১) উম্মতে মুহাম্মদীর প্রধান বৈশিষ্ট্য তারা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত।
২) এই উম্মতের দ্বীন সনদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত।
৩) এই উম্মত বাতিল বা বিভ্রান্তিকর বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করবে না।
৪) এই উম্মতকে জোর করে কোন পাপ করালে বা অনিচ্ছাকৃত কোন অপরাধে লিপ্ত হলে বা ভুলক্রমে কোন ফরয আমল ছুটে গেলে বা অন্তরে কোন গুনাহের উদ্রেক হলে তার গুনাহ আল্লাহ লিখবেন না।
৫) এই উম্মতকে পাপের কারণে আল্লাহ সমূলে ধ্বংস করে দিবেন না।
৬) এই উম্মত অল্প আমলে বেশি প্রতিদান পাবে। একটি আমলের বিনিময় ১০গুণ থেকে ৭০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ বা আরো বেশী করা হয়।
৭) এই উম্মতের শরীয়তের আমলগুলোকে আল্লাহ বাধামুক্ত করে সহজ করে দিয়েছেন। যেমন বনী ইসরাঈলের লোকেদের (ক) শরীরের পেশাব লাগলে সেই চামড়া কেটে ফেলে পবিত্র করতে হত। (খ) নারীর ঋতু হলে তাকে সম্পূর্ণরূপে ঘর থেকে বাইরে রাখা হতো, (গ) রোযা রাখলে পানাহারের সাথে সাথে কথাবর্তাও বন্ধ রাখতে হতো, (ঘ) অন্যায়ভাবে খুন হলে কেসাস ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় ছিল না, (এই উম্মতে কেসাসের বিধানের সাথে সাথে খুনীকে ক্ষমা করে দিয়ত গ্রহণেরও সুযোগ আছে)
৮) এই উম্মতের নবীকে আল্লাহ পাঁচটি জিনিস দিয়েছেন, যা কোন নবীকে দেননি:(১) এক মাসের দূরত্ব পথে থাকতেই কাফের আমার নাম শুনলেই ভয় পাবে, ★ দুনিয়ার সমস্ত যমীনকে তায়াম্মুমের উপযোগী ও নামাযের স্থান হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধা দেয়া হয়েছে ★ সমগ্র মানব জাতির জন্যে আমাকে সুসংবাদকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে,★ গনিমতের মালকে হালাল করা হয়েছে ★ কিয়ামত দিবসে আমাকে শাফায়াতকারী হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে।
৯) এই উম্মতকে জুমআর দিবস দান করা হয়েছে। যা সকল দিবসের মাঝে শ্রেষ্ঠ।
১০) এই উম্মতের নামাযের কাতারগুলোকে ফেরেশতাদের কাতারের ন্যায় সম্মানিত করা হয়েছে।
১১) এই উম্মত আল্লাহর জমিনে আল্লাহর সাক্ষী।
১২) এই উম্মত আখেরাতে নবীদের জন্যে সাক্ষী স্বরূপ।
১৩) এই উম্মতকে হাশরের ময়দানে ওযুর কারনে চেনা সহজ হবে। তাদের মুখমণ্ডল ও হাত-পা উজ্জল হবে।
১৪ ) এই উম্মত সবার পরে দুনিয়াতে এসে সবার আগে পুলসিরাত পার হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে।
১৫) এই উম্মত জান্নাতীদের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি হবে। জান্নাতীদের মোট কাতার হবে ১২০টি। তম্মধ্যে উম্মতে মুহাম্মদীর কাতার সংখ্যা হবে ৮০টি এবং বাকী ৪০টি অন্যান্য সকল উম্মতের জন্য।
১৬) এই উম্মতের নবীকে কুরআনুল কারীম দান করা হয়েছে। যার হেফাযতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ পাক গ্রহণ করেছেন।
১৭) একজন সম্মানিত নবী (ঈসা আলাইহিস সালাম) এই উম্মতের মধ্যে অনুসারী হিসেবে শামিল হবেন এবং এই উম্মতের একজন ইমামের পিছনে সালাত আদায় করবেন।
১৯) এই উম্মতের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে সালাম দেওয়া ও সালাতে আমীন বলা, যা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের হিংসার অন্যতম কারণ।
২০) এই উম্মতের মাঝে আল্লাহ প্রতি ১০০ বছরে একজন করে মুজাদ্দেদ বা দ্বীন সংস্কারক পাঠাবেন।
২১) এই উম্মতের কোন ব্যক্তি ‘ত্বাউন’ বা কলেরা রোগে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে।
২২) এই উম্মতকে লাইলাতুল ক্বদর দান করা হয়েছে, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
২৩) এই উম্মতকে নেয়ামত হিসেবে সালাতুল এশা দান করা হয়েছে, যা ইতিপূর্বে কোন নবীর উম্মতকে দেয়া হয় নি।
২৪) এই উম্মতের প্রতিটি জান্নাতী ব্যক্তির পরিবর্তে একজন করে কাফেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে।
২৫) এই উম্মতের ৭০ হাজার মুমিন বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর প্রত্যেক হাজারের সাথে থাকবে আরো ৭০ হাজার মুমিন।
Speaker: Abdullah Al Kafi
সুবহানাল্লাহ
ReplyDeletePost a Comment