ইলমে দ্বীন


আলহামদুলিল্লাহ।

ইলমে দ্বীন অর্জন করা ফরজে কিফায়া। যদি কিছু ব্যক্তি ইলমে দ্বীন অর্জনে মনোনিবেশ করে যাদের দ্বারা প্রয়োজন পূরণ হওয়া সম্ভব তাহলে অন্যদের ক্ষেত্রে ইলমে দ্বীন অর্জন করা সুন্নত। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের উপরে ইলমে দ্বীন অর্জন করা ফরজে আইন। এক্ষেত্রে নীতি হচ্ছে- ব্যক্তি যে ইবাদত বা যে লেনদেন করতে চাচ্ছে সে ইবাদত পালন ও সে লেনদেন বাস্তবায়ন করার জন্য যতটুকু ইলম প্রয়োজন ততটুকু ইলম অর্জন করা তার উপর ফরজে আইন। এর বাইরে যে ইলম সে ইলম অর্জন করা ফরজে কিফায়া। তালিবুল ইলমের উচিত আপন মনে এ অনুভূতি জাগ্রত রাখা যে, সে একটি ফরজে কিফায়া আমল পালন করছে যাতে করে সে ইলম অর্জনের মাধ্যমে একটি ফরজ আদায়ের সওয়াব পায়।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ইলমে দ্বীন হাছিল সবচেয়ে উত্তম ইবাদত। বরং এটি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার তুল্য। বিশেষতঃ আমাদের বর্তমান সময়ে যে সময় মুসলিম সমাজে বিদআতের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবং ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হচ্ছে। ইলম ছাড়া ফতোয়া দেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক লোক না জেনে তর্কে লিপ্ত হচ্ছে। মুসলিম যুব সমাজের উপর এ তিনটি কারণ ইলম অর্জনে এগিয়ে আসাকে অনিবার্য করে দেয়।

এক: বিদআতের বহিঃপ্রকাশ।

দুই: উপযুক্ত ইলমদার না হয়েও ফতোয়া প্রদানে এগিয়ে আসা।

তিন: এমন সব মাসয়ালা নিয়ে তর্ক করা যে মাসয়ালাগুলো আলেমদের নিকট সুস্পষ্ট। কিন্তু এমন ব্যক্তি এসব মাসয়ালা নিয়ে তর্ক করেন যার এ ব্যাপারে কোন ইলম নেই।

এসব কারণে আমাদের এমন কিছু আলেম প্রয়োজন যাদের জ্ঞান সুদৃঢ় ও ব্যাপক। দ্বীনের ব্যাপারে যাদের গভীর জ্ঞান রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদেরকে দিক নির্দেশনা দেয়ার মত যাদের প্রজ্ঞা আছে। অনেক মানুষ এমন আছে যাদের কাছে শুধু বিশেষ কোন মাসয়ালার তাত্ত্বিক জ্ঞান রয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য কোনটা কল্যাণ বা মানুষের শিক্ষাদান পদ্ধতি তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই কোন কোন বিষয়ে তাদের ফতোয়া বড় ফিতনা-ফাসাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়; যে ফিতনার পরিধি আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।

আল্লাহই ভাল জানেন।

তথ্যসূত্র: শাইখ উছাইমীনের ফতোয়াসমগ্র, কিতাবুল ইলম, পৃষ্ঠা- ২৩

Post a Comment