হে আমার তরুণ ভাইয়েরা

তুমি তোমার জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময়ে রয়েছো। এই সময়টাই হলো প্রচেষ্টার সময়, উদ্যোগী হবার সময়। এই সময়টাই হলো ইবাদাত করার সময় এবং এই সময়টাই হলো দাওয়া দেবার সময়। এই সময়টাই হলো গতিময়তার সাথে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কর্মতৎপর হবার সময়। তাই এখন তোমার আবিশ্যিক দায়িত্ব হলো ইসলামের দিকে ধাবিত হওয়া, ইসলামকে জানা, ইসলামকে বাস্তবায়ন করা, মেনে চলা এবং ইসলামের দিকে মানুষকে ডাকা  সুতরাং জ্ঞান আহরণ কর, আমলে পরিণত কর এবং তা প্রচার করো!

যদি এই সুযোগ অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে এমন সুবর্ণ সুযোগের আর কখনো পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। ইউনিভার্সিটিতে কত অবসর সময় পাওয়া যায়, আল্লাহর দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য প্রচুর সময় ইউনিভার্সিটিতে পাওয়া যায়। কত মজা! ইউনিভার্সিটি জীবনে আল্লাহর ইবাদাত করা এবং জানা-অজানা সহকর্মী ও বন্ধুদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া কত আনন্দের!

"অতএব তুমি উপদেশ দাও, তুমি তো একজন উপদেশদাতা। তুমি তাদের কর্ম নিয়ন্ত্রক নও।" -(গাশিয়াহ)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- পাঁচটি জিনিস এসে যাবার পূর্বে পাঁচটি জিনিসকে উত্তমরূপে ব্যবহার করো। তার মধ্যে অন্যতম দুটি হলো- যোবন বয়সকে সদ্ব্যবহার করো বুড়ো হয়ে যাবার আগে। তোমার সুস্থতাকে কাজে লাগাও অসুস্থ হয়ে যাবার আগেই.....।

আজকে তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে পারছো এবং আগামীতে তুমি হয়তো বসেও সালাত আদায় করতে পারবে না। আজকে তুমি ছিয়াম পালন করতে পারছো কিন্তু আগামীতে তুমি অসুস্থ হয়ে যেতে পারো, ছিয়াম পালন করতে পারবে না। তোমার সুস্থতার জন্য আল্লাহ তোমার কাছে মূল্য চান। আর সু-স্বাস্থের সেই মূল্য তথা ট্যাক্সই হলো ইবাদাত, যা তোমার শরীর, তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংশোধন করবে এবং ধ্বংসের হাত থেকে তোমাকে বাঁচাবে।

"তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো অতঃপর তার কাছে তাওবা কর, অনুতপ্ত হও। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বারি বর্ষণ করছেন। তিনি তোমাদের আরও শক্তি দিয়ে তোমাদের শক্তি বাড়িয়ে দিবেন।" -(সূরা হূদঃ ৫২)

তাই আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত করলে, তাঁর নিকট অনুতপ্ত হলে শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটাই স্বস্বাভাবিক, যেহেতু ইবাদাত করলে শরীর এবং স্নায়ুগুলো শান্তি ও আরাম পায় এগুলোই পরবর্তীতে শরীর গঠন করে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ "আল্লাহর ব্যাপারে সচেতন হও, মনোযোগী হও এবং তিনিই তোমার যত্ন নিবেন।" -(তিরমিযীঃ ২৫১৬)

Post a Comment

Previous Post Next Post