বিচার দিবসের কিছু পরিস্থিতি

বিচারদিবসের কিছু পরিস্থিতিঃ

১. সেদিন সকলে একত্রিত হবে,
২. দুনিয়ার জমিন হবে রুটির ন্যায়,
৩. মানুষ নগ্নপদ, নগ্নদেহ ও খতনাবিহীন সমবেত হবে,
৪. কেউ কারোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার অবকাশ পাবে না,
৫. কাফেরদেরকে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে একত্রিত করা হবে,
৬. প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন লোক জাহান্নামী বলে ঘোষিত হবে (ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায় থেকে হবে ৯৯৯ জন আর মুমিনদের মধ্য হতে ১ জন),
৭. ঐদিন মানুষ ঘর্মাক্ত হবে, এমনকি ঘাম তাদের কান পর্যন্ত পৌছাবে,
৮. সূর্যকে অতি নিকটে আনা হবে এবং মানুষের আমল অনুপাতে ঘামের মধ্যে ডুবে থাকবে,
৯. দুনিয়াতে যারা আল্লাহর জন্য সিজদাহ করে নাই কিংবা লোক দেখানোর জন্য সিজদাহ করেছে তারা সেদিন আল্লাহকে সিজদাহ দিতে পারবে না,
১০. মুমিনদের হিসাব হবে মুখো-মুখি,
১১. যার হিসাব পুংখানুপুংখ যাচাই করে হবে সে ধ্বংস হবে,
১২. ঐদিন মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে,
১৩. হাত, পা, কান, চক্ষু এবং চামড়া মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে,
১৪. সে দিনের সময় সীমা হ'ল ৫০ হাজার বছরের সমান,
১৫. তবে ঐ দিন মুমিনের জন্য একটি ফরজ সালাত আদের সময়ের ন্যায় মনে হবে ।

তথ্যসূত্র: [১: সূরা আন আম: ২২| ২: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫২৯৮| ৩-৪: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০২| ৫: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৩| ৬: বুখারী: ৪৭৪১| ৭-৮: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৬, ৫৩০৮| ৯: সূরা কালাম:৪২-৪৩; মিশকাত: ৫৩০৮| ১০-১১: মিশকাত: ৫৩১৫| ১২: সূরা ইয়াসীন: ৬৫| ১৩: সূরা নূর: ২৪; হা-মীম সাজদাহ: ২০| ১৪: মুসলিম, মিশকাত হা: ১৭৭৩| ১৫: বায়হ্বাকী, মিশকাত হা: ৫৫৬৩]

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post