আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দ্বীন আল ইসলাম ই যথেষ্ট

একদা এক ধার্মিক লোক বাস করতো মিশরে। তার একজন অনুগত ছেলে ছিল।

ছেলের যখন বিয়ের সময় হল, তখন ছেলের বিয়ের জন্য ঐ লোক মেয়ে খুঁজতে শুরু করলো । আর ঐ ছেলে তার পিতার উপর আস্থা রেখে সম্পূর্ণ দায়িত্ব পিতাকে দিয়ে দিলো।

একদিন পিতা ছেলের বিয়ের জন্য একজন ভালো মেয়ে খুঁজে পেলো এবং বিবাহ ঠিক করে ফেললো।

ছেলে শুনে খুব খুশি হলো এবং বিবাহের জন্য অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকলো।

নির্ধারিত তারিখে বিয়ের পর ছেলে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) কক্ষে প্রবেশ করলো। যখন আগ্রহের সাথে স্ত্রীর দিকে তাকালো, তখন খুব বিস্মিত হলো। কারণ তার স্ত্রী ছিলো অনেক কুৎসিত । যা তার একদম পছন্দ হয় নাই। এমনকি সে এতটাই শোকাহত হয়েছে যে, তার মুখ দিয়ে কিছুই বেড় হচ্ছিলোনা। আর এমন অবস্থায় সে প্রায় বেহুঁশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

স্ত্রী, এই অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেও অনেকটা কষ্ট পেয়েছে। আর এ অবস্থায় কিছু করতে না পেরে হতাশ হয়ে বসে আছে । অনেকক্ষণ পর সে তার স্বামীকে জাগানোর চেষ্টা করলো এবং জাগাতে সক্ষম হলো। তারপর সে বললো-

"আমি বুঝতে পেরেছি, আমাকে আপনার পছন্দ হয় নাই। তবে আমার বিবাহ পরবর্তী একটা আশা ছিলো, আমার স্বামীকে নিয়ে একসাথে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবো । কারণ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, 'উত্তম স্বামী/স্ত্রী সেই যে নিজে রাতে সালাত আদায়ের জন্য বিছানা ছাড়ে এবং স্ত্রী/স্বামীকে জাগিয়ে দেয় । যদি সে (স্ত্রী/স্বামী) না উঠে, চোখে পানি ছিটকে দেয়।' আপনার নিকট একটি অনুরোধ, আপনি আমাকে এই হাদীসটি পালনের জন্য আমার সাথে সালাতে দাঁড়ান।"

তখন ছেলেটি ঐ মেয়ের অনুরোধে পবিত্রতার সাথে সালাতে দাঁড়িয়ে পড়লো এবং একসাথে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করলো।

সালাত আদায়ের পর ছেলেটি তার স্ত্রীর দিকে পুনরায় দৃষ্টি দিলো এবং নিজের মধ্যে একটি পরিবর্তন অনুভব করলো। সে এবার তার স্ত্রীর মধ্যে দুনিয়ায় অন্য মেয়েদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য খুঁজে পেলো। অর্থাৎ মেয়েটির দ্বীন তার স্বামীর অন্তরকে এতটাই পরিবর্তন করে দিলো যে, সে তার স্ত্রীর কুৎসিত চেহারার মধ্যেও দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য খুঁজে পেলো। (সুবাহান'আল্লাহ)


ইউটিউব চ্যানেল 'ফরইভার মুসলিম' থেকে 'আস-সিরাত মিশন' টিম কর্তৃক অনুবাদকৃত।

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post