একটি শ্বেতসারীয় উপাখ্যান


কার্বোহাইড্রেট।
কিংবা শ্বেতসার।
.
এ বস্তুর নাম গোটা জীবনে অন্তত একবার হলেও শোনেনি -এমন আদমসন্তান বোধহয় খুঁজে পাওয়া বেশ শক্ত -এখন হোক সে বান্দা কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র, কি স্টাটিস্টিক্সের ছাত্র, অথবা রকেট সায়েন্টিস্ট বা ড্রোণ আবিষ্কারক, কিংবা চারুকলা ইন্সটিটিউটে গবেষণাকারী বিজ্ঞানমনস্ক সম্প্রদায়।
আর বিশেষ করে আমাদের এই দেশে- যেখানে মাঝেমধ্যে সকালের নাস্তা এবং বিভিন্ন ওকেশনের মেন্যুতে থাকা রুটি সহ মেজরিটি অফ দা পিপলের মূল খাদ্য হলো ভাত, তথা কার্বোহাইড্রেট।
.
ভাত, রুটি, চাল, গম -ইত্যাদি যাই বলা হোক না কেন, বায়োকেমিক্যাল পরিভাষায় এর সবগুলোকেই মোটাদাগে বলা হয়ে থাকে কার্বোহাইড্রেট -এর কোন হেরফের নেই।
তবে হ্যাঁ, পার্থক্য তো কিছু অবশ্যই আছে, তা না হলে এত বিশাল সীমাহীন বৈচিত্র্যময় বিশ্বজগত হলো কোথা থেকে?

যাই হোক, ডানে-বাঁয়ে না কেটে মূল আলোচনায় আসার চেষ্টা করা যাক।
.
কার্বোহাইড্রেট, কিংবা শর্করা, অথবা শ্বেতসার -যাই বলা হোক না কেন, অন্যতম ৫টি খাদ্য উপাদানের এই একটিকে ঢালাওভাবে মোট তিনটা ক্লাস বা শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়।
.
১. মনোস্যাকারাইড
২. অলিগোস্যাকারাইড এবং
৩.পলিস্যাকারাইড
.
মনোস্যাকারাইড হলো ১টি মাত্র শর্করা ইউনিট নিয়ে গঠিত, যেমন গ্লুকোজ;
অলিগস্যাকারাইড হলো রাফলি ২-১০টি ইউনিটে গঠিত, যেমন সুক্রোজ -যা চিনি হিসেবে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়;
আর পলিস্যাকারাইডগুলো গড়পড়তায় ১০টির বেশি রিপিটিং ইউনিটে তৈরী -এগুলো হলো সব বেসিক ধারণা।
.
কিন্তু যখনই না একটু গভীরে ডুব দেওয়া শুরু হয়,বোঝা যেতে থাকে,
যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, এই সাড়ে তিনহাত শরীরের অভ্যন্তরে, প্রতিটা মূহুর্তেই আমাদের অজান্তেই যে কত শত-হাজারটি ওয়ান্ডার্স আর মিরাকলস বিরতিহীনভাবে ঘটে চলেছে -খেয়াল করে দেখলে যেগুলো কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয় -যদি দেখার উপযুক্ত চোখ এবং উপলব্ধি করার মত বাস্তব অর্থেই একটি মুক্ত মন থেকে থাকে।
.
যাই হোক, আলোচনায় ফেরা যাক।
কথা হচ্ছিল কার্বোহাইড্রেট নিয়ে।
.
তো এখন কথা হলো, আমাদের তথা বিশ্বের অনেক স্থানেই অধিকাংশ খাদ্যবস্তু ও এনার্জি সাপ্লাইয়িং সাবস্টেন্স হলো কার্বোহাইড্রেট।
আরও স্পেসিফিক্যালি বললে, মূলত পলিস্যাকারাইডস।
.
যেমন ধরা যাক চালে সঞ্চিত হয়ে থাকা স্টার্চের কথা।
.
এই স্টার্চ মূলত আর কিছুই না, বেসিক্যালি গ্লুকোজের ২টি পলিমার।
অর্থাৎ অসংখ্য গ্লুকোজ অণু বা ইউনিট একের পর এক সংযুক্ত হয়ে বিশাল বড় ২টি চেইন গঠন করে, যার একটি শাখাবিহীন এবং অন্যটি শাখাযুক্ত।
.
এভাবে পলিমারাইজেশন বা একত্রে অনেকগুলো অণু পরস্পর যুক্ত হয়ে বিশাল স্ট্রাকচার গঠনের অন্যতম সুবিধা হলো প্রয়োজনের সময় সহজেই বিপুল সংখ্যক গ্লুকোজ অণুর যোগান দেওয়া সম্ভবপর হয়।
.
এখন এই যেমন উদ্ভিদে সঞ্চিত বা স্টোরড কার্বোহাইড্রেট হিসেবে স্টার্চ রয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে প্রাণীদেহে সঞ্চিত বা স্টোরড হওয়া কার্বোহাইড্রেটও আছে;
যার নাম হলো গ্লাইকোজেন -যেটাকে " প্রাণীজ স্টার্চ " নামেও অভিহিত করা হয়।
.
এই গ্লাইকোজেন আচার-আচরণে স্টার্চেরই কপি বলা যায়, কিন্তু সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য অবশ্যই আছে।
.
স্টার্চ ও গ্লাইকোজেন -উভয়েই গ্লূকোজের পলিমার হওয়া সত্ত্বেও স্টার্চে যেখানে ২টি চেইন থাকে, গ্লাইকোজেনে সেখানে থাকে ১টি চেইন।
গ্লাইকোজেনের চেইনটি স্টার্চের শাখাযুক্ত চেইনটির মতই সেইম- শাখাযুক্ত, কিন্তু শাখা সৃষ্টি হবার সংখ্যা স্টার্চের তুলনায় অনেক বেশি।
.
এসব ব্যাপারে কিছু পরে আসার চেষ্টা করা হবে ইন শা আল্লাহ।
.
তো পূর্বে যে ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছিল, খাদ্য হিসেবে কার্বোহাইড্রেটের কথা।
.
আমরা যখন কোন খাবার খাই, তাতে যে কার্বোহাইড্রেটই থাকুক না কেন- মনো, অলিগো কিংবা পলিস্যকারাইড -সেটা থেকে এনার্জী পেতে হলে তাকে গ্লুকোজ ডিপেন্ডেড পাথওয়ে (গ্লাইকোলাইসিস) হয়েই যেতে হয়।
.
অর্থাৎ আপনি দুধ খান, কিংবা চিনি খান, অথবা ভাত খান কি রুটি খান -শক্তি পেতে হলে এর সবগুলোর কার্বোহাইড্রেট অংশকেই ভেঙে গ্লুকোজের পাথওয়ে হয়েই আগে বাড়তে হবে।
এখন হয় তা সরাসরি অল্টারড/চেইঞ্জড হয়ে পাথওয়েতে যাবে, আর নাহলে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে পাথওয়েতে যাবে।
.
এখন আপাতত বোঝার ও আলোচনার সুবিধার্থে সবচাইতে সিম্পল কার্বোহাইড্রেট খাবার, অর্থাৎ ভাত নিয়েই কথা বলা যাক।
কারণ ভাতের সম্পূর্ণটাই গ্লুকোজ, এর ভিন্ন আর কোন কার্বোহাইড্রেট নেই তাতে।
.
এই ভাত খাবার পর যখন তা হজম হওয়া আরম্ভ হয়, তখন তা " আলফা-অ্যামাইলেজ " নামক এক এনজাইমের প্রভাবে ভেঙে গ্লুকোজ মলিকিউল মুক্ত হয়।
.
এই গ্লুকোজ মলিকিউলগুলো ব্লাডের মাধ্যমে বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পৌঁছে যায়,
এবং ইনসুলিন নামক হরমোনের উপস্থিতিতে সেসব স্থানের কোষের মেমব্রেনে অবস্থিত ভিন্ন ভিন্ন ১২ ধরণের GLUT নামক ট্রার্ন্সপোর্টার প্রোটিনের মাধ্যমে কোষের ভেতরে শোষিত হয়।
.
এ পর্যন্ত তো গেল খাওয়া থেকে হজম হওয়া, কোষে শোষিত হওয়া ইত্যাদি পর্যন্ত হওয়া কার্যক্রমের মোটামুটি রাফ একটা বর্ণনা -যার বিস্তারিত বায়োকেমিক্যাল ও বায়োফিজিক্যাল বিবরণ শুরু করলে আর্টস, কমার্স, সাহিত্য, ললিতকলা প্রভৃতি ব্যাকগ্রাউন্ডের বিজ্ঞানীরা দেখা যাবে ভিমড়ি খেয়ে জ্ঞানই হারিয়ে ফেলবেন।
এত আগেই প্যাঁচা, শিয়াল, বাঘ, ভাল্লুকের মুখোশ নিয়ে মঙ্গল কামনা করতে বের হওয়া প্রবল বিজ্ঞানমনস্ক সম্প্রদায়কে ভড়কে দেওয়াটা মোটেই তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না, আর তা এই মূহুর্তে উদ্দেশ্যও না।
.
কাজেই এগিয়ে যাওয়া যাক।
.
ভাত খাবার পর ব্লাডের মাধ্যমে স্বীয় ঠিকানায় তো বেশ অনেকখানি গ্লূকোজ পৌঁছে গেল;
কিন্তু যে গ্লুকোজ মলিকিউলগুলোর প্রয়োজনের অতিরিক্ত থেকে যায়, সেগুলো?
.
সেগুলোর কি কোন কাজ নেই?
.
যেহেতু বঙ্গদেশীয় বিজ্ঞানের ঠিকাদারেদের প্রমাণ ও ভিত্তিহীন দাবীনুযায়ী এসমস্ত কিছু 'এমনি এমনি"-ই তৈরী হয়ে যায় নি, কাজেই অতিরিক্ত গ্লুকোজ অণুগুলোরও অবশ্যই কাজ আছে।
.
আর সে কাজ হলো সেগুলো সেই পূর্বোল্লিখিত গ্লাইকোজেন হিসেবে দেহে, যেমন বলা যায় লিভার সেল বা যকৃতকোষে সঞ্চিত থাকে।
.
এই দেশের অনলাইনে কিংবা "চারুকলা ল্যাবোরেটরিতে" বিজ্ঞান চর্চাকারীরা যখন ঘাড়ের রগ কয়েক গুণ মোটা করে ফুলিয়ে ও "ত্যাঁড়া" করে- বিশ্বজগত ও এর মধ্যস্থিত যাবতীয় বস্তু শুধু কিছু অ্যাক্সিডেন্টেরই মাধ্যমে "হুদামুদাই" তৈরী হয়েছে -এ মতবাদ ঝাড়তে আসে,
তখন তারা সেটার স্বপক্ষে প্রমাণস্বরূপ অধিকাংশ সময়েই এই বিশাল সৃষ্টিজগতের সীমাহীন শৃঙ্খলা ও হারমোনীর মাঝে তথাকথিত কিছু "বিশৃঙ্খলা" খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা করে।
.
তো এ বার তাদের জন্য ব্যাপারটা নাহয় একটু সহজই করে দেওয়া যাক, নাকি?
.
তো ব্যাপারটা হলো-
.
ভাতে থাকে স্টার্চ, হজমের সময় যা এনজাইমের প্রভাবে ভেঙে গ্লুকোজ রিলিজ করে।
এই এনজাইমের সিক্রেশন বা ক্ষরণ হয় শক্তির বিনিময়ে, অর্থাৎ গ্লুকোজ থেকে শক্তি পাওয়ার আগেই বেশ কিছু অলরেডী শক্তি খরচ হয়ে গেল।
.
এরপর সেই মুক্ত হওয়া গ্লুকোজ রক্তের মাধ্যমে সারাদেহে পৌঁছাবে -আবার শক্তি খরচ।
.
সেল বা কোষে শোষিত হতে ইনসুলিন লাগবে -যা ক্ষরিত হতে পুনরায় শক্তি "খরচিত"।
তারপর ইনসুলিন আসলে গ্লুকোজ কোষে শোষিত হবে -আবারো শক্তির ব্যয়।
.
এরপর কোষের ভেতরে সেই গ্লুকোজ মেটাবোলাইজড অর্থাৎ বিপাক হবে, বিপুল সংখ্যক এনজাইম লাগবে -কথা কম, শক্তি দাও আগে।
.
কেবল শক্তি তৈরী করতেই ইতোমধ্যেই এভাবে শক্তি খরচ হতেই আছে, তার ওপর আবার অতিরিক্ত গ্লুকোজ অণুগুলো যখন লিভার সেলে স্টোর হবে,
সেখানে তারা আবার পুনরায় পরস্পর যুক্ত হয়ে পলিমার গঠন করে গ্লাইকোজেন হিসেব থাকবে, যেখানে আবার শক্তি লাগবে।
.
- "ফাইজলামি নাকি?"
- "কোন মানে হয় এগুলার?"
.
এমনিতেই শুরুর পলিমার স্টার্চ থেকে ভেঙে গ্লুকোজ পেতে এতকিছুর মধ্যে দিয়ে যাওয়া লাগলো, আবার সেই পলিমারই (গ্লাইকোজেন) তৈরি করার মানেটা কী?
.
কী, সহজ হয়ে গেল না স্বঘোষিত বিজ্ঞানীদের জন্য ব্যাপারটা?
.
দেহের কাজে যখন গ্লুকোজই লাগতেছে, তখন একবার সেইটার পলিমার ভেঙে আবারও সেই পলিমারই বানানোর মানে কী?
এতে শক্তি অপচয় না করে গ্লুকোজ হিসেবে স্টোর করলেই হলো, শুধুশুধু অনর্থক কাজ করাই কি প্রমাণ করে না, যে- "স্রষ্টা বলে কিছু নেই, ওসব গুহাবাসীয় চিন্তাভাবনা" ?
কারণ সৃষ্টিজগতের উদ্দেশ্যই তো যতটা সম্ভব কম এনার্জী খরচে অধিক পরিমাণে কাজ করে এনার্জী কনজার্ভ করে রাখা যায়।
.
এখন এই "স্রষ্টার অনুপস্থিতি"-র স্বপক্ষে থাকা এই অতীব সহজবোধ্য, সাবলীল এবং কংক্রীটতুল্য "যুক্তি"-র বিপরীতে "গণ্ডমূর্খের মত মধ্যযুগীয় কিছু এক্সপ্লেনেশন" দিতে হলে অন্য একটা ব্যাপারে একটু মনোযোগ দিতে হবে।
তবে তা কোন ব্যাপার না।
.
ইন্টারফেইল হয়ে কিংবা সাহিত্যকলার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে এসে যদি তারা লাইফ সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স, অ্যাস্ট্রোনমি প্রভৃতির বিশালাকারে বিস্তৃত জ্ঞানক্ষেত্রসমূহকে অবলীলায় নিজেদের পদচারণায় মুখরিত করতে পারে,অভিমানে গাল ফুলিয়ে বলতে পারে যে " বিজ্ঞান বুঝতে হলে যে কেবল সায়েন্সেই পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই, আমরাও তা পারি " ;
তাহলে আমাদের পক্ষেও তা খুব একটা কঠিন হবে না ইন শা আল্লাহ।
.
তো এখন সেই উল্লেখিত ব্যাপারটা হলো অসমোলারিটি, শুদ্ধ বাংলায় বললে অভিস্রাব্যতা।
.
ব্যাপারটা সহজে বলতে গেলে, ধরা যাক পানির একটা পাত্রের কথা -যার ঠিক মাঝখানে এমন একটা নেট না ফিল্টার দেওয়া, যার ভেতর দিয়ে শুধুমাত্র পানি-ই যেতে পারবে, পানিতে মিশে থাকা বস্তু নয়।
.
তো এখন সেই ফিল্টারের এক পাশে শুধু পানি বা কোন কিছু অল্প পরিমাণে কিছু মেশানো পানি,
আর অপর পাশে পানির সাথে সেই বস্তু বেশি পরিমাণে মিশিয়ে রাখলে -পানি ফিল্টারের কোন পাশ থেকে কোন পাশে যাবে, এবং কতটুকুই বা যাবে তা যেই ব্যাপারটা নির্ধারণ করে, তাই হলো অভিস্রাব্যতা।
.
অর্থাৎ ডানে শুধু পানি অথবা কম সলিউট বা দ্রব মেশানো পানি, এবং বামে বেশি পরিমাণে দ্রব মেশানো পানি রাখা হলে -পানির প্রবাহ হবে ডান থেকে বামে, অর্থাৎ যেখানে পানির পরিমাণ বেশি সেখান থেকে সে যেখানে তার পরিমাণ কম, সেখানে যেয়ে জমা হবে -যতক্ষণ না সবদিকে তা সমান হচ্ছে।
.
এখন কথা হলো, এই অসমোলারিটি বা অভিস্রাব্যতার একটা বড় পিকুলিয়ার বৈশিষ্ট্য আছে।
.
তা হলো, এটা দ্রবণে মিশ্রিত বস্তুর নাম্বার বা সংখ্যার ওপর নির্ভর করে,
সে বস্তুর আকার, আয়তনে, ওজন কিংবা ভর এগুলো কোনটার ওপরই নির্ভর করে না।
.
অর্থাৎ যদি কোন ফিল্টারের ডানপাশের পানিতে ১০টি ছোট ছোট কণা মেশানো থাকে, এবং বামপাশে যদি সেগুলোর চেয়ে বড় কেবল একটা কণা থাকে -তাহলেও পানি বামপাশ থেকে ডানপাশেই যাবে, তার বিপরীত কখনোই নয়।
.
তো এখন এই একই ব্যাপার সেল বা কোষের ক্ষেত্রে কল্পনা করা যাক- যার মেমব্রেনের ভেতরের অংশও জলীয়, এবং বাইরের অংশও জলীয়।
.
তো কোষে যদি গ্লুকোজ গ্লাইকোজেনরূপে জমা না হয়ে শুধু গ্লুকোজ্রূপেই জমা হতো, যার বাইরে গ্লুকোজের কনসেন্ট্রেশন কম -সেক্ষেত্রে কী হতো?
.
ধরা যাক, একটা গ্লাইকোজেন ড্রপলেট বা দানায় ৫টি গ্লুকোজ মলিকিউওল আছে।
.
তাহলে প্রশ্ন হলো, যদি কোন কোষে এই গ্লাইকোজেন দানাটি থাকে,তাহলে কি কোষটি বাইরে থেকে ভিতরে পানি বেশি ঢোকার ফলে কোষটি রাপচার হবে বা ফেটে যাবে;
নাকি তার বদলে এই ৫টি গ্লুকোজ মলিকিউল থাকলে তা বেশি পানি ঢোকার ফলে সহজে রাপচার হবে?
.
উপরিউক্ত আলোচনা বুঝে থাকলে জবাবের তীরটা অবশ্যই ২য় ক্ষেত্রের দিকে, অর্থাৎ ৫টি গ্লুকোজ অণুর দিকে যাবে।
.
তাহলে অস্তিত্বই যেখানে হুমকির মুখে -সেখানে শক্তি কনজার্ভ করা বেশি বুদ্ধিমানের কাজ, নাকি শক্তি খরচ করে প্রাণ বাঁচানোই অধিক জ্ঞানের পরিচয়?
.
তো এখন দেশের বিজ্ঞানের ঠিকাদারেরা মুখ ভোঁতা করে হয়তো বলতে পারে-
.
"আচ্ছা ঠিক আছে, মানলাম যে শক্তি বাঁচানোর চেয়ে প্রাণ বাঁচানো বেশী দরকারী।
কিন্তু সেটাও তো বাধ্য হয়ে নিজে থেকেই হতে পারে, কারণ তা নাহলে সে কোষের কার্যক্রমই হবে না।"
.
অতীব "সৌন্দর্য" যুক্তি।
.
তবে জবাবের আশা করার আগে তাদেরকে একটু সাজেস্ট করা উচিত- যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের CSE ডিপার্টমেন্ট থেকে ঘুরে আসার জন্য।
তবে কেবল গেলাম আর বাতাস খেয়ে চলে আসলাম উদ্দেশ্যে না, কিছু জিনিস জানার উদ্দেশ্যে।
.
যেকোন কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্টকে আপনি বলে দেখেন-
.
"এই যে আপনার হাতে এই কম্পিউটারটি -এটি তো আপনার বাংলা বা ইংলিশ, কিংবা অন্য কোন ভাষায় ইনপুট করা তথ্য বুঝতে পারে না, তার বুঝার জন্য সেগুলোকে বাইনারী কোডে রূপান্তরিত হতে হয়।
যেহেতু কম্পিউটারটি আপনার ইনপুট করা তথ্য বা ইনফরমেশন বুঝতে পারে না, আর বুঝতে না পারলে যেহেতু তার কার্যক্রমই চলতে পারবে না; কাজেই বোঝা যায় যে এই কম্পিউটারটি নিজে থেকেই তার কাজের সুবিধার জন্য এই মেকানিজমটি ডেভেলাপ করেছে, এর কোন ক্রিয়েটর নেই।"
.
এই কথা বলার পর যদি আপনাকে সুন্দরমত প্যাকেট করে আস্তে করে কোন মেন্টাল অ্যাসাইলামে পার্সেল করে দেওয়ার আয়োজন শুরু না হয়ে থাকে, তাহলেই বুঝবেন যে আপনার এই "যুগান্তকারী" যুক্তিটি একেবারে অব্যর্থ।
.
কারণ আপনি একজন CSE স্টুডেন্টকে যে "যুক্তি" দেখালেন, সে ছাত্র জানে যে তা কখনোই সম্ভবপর নয়।
কারণ সে জানে, যে একটি কম্পিউটারের নিজের কোনই কনশাসনেস নেই, নিজের ভালোমন্দের সেটার কোন চেতনা নেই -যে সেটি নিজেকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে আপনা-আপনিই কোন পদ্ধতি বা মেকানিজম ডেভেলাপ করতে পারে।
.
সে বস্তুটি তো শুধুমাত্র সেসমস্ত কাজই করতে পারে, যা করার জন্য সে অলরেডী কোন একজন ইনটেলিজেন্ট বিইং দ্বারা প্রি-প্রোগ্রামড হয়ে আছে।
.
তাহলে একটি বায়োলজিক্যাল সেল, বা কোষ -যার কোন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট নেই, কোন কনশানেসনেস বা চেতনা নেই, ভালোমন্দের কোন জ্ঞানবুদ্ধি নেই- সেটি কী করে নিজেকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে নিজে থেকেই কোন মেকানিজম তৈরী করতে পারে?
.
কী জবাব হতে পারে এ প্রশ্নের,
একমাত্র- কোন HIGHER, INTELLIGENT & SPREME BEING দ্বারা প্রি-প্রোগ্রামিং -এর ব্যাখ্যা ছাড়া?
.
আসলে ব্যাপারটা হলো চক্ষুদানে দৃষ্টিক্ষম করে তোলার চেষ্টা কেবল অন্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য,
নিজের চোখ নিজেই খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে না।
.
যাই হোক, ভিন্ন একটা ব্যপারে আসি।
.
এতক্ষণ তো গেল একবার খাওয়া পলিমার এত কষ্ট করে ভেঙে আবারো সেই পলিমার হিসেবেই তৈরী করে দেহে জমা রাখার পেছনের একটা কথা, এবার আরও কিছু কথা জানার চেষ্টা করা যাক ইন শা আল্লাহ।
.
দেখা তো গেল যে অসমোলারিটি নামক বস্তুর কারণে রাপচার হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সেল বা কোষে উপোরিল্লিখিত মেকানিজম ফলোড হয়।
.
কিন্তু মনোমার হিসেবে গ্লুকোজ সঞ্চিত না করে, পলিমার হিসবে গ্লাইকোজেনরূপে তা সঞ্চিত করার পেছনে যে সেই অসমোলারিটির ক্যারেক্টারিস্টিক্স ব্যবহার করে কী ধরণের মাইন্ড-ব্লোইং ডিজাইনিং রয়ে গেছে -সেটা?
.
কিছু পূর্বের আলোচনা থেকে তো এটা জানা গেল যে অসমোলারিটি, বা সহজ ভাষায় কোন ফিল্টারের মধ্য দিয়ে জলীয় পদার্থের প্রবাহ নির্ভর করে তাতে মিশে থাকা সলিউটের সংখ্যার ওপর ডিপেন্ড করে -সেগুলোর অন্য কোন বৈশিষ্ট্য যেমন ভর কিংবা আয়তন ইত্যাদি কোনকিছুর ওপরই নির্ভর করে না।
.
তাহলে এখন এমন একটি সেল বা কোষের কথা কল্পনা করা যাক, যার সলিউট বা দ্রব ধারণ ক্ষমতা ১০০টি।
অর্থাৎ সে কোষটির মেমব্রেনের বাইরের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে রাপচার হওয়া থেকে বাঁচতে সর্বোচ্চ ১০০টি সলিউট সেটির ভেতর থাকতে পারবে, এর বেশি সেটি পারবে না।
.
অর্থাৎ ১০০টির জায়গায় ১০১ কিংবা ১০২টি সলিউট সেটির ভেতরে হলেই অতিরিক্ত পানি বাহির থেকে ভেতরে ঢোকা শুরু করবে, এবং একসময় ফলাফল হবে রাপচার।
.
এ কোষটী তাহলে কী করে দেহের এনার্জী ডিমান্ড পূরণ করবে?
জমিয়ে রাখা মাত্র ১০০টি গ্লুকোজ মলিকিউল টান পড়লে তো মূহুর্তের মধ্যেই নাই হয়ে যাবে, তারপর?
.
তাহলে তো শুধুমাত্র বেঁচে থাকতে হলেই আর সব কাজ ফেলে কিছুক্ষণ পরপর কন্টিনিউয়াসলি খেয়েই যেতে হবে, আর এ করতে করতেই জীবন পার হয়ে যাবে।
তাহলে উপায়?
.
আচ্ছা, এবার তাহলে আরেকটা সিনারিও কল্পনা করা যাক- যেখানে যাবতীয় কন্ডিশন একই।
অর্থাৎ এক্ষেত্রেও একটি কোষের সলিউট ধারণ ক্ষমতা সেই ১০০টি-ই।
.
কিন্তু এবার একটু ডিফরেন্স আছে, আর তা হলো দিস টাইম স্টোরেজ হিসেবে মনোমাররূপে গ্লুকোজ মলিকিউল না রেখে পলিমাররূপে গ্লাইকোজেন হিসেবে রাখা হলো।
.
তাহলে গ্লাইকোজেন ড্রপলেট বা দানাও সর্বোচ্চ সেই ১০০টিই থাকতে পারবে।
.
কিন্তু টুইস্ট হলো এখানেই।
.
যদি ধরে নেওয়া হয় যে প্রত্যেকটি গ্লাইকোজেন দানায় অ্যাটলীস্ট ১০০০টি করেও গ্লুকোজ মলিকিউল আছে,
তাহলেও পুরো কোষে সঞ্চিত অবস্থায় মোট ( ১০০ X ১০০০ ) অর্থাৎ ১০০০০০টি গ্লুকোজ মলিকিউল পাওয়া যাবে -যা পূর্বের তুলনায় ১০০০ গুণ বেশি।
.
can we even begin to imagine the sheer brilliance of this extraordinary design?!!
.
কেবলমাত্র কাল্পনিক এক সিনারিওতেই যেখানে ১০০টির বেশি গ্লুকোজ অণু থাকলে একটি কোষ রাপচার হয়ে যাচ্ছে, সেখানে জাস্ট এক পলিমারাইজেশনের মাধ্যমে তার চেয়েও অ্যাটলীস্ট ১০০০ গুণ বেশি গ্লুকোজ অণু ডিপোজিট করে রাখা যাচ্ছে কোষটির কোন ক্ষতিই না করে -যা বাস্তবের ডেটায় দেখতে গেলে জানা যাবে যে প্রকৃত অ্যামাউন্টটা তার চেয়েও কত লক্ষ-কোটিগুণ হিউজ।
.
আর এ তো গেল ছোট্ট এক মানবদেহের অভ্যন্তরের কোটি কোটি মিরাকলস -এর মাত্র সামান্য দুই-একটি, এর বাহিরে তো বিশাল অন্তহীন বিশ্বজগত পড়েই রয়েছে।
.
এরপরেও কিছু মানসিক বিকারগ্রস্থ বলে বেড়ায় যে বিশ্বজগত স্রষ্টাহীন, তা নিজে থেকেই স্রষ্টি হয়েছে।
তারা বলে বেড়ায় সৃষ্টিজগতের তৈরীর সাথে " আল-খালিক্ব " নামের কোন সম্পর্কই নেই।
.
আহ, কত "রসালো"-ই না সেসব কথা!
কত "মুক্ত মন"-ই না তাদের!
.
ঠিক কতখানি "চোখ থাকিতে অন্ধ" এবং "মেন্টালি অ্যাবনরমাল" হলে যে এমন এমন আশর্চজনক সব feats করে ওঠা সম্ভবপর হয় -তা এই অধমের ধারণারও বাইরে।
.
কাজেই খুঁজুন আপনার পালনকর্তার নির্দশন আপনার চারপাশে, উপলব্ধি করুন তাঁর নির্দশন আপনারই মাঝে। [১]
.
জানুন, যে এই সীমাহীন বিশ্বজগত আপনা থেকেই তৈরী হয়ে যায় নি। [২]
.
অতএব চিন্তা করুন, মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্ত হউন। [৩]
.
=======
লেখকঃ মোঃ মশিউর রহমান
.
.
.
[১]
■অচিরেই আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাবো পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদে নিজেদের মধ্যে, ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে এ ক্বুরআন সত্য। এটাই কি যথেষ্ট নয়, যে আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা?
-সূরাহ ফুসসিলাত, ৫৩
.
■তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টিতে কোন তফাৎ দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও, কোন ফাটল দেখতে পাও কি?
■অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ -তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
-সূরাহ আল-মুলক, ৩-৪
.
.
[২]
■তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?
■না তারা নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করে না।
-সূরাহ আত্ব-ত্বুর,৩৫-৩৬
.
.
[৩]
■…এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করো।
-সূরাহ আল বাক্বারা, ২১৯ এর শেষাংশ
.
■…এমনিভাবে আল্লাহ তা'আলা তোমাদের জন্যে নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেন -যাতে তোমরা চিন্তাভাবনা করো।
-সূরাহ আল বাক্বারা, ২৬৬ এর শেষাংশ
.
■…আপনি বলে দিন: "অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা করো না?"
-সূরাহ আল আনআম, ৫০ এর শেষাংশ
.
■…আমার পালনকর্তাই প্রত্যেক বস্তুকে স্বীয় জ্ঞান দ্বারা বেষ্টন করে আছেন। তোমরা কি চিন্তা করো না?
-সূরাহ আল আনআম, ৮০ এর শেষাংশ
.
■…নিশ্চয়ই আমি প্রমাণাদি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে দিয়েছি তাদের জন্য, যারা চিন্তা করে।
-সূরাহ আল আনআম, ৯৮ এর শেষাংশ
.
■…ইনিই আল্লাহ, তোমাদের রব; কাজেই কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদাত করো। তোমরা কি কিছুই চিন্তা করো না?
-সূরাহ ইউনুস, ৩ এর শেষাংশ
.
■তিনিই ভূমণ্ডলকে বিস্তৃত করেছেন, এবং তাতে স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পাহাড়-পর্বত ও নদনদী এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দুটি করে প্রকার সৃষ্টি করেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা চিন্তা করে।
■এবং যমীনে বিভিন্ন শস্যক্ষেত্র রয়েছে -একটি অপরটির সাথে সংলগ্ন এবং আঙুরের বাগান আছে আর শস্য ও খর্জুর রয়েছে -একটির মূল অপরটির সাথে মিলিত এবং কতক মিলিত নয়। এগুলোকে একই পানি দ্বার সেচ করা হয়। আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উত্‍কৃষ্টতর করে দেই। নিশ্চয়ই, এগুলোর মধ্যে নিদর্শন আছে তাদের জন্য যারা চিন্তা করে।
-সূরাহ আর রা'দ, ৩ ও ৪
.
■…আল্লাহ মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন, যাতে তারা চিন্তাভাবনা করে।
-সূরাহ ইবরাহীম, ২৫ এর শেষাংশ
.
■এটা (ক্বুরআন) মানুষের জন্য একটি সংবাদনামা এবং যাতে এতদ্বারা ভীত হয় এবং যাতে জেনে নেয় যে উপাস্য তিনিই -একক; এবং যাতে বুদ্ধিমানেরা চিন্তাভাবনা করে।
-সূরাহ ইবরাহীম, ৫২
.
■তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে যেসব রং-বেরঙের বস্তু ছড়িয়ে দিছেয়েন, সেগুলোতে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্যে যারা চিন্তাভাবনা করে।
-সূরাহ আন নাহল, ১৩
.
■যিনি সৃষ্টি করেন, তিনি কি তার সমতুল্য যে সৃষ্টি করতে পারে না? তোমরা কি তবে চিন্তা করবে না?
-সূরাহ আন নাহল, ১৭
.
■আমি এই ক্বুরআনকে নানাভাবে বুঝিয়েছি, যাতে তারা চিন্তা করে। অথচ এতে তাদের কেবল বিমুখীতাই বৃদ্ধি পায়।
-সূরাহ আল ইসরা, ৪১
.
■তারা কি এই কালাম সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে না?…
-সূরাহ আল মু'মিনূন, ৬৮ এর প্রথমাংশ
.
■…বলুন: "যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে?" চিন্তাভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।
-সূরাহ আয-যুমার, ৯ এর শেষাংশ
.
■তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নির্দশনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে নাযিল করেন রুযী। চিন্তাভাবনা তারাই করে, যারা আল্লাহর দিকে ঋজু থাকে।
-সূরাহ গাফির, ১৩
.
■তারা কি ক্বুরআন সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করে না, না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
-সূরাহ মুহাম্মাদ, ২৪
.
■যদি আমি এই ক্বুরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা'আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তাভাবনা করে।
-সূরাহ আল হাশর, ২১

অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ঃ shottokothon.com  এবং response-to-anti-islam.com

ফেসবুক পেজঃ fb.com/shottokothon1

1 Comments

  1. সুবহানাল্লা। অসাধার।

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post