জীবিকা নির্বাহের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ছিয়াম ভঙ্গ করার বিধান

যে ব্যক্তি রমাযানের ছিয়াম পরিত্যাগ করে এই যুক্তিতে যে- "সে নিজের এবং পরিবারের জীবিকা উপার্জনে ব্যস্ত। সে যদি এই ব্যাখ্যা করে যে, অসুস্থ ব্যক্তি যেমন ছিয়াম ভঙ্গ না করলে বেঁচে থাকতে অক্ষম তেমনি আমিও তো দরিদ্র অভাবী, জীবিকা উপার্জন করতে হলে আমাকে ছিয়াম ভঙ্গ করতে হবে।"

এই যুক্তি খোঁড়া এবং নিঃসন্দেহে এ ব্যক্তি মূর্খ (জ্ঞানহীন)। অতএব অজ্ঞতার কারণে এবং অপব্যাখ্যার কারণে সে উক্ত সময়ে কাযা আদায় করবে। আর সে জীবিত না থাকলে তার পরিবার তার পক্ষ থেকে কাযা আদায় করে নিবে। কেউ কাযা আদায় না করলে তার পক্ষ থেকে প্রতিদিনের বিনিময়ে একজন করে মিসকিনকে খাদ্যয খাওয়াবে।

কিন্তু যদি কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়া অর্থাৎ যুক্তিহীন ভাবে ছিয়াম পরিত্যাগ করে থাকে, তবে বিদ্বানদের মতামত সমূহের মধ্যে থেকে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে, "সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ইবাদাত সমূহ বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃতভাবে সময় অতিবাহিত করে আদায় করলে তা কবূল হবে না। তাই এ লোকের উপর আবশ্যক হচ্ছে আল্লাহর নিকট তাওবা করা। নেক আমল ও নফল ইবাদাত সমূহ বেশি বেশি সম্পাদন করা ও ইস্তেগফার করা।"

নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি এমন আমল করবে যাতে আমাদের নিদর্শন নেই। তবে তা প্রত্যাখ্যাত।" -(মুসলিমঃ বিচার ফয়সালা অনুচ্ছেদ)

সুতরাং সময়ের সাথে নির্দিষ্ট ইবাদাত সমূহ যেমন সময়ের পূর্বে আদায় করলে কবুল হবে না। অনুরূপভাবে সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তা গ্রহণীয় হবে না। কিন্তু অজ্ঞতা বা ভুলের ব্যপারে কাযা আদায়ের সুযোগ রয়েছে।

- শাইখ মুহাম্মদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহ.)

Post a Comment

Previous Post Next Post