আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রদিয়াল্লাহু আনহুম) তাবেঈন দের সময়কালে তাদের বলেছিলেন, তোমাদের মাঝে যারা বেঁচে আছে তাদের অনুসরণ কোরো না বরং যারা মরে গেছে তাদের অনুসরণ কর। আর তারা হলেন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথী, সাহাবী রদিয়াল্লাহু আনহু।
কারণ যারা বেঁচে আছে তারা কোনদিন এ দুনিয়ার পরীক্ষা আর ফিতনায় ভুল পথে যাবে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই কিন্তু সাহাবীরা ছিলেন জান্নাতের প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত। তারা হলেন এই উম্মাহর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাকওয়ার দিক থেকে তাদের ধারে কাছেও কেউ ঘেষতে পারবেনা। ইসলাম কে তারা যেভাবে বুঝতেন সেটাই ছিল সঠিক।
তাদেরকে বলা হয় 'পিপল অব অ্যাকশন '। তাদের অভিজাত হওয়ার কোন প্রবণতা ছিল না, তারা খুবই সাধারন জীবনযাপন করতেন। রোমান দের জাকজিক্য, পারস্যের ভাব,কাব্য কিংবা গ্রীক দর্শন কোনকিছুই তাদের প্রভাবিত করতে পারেনি। তাদের খাওয়া দাওয়া, পোষাক এমনকি তাদের কথাবার্তা সবই ছিল সাধারন, সোজাসাপ্টা।
এই সাধারন মানুষ গুলোই ছিলেন আল্লাহ আজ্জা ওয়া যালের পক্ষ থেকে নির্বাচিত অসাধারন কেউ।
তারা ছিলেন শেষ নবীর সহচর, সাথী। রসুলুল্লাহর মৃত্যর পর আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত রাখার যে গুরুভার তার উম্মতের উপর বর্তেছিল তার জন্য তারাই ছিলেন সবচেয়ে যোগ্য। আর এ কারনেই আল্লাহ আজ্জা ওয়া যাল তাদের নির্বাচিত করেছেন।
তাই আজ এই প্রান্তিক কালে এসে পথহারা এই আমরা তাদের অনুসরনের মাধ্যমেই পথের খোজ পেতে পারি।
যদি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদিয়াল্লাহু আনহু তাবেইনদের যুগে এ কথা বলে থাকেন তাহলে আজ আমাদের তিনি কি বলতেন....
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'আমার উম্মাহ হল বৃষ্টির মত। আমি জানি না এর কোন পশলা উত্তম, প্রথম নাকি শেষ।'
তাই আসুন না, সাইড লাইন এ বসে না থেকে মাঠে নেমে পড়ি। সাহাবী রদিয়াল্লাহু আনহু দের জীবন ইতিহাস জানি, তাদের অনুসরন করি। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মোহ ছুড়ে ফেলে আসুন দলে দলে জান্নাতের দিকে ছুটে চলি...
লিখেছেন - সাবরীনা নওরীন
আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে হেদায়েত নসিব করুন আমিন
ReplyDeletePost a Comment