আজকাল দুই ধরনের লোক নবীজির ﷺ বিয়ে নিয়ে আক্রমণ করে, দুর্বল ঈমানের মুসলিম আর অমুসলিম। দুর্বল ঈমানের মুসলিমরা অবাক হয় এই ভেবে যে, নবীজি ﷺ কীভাবে এমন কাজ করতে পারলেন? তাদের জন্য উত্তর হলো--এটা ছিল আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ তাআলা যা-ই আদেশ দেন না কেন, একজন মুসলিম হিসেবে তা মেনে নিতে হবে, এটা নিয়ে সন্দেহ বা সংশয় প্রকাশ করলে কিংবা প্রশ্ন তুললে মুসলিম থাকা যাবে না। নবীজির ﷺ সাথে আইশার (রা.) বিয়ে সাধারণ নিয়মের একটি ব্যতিক্রম, এটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু নবীজির ﷺ জন্য এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশিত হুকুম ছিল। সুতরাং আল্লাহর ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো অধিকার একজন মুসলিমের নেই।
.
আর যেসব অমুসলিম নবীজির ﷺ চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, তাদের মূল সমস্যা আসলে নবীজি ও আইশার বিয়ে নিয়ে নয়। তাদের সমস্যা হচ্ছে তারা মুহাম্মাদকে ﷺ আল্লাহর রাসূল হিসেবে বিশ্বাস করে না--এটাই তাদের সমস্যা। আইশার সাথে নবীজির ﷺ বিয়ে একটি অজুহাত মাত্র। নবীজি যদি আইশাকে বিয়ে নাও করতেন, তবুও এই ইসলাম বিদ্বেষীরা কোনো না কোনো বিষয় খুঁজে নিয়ে তাকে আক্রমণ করতো। কারণ তারা নবীজিকে ﷺ আল্লাহর রাসূল হিসেবেই মানে না। তাই তাঁর সম্পর্কে ভুল ধরার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। অমুসলিমদের সাথে নবীজির ﷺ বৈবাহিক জীবন নিয়ে তর্কে লিপ্ত হওয়াটাই তাই অর্থহীন। যখন মক্কার কুরাইশরা রাসূলুল্লাহকে নানা ভাবে আক্রমণ করছিল, তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কিছু আয়াত নাযিল করেন,
.
“তাদের কথাবার্তায় আপনার যে দুঃখ ও মনঃকষ্ট হয় তা আমি খুব ভালভাবেই জানি। কিন্ত তারা তো নিশ্চয়ই আপনাকে মিথ্যাবাদী বলে না, বরং এই জালিমরা আল্লাহর আয়াতকেই অস্বীকার করে।” (সূরা আনআম, ৬: ৩৩)
.
তারা ব্যক্তি মুহাম্মাদকে ﷺ অস্বীকার করেনি বরং তারা আল্লাহর বাণীকেই অস্বীকার করেছে। নবীজির সাথে তাদের আক্রমণাত্মক আচরণের কারণ ছিল এটাই যে তিনি আল্লাহর রাসূল। নবীজির ﷺ চরিত্রের জন্য আসলে তারা তাকে আক্রমণ করে না, বরং নবীজি ﷺ ইসলামের বার্তা প্রচারের মিশনে নেমেছেন দেখেই তাকে নিয়ে তাদের এতো ক্ষোভ।
.
-----------------------------------------
সীরাহ, প্রথম খণ্ড, নবীজির বৈবাহিক জীবন নিয়ে সমালোচনার জবাব, পৃষ্ঠা ৬৪
[Rain Drops]
অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ঃ shottokothon.com এবং response-to-anti-islam.com
ফেসবুক পেজঃ fb.com/shottokothon1
Post a Comment