আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তা’আলা বলেন,
বিশ্বাস করুন, সুন্দরী একজন গায়রে মাহরাম নারী আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আর আল্লাহ্র ভয়ে আপনি তার দিকে তাকালেন না – যে আনন্দটা এতে পাওয়া যায় সেটা খুব কম আমলের মধ্যেই আছে। কথাটা মানুষের মুখে অনেক শুনেছি।
আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তা’আলা আমাদেরকে গায়রে মাহরাম নারীদের প্রতি দৃষ্টি দেয়া থেকে হেফাযত করুক। আমীন।
“চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।” -[সূরাঃ মুমিন, ৪০:১৯]
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, এই আয়াতে ঐ ব্যক্তি উদ্দেশ্য যে হয়ত কোন বাড়িতে গেল যেখানে কোন সুন্দরী নারী আছেন। তখন ঐ ব্যক্তি কোন আড়াল হতে সেই নারীর দিকে তাকায় যেখানে তাকে কেউ দেখতে পায়না। তার দিকে যখনই কারও দৃষ্টি পড়ে তখনই সে নারীটির দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়। আবার যখন সুযোগ পায় তখন পুনরায় তার দিকে তাকায়। যাকে দেখল যে হয়ত তাকে দেখেনি কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলা দেখেছেন। শুধু তাই নয়, গায়রে মাহরাম নারীকে দেখার পর তার মনে কোন বাজে ভাবনার উদয় হলে সে গোপন বিষয় সম্পর্কেও আল্লাহ্ জ্ঞাত।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) আরও বলেন, সেই ব্যক্তিটির অন্তরে হয়ত এটা আছে আছে সম্ভব হলে নারীটির দেহের গোপনীয় অংশও দেখে নিবে। তার এই ইচ্ছেও আল্লাহ তা’আলার কাছে অজানা নয়। তাই আল্লাহ্ বলেন যে বিশ্বাসঘাতক চোখের বিশ্বাসঘাতকতা এবং অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে তিনি অবহিত।
(ইবনে কাসীর)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে আরও পাওয়া যায়, চোখের চোর হল সেই ব্যক্তি যে বহু মানুষের সাথে বসা থাকা অবস্থায় তাদের পাশ দিয়ে যাওয়া কোন গায়রে মাহরাম নারীর প্রতি অন্যদের অগোচরে কামভাবে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, চোখের চোর হল সে ব্যক্তি যে গায়রে মাহরাম নারীর দিকে দৃষ্টি দেয় আর মানুষ তা দেখে নিলে সে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। অথচ আল্লাহ্র কাছে এর কিছুই গোপন নেই।
(জালালাইন)বিশ্বাস করুন, সুন্দরী একজন গায়রে মাহরাম নারী আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আর আল্লাহ্র ভয়ে আপনি তার দিকে তাকালেন না – যে আনন্দটা এতে পাওয়া যায় সেটা খুব কম আমলের মধ্যেই আছে। কথাটা মানুষের মুখে অনেক শুনেছি।
আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তা’আলা আমাদেরকে গায়রে মাহরাম নারীদের প্রতি দৃষ্টি দেয়া থেকে হেফাযত করুক। আমীন।
Writer: Abu Putul
আমিন
ReplyDeletePost a Comment