বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পুরনের জন্য আললাহ'র উদদেশ্যে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে "সালাতুল হাজত" বলা হয়। -[ইবনু মাজাহঃ হা/১৩৮৫; সালাত অধ্যায়-২, অনুচছেদ-১৮৯।]
"সংগত কোন প্রয়োজন পুরনের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর নিকটে ছবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রাথনা করবে"। -[সুরা বাকারাহঃ আয়াত-১৫৩।]
এ জন্য শেষ বেঠকে তাশাহুদের পর সালাম ফিরানোর পূর্বে আশু প্রয়োজনের বিষয়টির কথা নিয়তের মধ্যে এনে নিচের দু'আটি পড়বেন:
اللهم ربنا اتنا في الدنيا حسنة و في الاخرة حسنة و قنا عذاب النار
“আল্লাহুম্মা রাববানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাতাও ওয়া কিনা আযা-বান্নার” ['হে আললাহ! হে আমাদের পালনকতা! আপনি আমাদেরকে দুনিয়াতে মংগল দিন ও আখিরাতে মংগল দিন এবং আমাদেরকে জাহাননামের আগুন থেকে হেফাজত করুন']। আনাস(রাঃ) বলেনঃ রাসুল(সাঃ) অধিকাংশ সময় এ দু'আটিই পড়তেন। -[বুখারি: হা/৪৫২২, ৬৩৮৯; বাকারাহ: ২/২০১; মিশকাত: হা/২৪৮৭, ৮১৩; মুসলিম।]
দু'আটি সিজদায় পড়লে বলবেঃ اللهم اتنا في الدنيا حسنة و في الاخرة حسنة و قنا عذاب النار “আল্লাহুম্মা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাতাও ওয়া কিনা আযা-বান্নার”। -[মুসলিম, মিশকাতঃ হা/৮৭৩; সালাত অধ্যায়-৪, 'রুকু' অনুচছেদ-১৩; নায়লঃ ৩/১০৯।]
হুযায়ফা(রাঃ) বলেনঃ রাসুল(সাঃ) যখন কোন সংকটে পড়তেন, তখন সালাতে রত হতেন। -[আবু দাউদঃ ১৩১৯; সালাত অধ্যায়-২, অনুচছেদ-৩১২; ছহিহুল জামেঃ হা/৪৭০৩; মিশকাতঃ ১৩১৫।]
এই বিষয়ে হযরত ইবরাহিম(আঃ) এর ঘটনা স্মরণ করা যেতে পারে। যখন তিনি অপহৃত হয়ে মিশরের লমপট বাদশাহ'র নিকট উপনিত হলেন ও অত্যাচারি বাদশাহ তার নিকট এগিয়ে গেল, তখন তিনি অজু করে সালাতে রত হয়ে আললাহ'র নিকট সাহায্য প্রাথনা করে বলেছিলেনঃ 'হে আললাহ! এই কাফেরকে তুমি আমার উপর বিজয়ি করোনা'। সংগে সংগে আললাহ তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন এবং ঐ লমপট বাদশাহ'র হাত-পা অবশ হয়ে পড়েছিল। তিন-তিন বার ব্যথ হয়ে অবশেষে বিবি সারা-কে সসম্মানে মুকতি দেয়। এবং বহু মুল্যবান উপঢৌকনাদি সহ তার খিদমতের জন্য হাজেরাকে তার সাথে ইবরাহিমের(আঃ) নিকট পাঠিয়ে দেয়। -[বুখারিঃ ২২১৭; কেনা-বেচা অধ্যায়-৩৪, অনুচছেদ-১০০; আহমাদ-৯২৩০। সনদ সহিহ।]
Post a Comment