নামাযে সুতরা ব্যবহার করা সুন্নাত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
অর্থাৎ: তোমাদের কেউ যখন নামায আদায় করবে, সে যেন সামনে সুতরা দিয়ে নামায আদায় করে (অর্থাৎ- নামাযীর সামনে যদি চলাচল করার জায়গা থাকে অথবা মানুষ চলাচল করার সম্ভাবনা থাকে) আর নামাযী ব্যক্তি যেন ঐ সুতরার নিকটবর্তী হয়ে নামাযে দাঁড়ায় এবং তার ও সুতরার মধ্য হতে কাউকে চলাচল করতে না দেয়। - (আবূ দাউদ: ৬৯৮)

এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযে সুতরা ব্যবহার করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই সুন্নাত। চাই সে মসজিদে নামায পড়–ক বা ঘরে পড়–ক। ইমাম সুতরা ব্যাবহার করলে তা মুক্তাদিদের জন্যও যথেষ্ট হবে। তাদের জন্য আলাদা সুতরার প্রয়োজন নেই। সব ধরণের নামাযেই আমরা সুতরা ব্যবহার করতে পারি। যেমন, ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, নফল ইত্যাদি। আমরা অনেকেই সুতরা ব্যবহার না করে এই সুন্নাত আমল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

সুতরা সম্পর্কিত কিছু মাসআলা:
১। কেবলার দিকে কোন আড়াল থাকলে তার দ্বারা সুতরার সুন্নাত আদায় হয়ে যায়। যেমন, দেয়াল, লাঠি, খুটি ইত্যাদি।
২। মুসল্লী আর সুতরার মাঝে তিন হাতের দূরত্বই যথেষ্ট। অর্থাৎ, সেজদার দূরত্ব পরিমাণ দূরে থাকাই যথেষ্ট।
৩। মুক্তাদির জন্য সুতরার প্রয়োজন নেই, বরং ইমাম এবং মুনফারিদ সুতরা ব্যবহার করবে। তাই প্রয়োজনের খাতিরে মুক্তাদির সামনে দিয়ে চলাচল করা যাবে।

সুতরা ব্যবহারের ফায়দা:
১। সুতরা দ্বারা নামাযের সুরক্ষা হয়। কারণ, নামাযের সামনে দিয়ে কেউ চলাচল করলে একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং ত্রুটিযুক্ত হয়।
২। নামাযী ব্যক্তির দৃষ্টিসীমা সুতরার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এতে করে নামাযের দিকেই বেশী মনোনিবেশ হয় এবং অন্যদিকে মন উড়ে বেড়ায় না।
৩। চলাচলকারীর জন্য পথ উম্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং সে মস্তবড় গুনাহ হতে রক্ষা পায়।

Post a Comment