কিছু ভাই বলে থাকেন আল্লাহ্ আমাকে হেদায়েত দিচ্ছেনা। তাই আমি হেদায়েত পাচ্ছিনা। তাদের এই চিন্তা মোটেও ঠিক নয়। বরং তাদের এটা বলা উচিত আমরা এখনো আল্লাহ্র কাছ থেকে হেদায়েত পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। যতক্ষন পর্যন্ত কোন ব্যাক্তি নিজের অপরাধ স্বীকার করে না নিবে ততক্ষন পর্যন্ত সে হেদায়েতের যোগ্য না।
হারাম কাজ হারাম জেনেও লাগাতার সেটার সাথে লেগে থাকার অভ্যাস হেদায়েত পরিপন্থি। আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাওয়া তো দুরের কথা। আবার অনেকে সেগুলো অপরাধ জেনেও দিব্যি নিরসংকচে করে বেড়াচ্ছে। অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সামান্য যে চেষ্টা করা উচিত তাও তারা করেনা। এইসব করে তারা নিজেদের নফসকে পরিতৃপ্ত করে। দিনশেষে বলে বেড়ায়, " আল্লাহ্ আমাকে হেদায়েত না দিলে আমার কি করার আছে "। আল্লাহ্র গোলামে পরিনত হওয়ার বদলে নিজের নফসের গোলামে পরিনিত হলে অবস্থা যা হয় আর কি। তখন মনে যা আসে তা করতে পারলেই ব্যক্তির মনে ‘পরিতৃপ্তি’ আসে। এই ‘পরিতৃপ্তি’ হেদায়েতের পরিপন্থি, কারণ এইখানে আল্লাহর অবাধ্যতা আছে।
যে নিজের সকল অন্যায় অপরাধের কথা অকপটে আল্লাহ্র কাছে স্বীকার করে, আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহ্ তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেন।
একজন দ্বীনদার মানুষ, আর একজন নফসের অনুগামী মানুষের মৌলিক পার্থক্য হলো দ্বীনদার ব্যাক্তিরা নিজের করা অপরাধ আল্লাহ্র কাছে স্বীকার করে। তার জন্য নিজেকেই দোষ দেয়। সে নিজেকে কখনই ভাল মানুষ মনে করেনা। আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চায়। অপরদিকে নফসের অনুগামী ব্যাক্তিরা নিজের অপরাধ স্বীকার করেনা। আল্লাহর কাছে ক্ষমাও চায়না। বিভিন্ন অজুহাত তৈরি করে। আল্লাহর সাথে তার যে একটা সম্পর্ক আছে সে দিকে বেখেয়াল থাকে।
"তোমাদের রব তোমাদের অন্তরসমূহের ভেতর যা আছে তা ভালো করেই জানেন ; তোমরা যদি ভাল মানুষ হয়ে যাও তাহলে যারা তাওবা করে তিনি তাদের মাফ করে দেন "
[আল-কোরআন : ১৭/২৫]
Post a Comment