তরুণ প্রজন্মের ইসলামের দিকে ফিরে আসার পথে তিনটি বাধা


বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ইসলামের দিকে ফিরে আসার পথে বাধাকে প্রধানত তিনটি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়ঃ

১. বিপরীত লিঙ্গ।
২. মিউজিক, মুভি, সিরিয়াল।
৩. ড্রাগস তথা নেশার বস্তু।

যারা জাহিলিয়িতে ডুবে আছে, যারা নামাজ পড়তে পারে না, যারা আল্লাহর পথে আসতে পারছে না আপনি খেয়াল করলে দেখবেন তাদের সকলেই উপরোক্ত কোন না কোনটির সাথে যুক্ত। এই তিনটির কোনোটিই নেই আবার একদম নামাজ পড়ে না এমন ব্যক্তি খুবই দূর্লভ। যে ব্যক্তি এই তিনটি বাঁধা অতিক্রম করতে পারবে তার জন্য দ্বীনের পথে আসা অনেক সহজ হয়ে যায়। এর মধ্যে একেকজনের জন্য একেকটা বড় বাঁধা। দ্বীনের পথে আসতে চাইলে এই তিনটি বাঁধা অতিক্রম করতে হবে। এখন কথা হলো এগুলোর কি হালাল রিপ্লেইসমেন্ট আছে? আলবৎ!

১. আপনি যদি বিপরীত লিঙ্গের ফিতনায় থাকেন তো ইসলাম এর সুন্দর সমাধান দিয়েছে, যা হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে আপনার চরিত্র সুরক্ষিত থাকবে। আপনি যখন একজন দ্বীনদার, নেককার মানুষকে আপনার জীবনসাথী হিসেবে পাশে পাবেন তখন দুনিয়াটা পুথিবীর বুকে এক টুকরো জান্নাত হয়ে যাবে। আপনাকে চিন্তা করতে হবে না আপনার স্বামী অফিসে কোনো কলিগের সাথে পরকিয়া করছে কিনা। আপনার ভাবতে হবে না আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার স্ত্রী অন্য কারো সাথে সম্পর্ক করছে কিনা। একটি সুন্দর, পবিত্র, নির্মল জীবন যাপন করতে পারবেন। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড থাকার চেয়ে একজন সৎ স্ত্রী বা স্বামী থাকা অনেক বড় নিয়ামত।

২. আপনার যদি মিউজিক, মুভি এসবে আসক্তি থাকে তো আপনাকে বলবো আপনি কোরআন শুনুন। কোরআনের মত অন্তর প্রশান্তকারী অন্যকিছু আপনি কখনো পাবেন না। আপনার হৃদয় জুড়িয়ে যাবে, অন্তর শীতল হবে, চোখ দিয়ে অনুতাপের অশ্রু প্রবাহিত হবে। এ আমাদের রবের কালাম! জাহিলি মিউজিক গুলো শুনে আপনার মধ্যে হয় পশুবৃত্তি আসে নতুবা আপনি হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান। মিউজিক কখনো আত্মা প্রশান্ত করতে পারেনা। আমাদের অাত্মার খোরাক হলো কোরআন।

৩. আপনার যদি নেশায় আসক্তি থাকে তো আপনার প্রতি উপদেশ থাকবে আপনি রোজা রাখুন। রোজা রাখার পর ইফতার করার যে তৃপ্তি তা আপনি অন্য কোথাও পাবেন না। সারাদিন ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত থাকার পর যখন খেঁজুরের প্রথম টুকরোটি আপনি মুখে দিবেন, যখন এক চুমুক পানি পান করবেন তখন তা আপনার কাছে অমৃত মনে হবে। ইফতারিতে কী তৃপ্তি তা কেবল একজন রোজাদারই জানেন। ওসব সিগারেট, মদ, গাঁজা, ইয়াবা আপনাকে অল্পকিছু সময় ভুলিয়ে রাখবে বড়জোর। এরপর আপনার জীবনটা হতাশায় ভরে যাবে। কিন্তু রোজা রাখার পর ইফতার করে আপনি যে আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবেন তার কোনো তুলনা নেই।

হে প্রিয় ভাই/বোন, আপনি কি জানেন একসময় আমরাও আপনাদের মত ছিলাম? জাহিলিয়াতের সব দুয়ার মাড়িয়ে অতঃপর আল্লাহর অনুগ্রহে এই পথে এসেছি। আপনি যে লাইফের স্বপ্ন দেখছেন সে লাইফকে লাথি মেরে দ্বীনদার হওয়ার চেষ্টা করছি। বিশ্বাস করুন, সে জীবনে কখনো সুখ পাইনি। অনবরত নফসের খাহেশাত পূরণের চিন্তায় নিমগ্ন থাকার যে তাড়না তাতে শান্তি থাকবে কোথায়? বস্তুত আল্লাহর গোলামি করার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সুখ। আপনাকে তৈরিই করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদাত করার জন্য। তাই যদি প্রকৃত সুখের সন্ধান পেতে চান তো আসুন, ফিরে আসুন আপনার রবের দিকে। একবার এসেই দেখুননা? ওয়াল্লাহি! আপনি আগের জীবনের জন্য কখনো আফসোস করবেন না।

[সংকলিত]

1 تعليقات

  1. মাশাল্লাহ খুব সুন্দর করে লিখেছে। খুব ভালো লাগলো। আল্লাহতায়ালা আপনাকে নেক হায়াত নসিব নসিব করুন আমিন।

    ردحذف

إرسال تعليق

أحدث أقدم