আলহামদুলিল্লাহ্,
ইসলামিক শরীয়াহ'র একটি অপরিহার্য লক্ষ্য হলো মানুষের ইজ্জত ও সম্মান রক্ষা করা। আর এজন্য আল্লাহ্ যিনাকে (অবৈধ যৌন সম্পর্ককে) হারাম করেছেন এবং ঐসব বিষয়কেও নিষেধ করেছেন যেগুলো কাউকে যিনার দিকে পরিচালিত করে। যেমন, একজন পুরুষ একাকী একজন নারীর সাথে অবস্থান করা যে কিনা মাহরাম (যাকে বিয়ে করা হারাম এমন) নয়, মন্দ দৃষ্টি, মাহরাম ব্যতীত কোন নারীর ভ্রমণ, পারফিউম মেখে কোন মহিলার বাইরে বের হওয়া এবং পোশাক পরিধান করে নগ্নতা প্রদর্শন করা ইত্যাদি (ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে)।
আরেকটি বিষয় হলো, যখন কোন পুরুষের সাথে একজন মহিলা কোমল স্বরে কথা বলে, তখন ঐ পুরুষ ঐ মহিলার ফাঁদে আটকে যায়। তা হতে পারে পথিমধ্যে দেখার সময় কিংবা মোবাইলে কথা বলার সময় কিংবা লিখিত যোগাযোগের মাধ্যমেও।
তাই আল্লাহ্ সুবহানওয়া তাঁর রাসূলের (সা:) পত্নীগণকেও (যারা ছিলেন পবিত্র) জাহেলিয়াতের নারীদের মতো নিজেদের প্রদর্শন না করতে এবং কোমল স্বরে (নন মাহরাম) পুরুষদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। যেমনটি কুরআনে এসেছে-
"হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।" -(সূরা আহযাব, আয়াত: ৩২)
তাই বলা যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে নন মাহরাম পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে কথাবার্তা ও যোগাযোগ এক প্রকার ফিতনা ও শয়তানী কর্ম। কারণ এসব কথাবার্তাই একসময় পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া-মমতা সৃষ্টি করে। তাই আমাদের এই ব্যপারে কঠোর হওয়া প্রয়োজন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ও শাস্তিকে ভয় করে এ থেকে দূরে থাকা উচিত।
শাইখ ইবনে জিবরিনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কোন যুবক-যুবতীদের যোগাযোগের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে ? যদিও তারা অনৈতিক কার্যকলাপ ও পরস্পর ভালোবাসা থেকে দূরে থাকে।
তিনি বলেন:
ইহা বৈধ নয়- কোন মেয়ের সাথে কোন ছেলের যোগাযোগ রাখা যদি না সে তার মাহরাম হয়। তারা মনে করতে পারে, এতে কোন ফিতনার সম্ভাবনা নেই; কিন্তু শয়তান এই বিষয়ে সবসময়ই তৎপর। সে সুযোগ পেলেই তাদের অন্তরে (অবৈধ) ভালোবাসা ও অনৈতিক কর্মের সূচনা করে দিবে। -(ফাতাওয়া আল মার'আহ, পৃ: ৯৬)
আল্লাহ্ ভালো জানেন।
উত্তর দিয়েছেন: islamqa team
অনুবাদ করেছেন: Areful Islam Dipu
Post a Comment