জ্ঞানী ব্যক্তিদের উপদেশ



(১) উমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেছেন, “খারাপ লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। কেননা, খারাপ লোকেরা তোমাকে তাদের মন্দ জিনিস শিক্ষা দিবে।” মুখতাসার মিনহাজ আল-ক্বাসিদিনঃ ১৩২।

(২) ইমাম আল-আওযাঈ রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “ইন শা আল্লাহ বলে কোন ওয়াদা করা কিন্তু অন্তরে সেই ওয়াদা পূরণ করার জন্য নিয়ত না রাখা একপ্রকার মুনাফেক্বী।” জামি আল-উলুমঃ ২/৪৮২।

(৩) কাসীর ইবনে সাইফী রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “প্রিয় বন্ধুদের সাথে সাক্ষাতের দ্বারা দুঃখ দুঃশ্চিন্তা সহজ বলে অনুভূত হয়।” আল-ইখওয়ানঃ ৯৪।

(৪) ইমাম বুখারী রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “যেই দিন থেকে আমি জানতে পেরেছি যে, গীবত করলে তা শুধু গীবতকারীর ক্ষতি করে, সেইদিন থেকে আমি কখনো কারো নামে গীবত করিনি।” ইমাম বুখারী রহি’মাহুল্লাহর আক্বীদাহঃ ৭, ইমাম লালক্বাঈ রহি’মাহুল্লাহ।

(৫) ইমাম বুখারী রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “আমি আমার সহীহ আল-জামি (অর্থাৎ সহীহ বুখারী নামক) গ্রন্থে এমন কোন হাদীস লিপিবদ্ধ করিনি, যার পূর্বে আমি গোসল করে দুই রাকআ’ত (নফল) নামায পড়ে নেইনি।” তারিখ মদীনা আস-সালামঃ ২/৩২৭।

(৬) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “আল্লাহ তাআ’লা যখনই কোন নবীকে পাঠিয়েছেন, ইবলীস তাঁকে নারীদের ফেতনায় ফেলার জন্য চেষ্টা করেছে।” ইবনে আবিদ-দুনিয়া রহি’মাহুল্লাহর মাকাদ আল-শায়ত্বানঃ ৬২/৪২।

(৭) ইমাম ইবনে রজব রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “যদি দোষ-ত্রুটি মুক্ত এমন সর্বগুণে গুণান্বিত ব্যক্তি লোকদেরকে উপদেশ দিবে, তাহলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের পরে এমন কোন মানুষ পাওয়া যেতো না, যে কিনা উপদেশ দেওয়ার জন্য যোগ্য। কেননা, একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যতীত অন্য কোন মানুষ নেই, যে কিনা সমস্ত দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত।” লাতায়িল মাআ’রিফঃ ১৯।

(৮) ইমাম শাফেয়ী রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “যে ব্যক্তি বলে যে, ক্বুরআন মাখলুক্ব (আল্লাহর একটি সৃষ্টি) তাহলে সেই ব্যক্তি কাফের।” আল-খামীসঃ ১৪।

(৯) ইমাম আবু দাউদ রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “যে ব্যক্তি অন্যের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ায় তাহলে তার নিজের দোষ-ত্রুটি লোকদের সামনে প্রকাশ হয়ে যাবে।” তাহযীব আত-তাহযিবঃ ১১/২৫১।

(১০) ওয়াহব ইবন মুনাব্বিহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: মুমিন মানুষের সাথে মিশে, শেখার জন্য; নীরব থাকে, নিরাপদে থাকার জন্য; কথা বলে, বোঝার জন্য; আর একাকী থাকে, কিছু অর্জন করার জন্য। -[আবুশ শাইখের ‘আল-আযামাহ’: ৫৬, ইবনু আবিদ্দুনিয়ার ‘উযলাহ’: ১০২]

Post a Comment

Previous Post Next Post