দুআ কবুল হওয়ার গোপন রহস্য : যে দুআ কখনো ব্যর্থ হয় না



بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

হা’ফিয ইবনে আল-ক্বাইয়্যিম رَحِمَهُ ٱللَّٰهُ (মৃত্যুঃ ৭৫১ হিজরী) দুআর আদব সম্পর্কে বলেছেনঃ

(১) দুআকারী ব্যক্তি যেন ‘হুজুরে ক্বালব’ অর্থাৎ উপস্থিত বা মনোযোগী অন্তর নিয়ে দুআ করে। আল্লাহর কাছে কি প্রার্থনা করা হচ্ছে সেইদিকে যেন তার অন্তরের পূর্ণ খেয়াল থাকে।

(২) যে ছয়টি সময়ে আল্লাহ দুআ কবুল করেন সেগুলোর মাঝে কোন একটি সময়কে দুআর জন্য বেছে নেয়। সেই সময়গুলো হচ্ছে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে, আযানের ঠিক পরের মুহূর্তে, আযান ও ইক্বামতের মাঝখানে, ফরয সালাতের শেষ অংশে (তাশাহুদের পরে এবং সালাম ফেরানোর পূর্বে), জুমুআ’র দিনে ইমাম যখন খুতবাহ দেওয়ার জন্য মিম্বারে দাঁড়ায় সেই সময় থেকে সালাত শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত, জুমুআ’র দিন আসরের পরে দিনের শেষ অংশে।    

(৩) দুআর সময় অন্তরে আল্লাহর প্রতি ‘খুশু’ অর্থাৎ ভয় এবং বিনয় বজায় রাখে।

(৪) বিনয়ী হয়ে নিজেকে নত করে আল্লাহর কাছে বারবার প্রার্থনা করে।

(৫) যে দুআ করবে সে যেন নিজেকে পবিত্র করে অর্থাৎ ওযু অবস্থায়, ক্বিবলামুখী হয়ে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুই হাত তুলে দুআ করে। 

(৬) দুআর শুরুতে সে যেন আল্লাহর হা’মদ ও সানা অর্থাৎ প্রশংসা স্তুতি পাঠ করে। অতঃপর তাঁর বান্দা মুহাম্মদ (ﷺ)-এর প্রতি সালাত পেশ করে বা দুরুদ পাঠ করে। 

(৭) আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাওয়ার পূর্বে সে যেন প্রথমে তার কৃত গুনাহর জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার করে।

(৮) অতঃপর আল্লাহর কাছে সে তার প্রয়োজনীয় আর্জি পেশ করবে। 

(৯) দুআর সময় সে অবশ্যই বিনয়ী থাকবে, অন্তরে আল্লাহর রহমতের আশা ও তাঁর শাস্তির ভয় নিয়ে দুআ করবে।  

(১০) আল্লাহ তাআ’লার ‘আসমা’ (সুন্দরতম নামসমূহ), ‘সিফাত’ (সুউচ্চ গুণাবলী) এবং তাঁর ‘তাওহীদ’ বা একত্বের উসীলা দিয়ে দুআ করবে।

(১১) দুআর পূর্বে সাদাক্বাহ (নফল দান) করবে। 

(১২) নবী (ﷺ)-এর শিখানো দুআ দিয়ে প্রার্থনা করবে। 

(১৩) যেই সময়ে বা যেই স্থানে দুআ কবুলের ওয়াদা করা হয়েছে, সেই সময়ে বা সেই স্থানে দুআ করবে। 

(১৪) দুআর মাঝে আল্লাহর তাআ’লার ইসমে আ’যম দিয়ে দুআ করবে।   

কোন ব্যক্তি যদি এইভাবে দুআ করে তাহলে নিশ্চয়ই এই দুআ কখনো ব্যর্থ হয় না।” 

উৎস:  ব্যাধি এবং তার চিকিৎসা, আল-জওয়াব আল-কাফি (الداء والدواء)। 


1 تعليقات

إرسال تعليق

أحدث أقدم