মহামারী থেকে বাঁচতে করণীয়



দূরারোগ্য ব্যধি কিংবা মহামারী থেকে একমাত্র আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়াটাই সর্বোত্তম পন্থা।

এমন পরিস্থিতিতে সব সময় এ দোয়াটি পড়ার অভ্যাস করা সমীচীন, যা রাসুল (সা) শিখিয়ে দিয়েছেন:

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুন ওয়াল ঝুজাম ওয়া মিন সায়্যিল আসক্বাম।’ -(সূনানে আবু দাউদ, সূনানে তিরমিজি)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দূরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই।’

ইমাম ইবনু কাসীর রহ. তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াতে উল্লেখ করেছেন,

৪৭৮ হিজরিতে (ইংরেজি ১০৮৫ সালে) একটি রোগ এবং প্লেগ মহামারী আকার ধারণ করে ইরাক, সিরিয়া এবং হিজায অঞ্চল জুড়ে। এর ধরণটা ছিল প্রচণ্ড জ্বর হতো। মানুষজন, পশুপাখি, মোট কথা প্রাণীজগৎ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়। আমিষের অভাবে ভুগছিল লোকজন। এক প্রকার কালো বাতাস আর বজ্রপাত গাছপালা উপড়ে ফেলছিল। লোকেরা ভাবতে শুরু করল কিয়ামত বুঝি চলে এসেছে!
এই মহামারী প্রতিরোধ করতে তৎকালীন আব্বাসি খলিফা আল-মুকতাদী বি-আমরিল্লাহ (মৃত্যু ৪৮৭ হি.) নির্দেশ জারী করলেন, সবাই যেন আমর বিল-মা'রূফ ওয়া নাহী আনিল-মুনকার করে; অর্থাৎ সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে বাঁধা প্রদানে নেমে পড়ে।

এতে করে সকল বাদ্য-যন্ত্র গুঁড়িয়ে দেয়া হলো। ভেঙে চুরমার করে দেয়া হলো মদের বোতল। আর দুর্নীতি সমূলে উচ্ছেদ করা হলো দেশ থেকে। ফলশ্রুতিতে কিছু কাল যেতেই সেই রোগ দূর হয়ে গেল।

সূত্র: আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ, ১৩/২১৬

1 تعليقات

إرسال تعليق

أحدث أقدم