রিযকের পরিমাণ পূর্বনির্ধারিত এবং এটা আল্লাহর দায়িত্বে


রিযক শব্দটির অর্থ অনেক ব্যাপক। পৃথিবীতে বসবাসের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তার সবই এর আওতাভুক্ত। রিযক শুধু টাকা-পয়সা বা জীবিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর মধ্য রয়েছে সময়, জ্ঞান, শক্তি-সামর্থ্য, সুস্বাস্থ্য এবং আমাদের বেঁচে থাকা ও উন্নতি লাভের জন্য প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি উপাদান।


কিছু আয়াতের উদ্ধৃতি দিচ্ছি, যেগুলোতে আল্লাহর মহত্ত্ব ও ক্ষমতার কথা বর্ণিত হয়েছে। আর আয়াতগুলো শেষ হয়েছে এভাবে, তিনি যাকে ইচ্ছা বিনা হিসাবে রিযক দান করেন। রিযক সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য এই আয়াতগুলোই যথেষ্ট। তারপরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য আমি আরও কিছু প্রমাণ আলোচনা করব।


আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে বলেন—


'বলো, 'হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান, রাজত্ব দান করেন; আর যার থেকে চান, রাজত্ব কেড়ে নেন। আপনি যাকে চান, সম্মান দান করেন; আর যাকে চান, অপমানিত করেন। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আপনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন। আর যাকে চান, বিনা হিসাবে রিযক দান করেন।” (আ-লে ইমরান, ৩:২৬-২৭)


এই আয়াত দুটিতে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে জানাচ্ছেন যে, আমাদের ভরণপোষণ করানোর চেয়েও অনেক কঠিন কাজ করার ক্ষমতা তাঁর আছে। চন্দ্র-সূর্য- পৃথিবী এবং জীবন-মৃত্যুর ওপর তাঁর ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছেন, তিনি যাকে চান তাকে বিনা হিসাবে রিযক দান করেন। লক্ষ করুন, চন্দ্র-সূর্য-পৃথিবী এবং জীবন-মৃত্যুর ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এর পরই রিযকের কথা উল্লেখ করার মানে হলো এর ওপরও আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।


বই: বিশ্বাসের পথে যাত্রা

লেখক: মির্যা ইয়াওয়ার বেইগ

Post a Comment

أحدث أقدم