রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সর্বশেষ নাসিহাহগুলো


আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যে কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ যে বিষয়ের উপর ছিলেন সেটা জানতে চায় সে যেন সূরা আল-আন’আমের এ আয়াতগুলো পড়ে নেয়। [ইবন কাসীর]

সুরাহ আল-আনআমের ১৫১-১৫৩ আয়াতগুলোতে আমরা সেই নাসিহাগুলো পাব, যা ছিল প্রিয় হাবীবুল্লাহের সর্বশেষ নাসিহাহ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন, তিনি সবাইকে ডেকে যেন বলেন-

“এদিকে এসো, তোমাদের রব্ব তোমাদের জন্য যা হারাম করেছেন আমি তা পড়ে শোনাই। তা এই যে,

  • তোমারা তাঁর সাথে কোন শরীক করবে না (শরীক করা হারাম)
  • পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে ( অসদ্ব্যবহার করা হারাম)
  • দারিদ্রের ভয়ে তোমার তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না, আমরাই তোমাদেরকে ও তাদেরকে রিজিক দিয়ে থাকি (রিজিকের কথা চিন্তা করে অনেকে জীবিত বা পেটের সন্তানকে হত্যা করি তা হারাম)
  • প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক, অশ্লীল কাজের ধারেকাছেও যাবে না(ধারেকাছে যাওয়া হারাম)
  • আল্লাহ্‌ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তোমরা তাকে হত্যা করবে না(কাউকে বিনাদোষে হত্যা করা হারাম)
  • আর ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ছাড়া তার সম্পত্তির ধারেকাছেও যাবে না(ইয়াতিমের মাল খাওয়া হারাম)
  • পরিমাপ ও ওজন ন্যায্যভাবে পুরোপুরি দেবে(ওজনে কম দেওয়া বা ধোঁকা দেওয়া হারাম)
  • যখন তোমারা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে, স্বজনের সম্পর্কে হলেও(সর্বাবস্থায় হক কথা বলতে হবে, মিথ্যা বলা হারাম)
  • এবং আল্লাহকে দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করবে (আল্লাহর সাথে করা ওয়াদা ভঙ্গ করা হারাম)
  • আর এ পথই আমার সরল পথ, কাজেই তোমরা এর অনুসরণ কর(সিরাতুল মুস্তাকিম ব্যতীত অন্য পথে চলা হারাম)
  • এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে( অবাধ্য হলে এই আমাদের পরিণতি)
  • আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমারা তাকওয়ার অধিকারী হও।


গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখুন না, প্রতিটা কাজই আমাদের ভালর জন্য, আর এই কাজগুলো না করে বিপথে গেলেই আমরা নানান গুনাহে ডুবে যাই আর হতাশায় পড়ে দিকবিদিক শূন্য হয়ে পড়ি।

এই উম্মতের মাঝে কে আছে রাসুলের সর্বশেষ নাসিহাহগুলো সুন্দর করে মেনে চলবে ও অপরকে দাওয়াত দিবে ও জানাবে।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
লেখাঃ যায়নাব আল গাজী (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)

1 Comments

  1. জাযাকাল্লাহ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ।

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post