুটো সাংঘর্ষিক আদর্শ নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। একটা নিলে আরেকটাকে ছুঁড়ে ফেলতে হয়। আমরা যারা ইসলামকে একমাত্র জীবনবিধান হিসেবে মেনে নিয়েছি, আল্লাহ্কে একমাত্র ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছি, তারা রবিন্দ্র-সমরেশ-হুমায়ূনদের চিন্তাধারাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি আস্তাকুঁড়ে। তাই তাদের আদর্শ, তাদের চিন্তাধারা, তাদের জীবনবোধের স্থান আমাদের হৃদয়ে নেই। যখন ইসলামের চশমা লাগিয়ে এসব সাহিত্যিকদের লেখা পড়ব, তখন বলব এর শতকরা পঁচানব্বই ভাগ রাবিশ, টোট্যালি রাবিশ। অতবড় লেখকদের সমালোচনার যোগ্যতা আমি রাখি কি না? অবশ্যই রাখি, কারণ আমি সমালোচনা করছি ঐ লেখকদের যিনি মালিক, তাঁর দেওয়া মানদণ্ডে।
কোন জ্ঞান আপনাকে আল্লাহ্র নিকটবর্তী না করলে দূরেই নেবে, কারণ এর মাঝামাঝি কিছু নেই। বাতিল আদর্শে বিশ্বাসী লেখকদের রচনা দ্বিতীয়টিরই সহায়ক, এতে সন্দেহ নেই। আমরা ওদের এবং ওদের আদর্শকে মাটিচাপা দিতেই এসেছি।
“মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছে যারা অর্থহীন ও অবান্তর গল্প-কাহিনী সংগ্রহ করে, যাতে সে মানুষদের অজ্ঞতার ভিত্তিতে তাদের আল্লাহ্র পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে, সে একে নিয়ে হাসিঠাট্টা ও তামাশা হিসেবেই গ্রহণ করে; তাদের জন্য অপমানজনক শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে”। [সূরা লুকমানঃ ৬]
লিখেছেন: জুবায়ের হুস্বাইন
রবীন্দ্রনাথের গল্প পড়ে মুক্তি খোঁজা মানুষেরা কোনদিন জানবে না মুক্তির এক মহাগ্রন্থ তাদের সামনে পড়ে আছে। ভাবালুতায় ডুবে যাওয়া তরুণেরা তাঁকে চিনবে না তাদেরই মুক্তির জন্য যিনি রক্ত ঝরিয়ে গেছেন। সুনীল-সমরেশের ভক্তরা বুঝবে না মুশরিকদের জীবনবোধ থেকে আমাদের নেবার কিছু নেই, আমরাই গোটা পৃথিবীকে আদর্শ আর জীবনাচরণ শেখাতে এসেছি।
কদিন আগে অপ্রয়োজনীয় জ্ঞান থেকে বেঁচে থাকা বিষয়ে আমার একটা লেখায় একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইসলামী বইয়ের পাশাপাশি সুনীল-সমরেশদের বই পড়লে কোন সমস্যা আছে কি না। এককালে আমিও ভাবতাম সমস্যা নেই। এখন বুঝি কেন আছে। খেয়াল করলে দেখি কোন স্কলার অব ইসলামের বুকশেলফে এই জাতীয় সাহিত্য স্থান পায় না। কেন পায় না, সেটা ওপরে আলোচনা করেছি।
দুটো সাংঘর্ষিক আদর্শ নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। একটা নিলে আরেকটাকে ছুঁড়ে ফেলতে হয়। আমরা যারা ইসলামকে একমাত্র জীবনবিধান হিসেবে মেনে নিয়েছি, আল্লাহ্কে একমাত্র ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছি, তারা রবিন্দ্র-সমরেশ-হুমায়ূনদের চিন্তাধারাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি আস্তাকুঁড়ে। তাই তাদের আদর্শ, তাদের চিন্তাধারা, তাদের জীবনবোধের স্থান আমাদের হৃদয়ে নেই। যখন ইসলামের চশমা লাগিয়ে এসব সাহিত্যিকদের লেখা পড়ব, তখন বলব এর শতকরা পঁচানব্বই ভাগ রাবিশ, টোট্যালি রাবিশ। অতবড় লেখকদের সমালোচনার যোগ্যতা আমি রাখি কি না? অবশ্যই রাখি, কারণ আমি সমালোচনা করছি ঐ লেখকদের যিনি মালিক, তাঁর দেওয়া মানদণ্ডে।
কোন জ্ঞান আপনাকে আল্লাহ্র নিকটবর্তী না করলে দূরেই নেবে, কারণ এর মাঝামাঝি কিছু নেই। বাতিল আদর্শে বিশ্বাসী লেখকদের রচনা দ্বিতীয়টিরই সহায়ক, এতে সন্দেহ নেই। আমরা ওদের এবং ওদের আদর্শকে মাটিচাপা দিতেই এসেছি।
“মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছে যারা অর্থহীন ও অবান্তর গল্প-কাহিনী সংগ্রহ করে, যাতে সে মানুষদের অজ্ঞতার ভিত্তিতে তাদের আল্লাহ্র পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে, সে একে নিয়ে হাসিঠাট্টা ও তামাশা হিসেবেই গ্রহণ করে; তাদের জন্য অপমানজনক শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে”। [সূরা লুকমানঃ ৬]
লিখেছেন: জুবায়ের হুস্বাইন
খুব ভালো লিখে,, জাযাকাল্লাহ, আল্লাহতায়ালা আমাদের হেদায়েত দান করুন আমিন।
ReplyDeletePost a Comment