মেসওয়াক সম্পর্কিত জরুরী আলোচনা

একজন মুসলমানের জন্য দিনে রাতে অনেক বারই ওযু করার প্রয়োজন হয়। আর হাদীসের মধ্যে প্রত্যেক ওযুর সময় মেসওয়াকের অনেক তাগিদ এসেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘আমার উম্মতের জন্য কষ্টসাধ্য হওয়ার আশঙ্কা না হলে, তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।’ -[নাসায়ী, আহমাদ: ৯৯২৮]

একজন মুসলমানের দিনে-রাতে অনেক বার মেসওয়াক করতে হয়। এমনকি হিসাব করলে তা বিশবারেরও অধিক হয়। যেমন- পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য, চাশতের নামাযের জন্য, বিতরের নামাযের জন্য, বাড়িতে প্রবেশের পর ইত্যাদি বিভিন্ন সময় ।সহীহ মুসলিমে বর্ণনা আছে যে, আম্মাজান আয়েশা (রাযি.) বলেন,
‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমেই মেসওয়াক করতেন।’ -[মুসলিম: ২৫৩]

অন্য যেসব সময় মেসওয়াক করতে হয়, সেসব সময় হল, কোরআন তেলাওয়াতের সময়, মুখে দূর্গন্ধ অনুভূত হলে, ঘুম থেকে উঠার পর এবং ওযুর সময় মেসওয়াক করা সুন্নাত।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
মেসওয়াক হচ্ছে মুখের পরিচ্ছন্নতা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম। -[বুখারী, নাসায়ী]

মেসওয়াকের ফায়দা:
১. বান্দা মেসওয়াকের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়।
২. মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।

Post a Comment