হৃদয় গলানো উপদেশ



আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: 

"তুমি উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মু'মিনদের উপকারে আসবে।" -[সূরা যারিয়াত ৫১, আয়াত ৫৫]

____________________________

দুনিয়া হচ্ছে বিপদ-আপদ আর ফেতনা বা পরীক্ষার জায়গা। এর মাঝে যারা কিছুটা ছাড় পেয়েছে তাদের জন্য অবশ্যই করণীয় হচ্ছে মহান আল্লাহর শুকরিয়া এবং প্রশংসা করা।

(১) মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ

لَمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ بَلاَءٌ وَفِتْنَةٌ ‏

অর্থঃ দুনিয়াতে বালা-মুসীবত ও ফিতনা-ফাসাদ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। 

- [ইবনে মাজাহঃ ৪০৩৫, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রহি’মাহুল্লাহ।]

_______________________________

(২) একারণে প্রখ্যাত আলেম সালিহ আদ-দিমাশকি রহি’মাহুল্লাহ তাঁর পুত্রকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, “হে আমার প্রিয় বৎস্য! যদি এমন একটি দিন অতিক্রম করে যেইদিন তুমি তোমার দ্বীন, শরীর-স্বাস্থ্য, সম্পদ এবং পরিবার নিয়ে নিরাপদে ছিলে, তাহলে তুমি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও তাঁর প্রশংসা বৃদ্ধি করো। কেননা, এই সময়ের মধ্যে কতো যে মানুষ ঈমান হারিয়ে ফেলেছে, কতো যে মানুষ জটিল ও কঠিন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে, কতো যে মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে, কতো যে মানুষ তাদের পরিবারের লোকদেরকে হারিয়েছে অথচ সেই সময়ে আল্লাহর রহমতে তুমি নিরাপদে ও শান্তিতে ছিলে।”

[সিয়ার আ’লাম আন-নুবালাহঃ ৩/২২২, ইমাম আয-যাহাবী রহি’মাহুল্লাহ]

_______________________________

(৩) মুমিনের অন্যতম ইবাদত কুরআন তিলাওয়াত করা। আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর কুরআন তিলাওয়াত। কুরআন কারীমের একটি আয়াত শিক্ষা করা ১০০ রাক‘আত নফল সালাতের চেয়েও উত্তম বলে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে। সারা বৎসরই তিলাওয়াত করতে হবে। বিশেষত রামাদানে বেশি তিলাওয়াত করা রাসূলুল্লাহ সা.-এর বিশেষ সুন্নাত, যাতে অতিরিক্ত সাওয়াব ও বরকত রয়েছে।

- [ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) - রামাদানের সওগাত, পৃ. ১১]

_______________________________

(৪) অসুস্থতার ক্ষেত্রে মুমিনের সর্বপ্রথম করণীয় অস্থিরতা ও হতাশা থেকে অন্তরকে মুক্ত রাখা। মুমিন বিশ্বাস করেন যে, সকল বিপদ, কষ্ট, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈমানী পরীক্ষা, যা গুনাহের ক্ষমা বা মর্যাদার বৃদ্ধির জন্য আসে। -[ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ]

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post