শেষ সময় চেনার উপায়


ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, 'আমি একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললাম শেষ সময় চেনার কোনও জ্ঞান আছে কি?'
তিনি ﷺ বললেন, 'হ্যা ইবনে মাসূদ'!

এ সম্পর্কিত বহু নিদর্শন রয়েছে তাদের মধ্যে একটি হলো,
● বাচ্চারা ভীষণ বদমেজাজি হবে;
● বৃষ্টি হবে আম্লিক, অল্মবৃষ্টি;
● তুমি দেখবে, খারাপ লোকেরা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে;

ওহ ইবনে মাসূদ ঐ লক্ষণগুলোর আরও একটি হলো যে,
● লোকেরা বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করবে এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতক মনে করবে।
● সত্যবাদীদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হবে এবং মিথ্যাবাদীদের বলা হবে সত্যবাদী।
● থালাসমুহ ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকবে যা স্যাটেলাইট যোগাযোগ বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়। এবং মানুষেরা তখন পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করবে।
● ও ইবনে মাসূদ, তুমি আরো দেখবে মুনাফিকরা শাসন করবে এবং
● সর্বাপেক্ষা মন্দ লোকেরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে;
● মসজিদসমুহ অলংকৃত করা হবে, কিন্তু হৃদয়সমূহ হবে কুৎসিত!
● বিশ্বাসীদের কুৎসিত ছাগলের চেয়েও বেশি অপদস্থ করা হবে! যেন তাঁরা কিছুই না!
● তুমি দেখবে পুরুষ ও স্ত্রী সমকামীতা প্রসার হবে;
● এবং অল্পবয়স্ক লোকেরা প্রচুর সম্পদশালী হবে;
● নারীদের নীতিভ্রষ্ট করতে আন্দোলন করা হবে;
● তুমি দেখবে সভ্যতার ধ্বংস এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক সভ্যতা;
● তখন বাদ্যযন্ত্র ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পরবে।
● বাদ্যযন্ত্রগুলো তাদের মাথায় চড়ানো থাকবে;

তিনি ﷺ বলেছিলেন,
● আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অনেক দেখতে পাবে;
● এবং লোকেরা ঠাট্টা-তামাশা ও বিদ্রুপ করবে;
● তোমরা দেখবে বহু শিশু বিবাহ বন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবে;
● সে সময় ফিতনাগুলো মাদুরের আকৃতিতে প্রদর্শিত করা হবে এর দুটি সীমারেখা থাকবে (টেলিভিশন সেটএর কথা বলছে);
● ফিতনাগুলো তাদের সামনে মাদুর আকৃতিতে দেখানো হবে;

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন,
● জাহান্নামে দুই ধরনের লোক আছে যাদের আমি এখনও দেখিনি। তুমি গরুর লেজের মত চাবুক হাতে কিছু লোকদের দেখবে তাঁরা এর দ্বারা অন্যদের প্রহার করবে।
● সে সময় নারীরা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকবে, তাঁরা কোমর দুলিয়ে হাঁটবে এবং অন্যদেরকে তাদের দিকে আকর্ষণ করবে;
● ঐ মেয়েদের চুল হবে "বখতের" লোমশ উটের মত। এই লোকগুলো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
● আমার উম্মাহর কিছু অংশ মদপান করবে এবং মদকে অন্য নামে ডাকবে।

আউজুবিল্লাহি মিনাশশাইতনির রাযীম।
হে আল্লাহ্‌, আমি বার্তা পৌছে দিয়েছি।

তথ্যসূত্রঃ আল মুয়াযযাম আল কিবার আত-তাবারানি হাদিস নং ১০৪১০।

1 Comments

  1. জাযাকাল্লাহ খাইরান খাইরানফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post