Mercy Killing


মস্তিষ্কের নিচে গলার পিছন দিকটায় থাকে Spinal Cord যা বাংলায় সুষুম্না কান্ড হিসেবে পরিচিত। আর পুরো শরীরের সেন্সরি নার্ভ সিস্টেম গলার পিছনের এই স্পাইনাল কর্ড দিয়েই মস্তিষ্কে পৌঁছে।
.
শরীরের কোনো অংশ ব্যথা অনুভব হলেও সেই অনুভূতি Spinal Cord দিয়েই মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এখন হঠাৎ কারও Spinal Cord বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সে কোনো যন্ত্রণা বুঝে উঠার আগেই মৃত্যুবরণ করবে। একারণে ফাঁসির ব্যবস্থায় দড়ি একটা নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের করতে বলা হয় যাতে আসামির ওজনের কারণে গলার পিছনের অংশের স্পাইনাল কর্ড ভেঙ্গে যথাসম্ভব কম কষ্টের মৃত্যু হয়। যদিও অনেকে মনে করেন যে ফাঁসি দিয়ে অক্সিজেনের অভাব ঘটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়, কিন্তু আদতে সেটি লক্ষ্য থাকে না। ফাঁসির সময় স্পাইনাল কর্ড না ভেঙ্গে এমনটা হলে আসামির প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করে মরতে হয়।

.
ইলেকট্রিক শক বা রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় বাহ্যিকভাবে দেখে বুঝা না গেলেও সেখানেও যে প্রচন্ড যন্ত্রণা সহ্য করেই আসামির মৃত্যু হয় সেটা মেডিকেল স্পেশালিস্ট, ডাক্তার সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন। কারণ ওই যে Spinal Cord পুরো শরীরের যন্ত্রণা বয়ে নিয়ে যায় মস্তিষ্কে!
.
গলার পিছনে Spinal Cord কে ঢেকে থাকা হাড়ও হয় খুব নরম। তাই সেখানকার Spinal Cord বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে রীতিমত বিনাকষ্টে মৃত্যু দেওয়াকে অনেকসময়ই Mercy Killing বলে অভিহিত করা হয়।
.
আর ভোঁতা কিছু দিয়ে সজোরে আঘাত করবার চাইতে ধারালো কিছু দিয়ে আরও দ্রুত Spinal Cord বিচ্ছিন্ন করা যেন মৃত্যুপ্রাপ্ত আসামির ওপরও সর্বোচ্চ দয়া দেখানো। তাই আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন যখন যুদ্ধের ময়দানেও হাতে, পায়ে, পেটে আঘাত করে কষ্ট দিয়ে মারতে না বলে মুসলিমদেরকে নির্দেশ দিলেন ,"অতঃপর যখন তোমরা কাফিরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন ওদের গর্দানে আঘাত হান..." (সূরা মুহাম্মাদ) তখনও আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন দয়া করলেন। এছাড়া আমরা জানি ইসলামে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীকেও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেই মৃত্যু দেওয়ার বিধান দিয়েছে। এর মাধ্যমে ইসলাম মৃত্যুপ্রাপ্ত আসামীরও সবচেয়ে কম যন্ত্রণায় মৃত্যু পাবার অধিকার দিল! দিল Mercy Killing!
.
দেখতে ভয়ঙ্কর হলেও এটাও বাস্তবতা। আর তাছাড়া দেখতে ভয়ঙ্কর বলেই এই পদ্ধতি কায়েম হলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা কমে যায়। তথাকথিত উন্নত দেশগুলোর সাথে এক্ষেত্রে সৌদি আরবের বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখতে পারেন। কোনোকিছু দেখতে বীভৎস হলেই যে তা অকার্যকরী, বর্বর হবে এটা একটা অপযুক্তি।
.
মজার ব্যাপার হল, ইসলাম গর্দানে মারতে বলে, তাই ইসলাম বর্বর - এমন ফালতু যুক্তি দেখানো কলা বিজ্ঞানীরা কখনও কিন্তু এই বিষয়টা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করতে চায় না, চলে যায় মানবিক দৃষ্টিকোণে। অথচ যৌক্তিকভাবে নাস্তিকতা কোনো মানবিকতা ধারণ করতে পারে না!
.
.
লেখকঃ তানভীর আহমেদ
#সত্যকথন
.
.
রেফারেন্সঃ

অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ঃ shottokothon.com  এবং response-to-anti-islam.com

ফেসবুক পেজঃ fb.com/shottokothon1

Post a Comment

Previous Post Next Post