আল্লাহর অস্তিত্ব ছাড়া বাদবাকি সব ব্যাখ্যাই যৌক্তিক!
.
নাস্তিক এবং প্রকৃতিবাদীরা (naturalist) আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করার জন্য উদ্ভট সব তত্ত্ব হাজির করে। তাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয় -
- আমাদের চারপাশের এ জগত কি এলিয়েন বা অন্য গ্রহের প্রাণীদের বানানো কোন কম্পিউটার সিমুলেশন?
: হতে পারে!
- আমাদের এ চেনা বিশ্ব কি এরকম অগণিত অসংখ্য বিশ্বের মধ্যে একটি মাত্র? ব্যাপারটা কি এমন যে আমাদের এ বিশ্বের মতোই অসংখ্যা মহাবিশ্ব আছে (Multiverse), তবে সেগুলোর অস্তিত্ব প্রমাণ বা সনাক্ত করা সম্ভব না?
: যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে।
- মহাবিশ্ব কি বিশাল এবং সুসংঘটিত কোন চেতনা (consciousness) যা নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে?
: হতে পারে।
- কিংবা মহাবিশ্ব কি কোন উন্নত শ্রেণীর অশরীরী এলিয়েনের একটি রূপ মাত্র?
: কুল ! অসাধারণ! এমন তো হতেই পারে।
- মহাবিশ্ব কি কোন সর্বশক্তিমান সত্ত্বার সৃষ্টি?
: কিসব অযৌক্তিক কথাবার্তা। এটা কি প্রস্তর যুগ? আপনি তো দেখা যাচ্ছে রূপকথায় বিশ্বাস করেন।
প্রশ্ন হল পৃথিবীর বিখ্যাত বিজ্ঞানীরাই বা কেন এধরনের কষ্টলিপ্ত, অদ্ভুত থিওরী তুলে ধরছেন ?
কারন তারা খুব ভালমতই জানে শুধুমাত্র বস্তুবাদী ব্যাখ্যা দিয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব নয়। এসব ব্যাখ্যা সন্তোষজনকও না। কেবল প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা (naturalist explanation) দিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া যায় না। মহাবিশ্বের গঠন বৈশিষ্ট্যের কারণে তারা এটা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে এটা সকল বিচারে একে পরিকল্পিত ভাব সৃষ্ট বলেই মনে হয়। যেন এ মহাবিশ্বের সৃষ্টির পেছনে কোন উদ্দেশ্য এবং তার পেছনে কোন বুদ্ধিমান সত্ত্বার সংকল্প (Will) আছে।
.
কিন্তু যখন কেউ এটা স্বীকার করে নেয় তখন আদতে সে যার কথা ভাবছে সেই স্বত্বাটি যে আল্লাহ এটাই তারা স্বীকার করতে রাজি না। তাই তারা এলিয়েন, কম্পিউটার সিমুলেশন, মাল্টিভার্সের মত অযৌক্তিক গল্পের আমদানি করে, যেগুলো কিনা প্রকৃত বিজ্ঞান বা বস্তুবাদ থেকেও অনেক দূরে। হয়ত একদিন নিজেরাই সেই সত্যকে উন্মোচিত করবে যা গোপন রাখার জন্য তারা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
----------
মূল – ড্যানিয়েল হাক্বিকাতজু
অনুবাদ – সত্যকথন ডেস্ক
অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ঃ Click Here এবং Click Here
ফেসবুক পেজঃ Click Here
Post a Comment