দ্রুত বিয়ে হওয়ার ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল


এ সম্পর্কে লিখার আগে কিছু প্রয়োজনীয় কথা লিখতে চাই, ইনশাআল্লাহ।

১.গুনাহ ছেড়ে দিন।

২.সর্বাবস্তায় ইস্তিগফার পাঠ করুন,লাজিম বানিয়ে নিন। [এটা আপনাকে রিযিক পেতে সাহায্য করবে খুব দ্রুত] পূর্বের গুনাহের জন্য তাওবা করুন অনুতপ্ত হোন।

৩. আগে নিজে দ্বীনদার হোন।

৪.দোয়া করুন প্রচুর দোয়া করুন আপনি কেমন স্ত্রী চান সেটা আল্লাহকে বলুন, পুংখানোভাবে আপনার মনোভাব ব্যক্ত করুন, এটা অনেক পাওয়ারফুল একটা আমল,দোয়া কখনো ফেরত যায় না,

রাসুল সাঃ বলেন ,

لاَ يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلاَّ الدُّعَاءُ
"ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দুআ ব্যতীত।" [তিরমিযীঃ ২১৩৯]

এবার আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিয়ের ফায়সালা হওয়ার জন্য এই আমল গুলো করতে পারেন ইনশাআল্লাহ, কুরআন হাদীসে বর্ণিত নিম্নোক্ত দোয়া গুলো পাঠ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

১. অতিদ্রুত হালাল, উত্তম ও সম্মানজনক রুজি এবং উত্তম ও দ্বীনদার স্ত্রী কিংবা স্বামী পাওয়ার জন্য বেশি বেশি করে মুসা আলাইহিস সালাম কৃত দুআটি পড়তে পারেন:

رَبِّ اِنِّیۡ لِمَاۤ اَنۡزَلۡتَ اِلَیَّ مِنۡ خَیۡرٍ فَقِیۡرٌ

"হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।" [সুরাহ কাসাস, আয়াত : ২৪]

২. উত্তম জীবনসঙ্গী, নেককার সন্তান-সন্ততির জন্য আল্লাহ তাআলার শিখিয়ে দেয়া কুরআনি এই দুআটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক অর্থপূর্ণ,

رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا.

"হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।" [সুরাহ ফুরকান, আয়াতঃ ৭৪]

৩. নিয়মিত বেশি বেশি সুরা অালাম নাশরাহ পড়ুন অর্থসহ এবং অর্থটি অন্তরে দৃঢ়ভাবে বসিয়ে নিন।

৪. সংক্ষিপ্ত কমন রুকইয়াহ শুনতে পারেন প্রতিদিন।

৫. নিয়মিত সুরা ইউসুফ, সুরা নূর, সুরা মুমিনুন, সুরা লোকমান, সুরা ওয়াকিয়াহ, সুরা ইয়াসিন, সুরা লোকমান, সুরা মুলক, সুরা শুআরা, এবং সুরা অাল বাকারাহ সাধ্যনুযায়ী পড়তে থাকুন অর্থসহ, টেবিল থেকে উঠার সময় কুরআনের তাৎপর্য টেবিলে রেখে উঠবেন না, অর্থ পড়ান উত্তম পদ্ধতি হলো এক রুকু বা এক পৃষ্ঠা করে পড়া, অর্থাৎ এক রুকু তিলাওয়াত করবেন তারপর সেই অংশের অর্থটুকু পড়বেন।

৬. নিয়মিত সালাতুল হাজত ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুন। আপনার সমস্যার কথা আল্লাহকে খুলে বলুন।

৭. বেশি বেশি নফল গোপন সাদকাহ দান করুন।

কখনো হতাশ হবেন না, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আপনি যখন এই ব্যাপারে চেষ্টা করে যাবেন তখন আপনাকে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব হয়ে যায়, আল্লাহর সাহায্য অাবশ্যম্ভাবি হয়ে যায়,। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ﺛَﻠَﺎﺛَﺔٌ ﺣَﻖٌّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻮْﻧُﻬُﻢْ: ﺍﻟﻤُﺠَﺎﻫِﺪُ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻤُﻜَﺎﺗَﺐُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻷَﺩَﺍﺀَ، ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﻛِﺢُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻌَﻔَﺎﻑَ

"তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ্ তাআলার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলার রাস্তায় জিহাদকারী, চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায় এবং ওই বিবাহে ইচ্ছুক ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।" [তিরমিযীঃ ১৬৫৫, নাসায়ীঃ ৩২১৮]

ধৈর্যধারণের সাথে সবসময় এই আমলগুলো করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ, আল্লাহু সুবাহানাওতায়ালার প্রতি পুর্ণাঙ্গ বিশ্বাস ও দৃঢ় আস্থা রাখুন। ইনশাল্লাহা শীঘ্রই ব্যবস্থা ব্যবস্হা হয়ে যাবে, আল্লাহ সবাইকে ধৈর্য দান করুক এবং এই সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের অাসান করে দিন, দ্রুত মুক্ত করে দিন।



লেখা: Nafis Nawar (আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক)

Post a Comment

Previous Post Next Post