পশ্চিমারা ভাব-ভঙ্গিতে কেতাদুরস্ত হলেও কুসংস্কার তাদের অস্থি-মজ্জায় মিশে আছে।
"একটি মজার ঘটনা ঘটে ষাটের দশকের শেষ দিকে। ঘটনাটি হলো, একটি এপোলো মহাকাশযান চাঁদে যাত্রা করে গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়। মহাকাশে হারিয়ে যেতে যেতে একেবারে শেষ মুহূর্তে রক্ষা পায় এবং কোনোমতে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
এরপর ক্রুদেরকে আটলান্টিক থেকে উদ্ধার করে কেপ কার্নিভালে বেইসে ফিরিয়ে আনা হলে সাংবাদিকরা ফ্লাইট কমান্ডারের কাছে এই বিপজ্জনক ভ্রমণ সম্পর্কে তার অনূভূতি জানতে চান। তিনি বলেন,
“তার আগেই বোঝা উচিত ছিল এমন কিছু একটা হবে”। তারা জানতে চাইল মহাকাশযানে কোনো কারিগরী ত্রুটি ছিল কিনা যেটা তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে! তিনি বললেন, এমন কিছু নয়, বরং ব্যাপারটি হলো, তাদের ফ্লাইটটি ছিল এপোলো-১৩, যেটা ১৩ তারিখ শুক্রবারে ঠিক ১৩:১৩ মিনিটে নিক্ষিপ্ত হয়!
১৩ সংখ্যার ব্যাপারে তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই বিশ্বাসের সূত্র ধরে পেছনের দিকে যেতে থাকলে আমরা দেখতে পাব--এর সূত্রপাত মূলত খ্রিষ্টান ঐতিহ্যে। এ ধর্মের লোকেরা বিশ্বাস করেন যে, যিশুখ্রিষ্ট তার শিষ্যদের নিয়ে যে “অন্তিম নৈশভোজ” করেছিলেন সেখানে তাদের সংখ্যা ছিলো ১২ জন, যিশুসহ যা দাঁড়ায় ১৩ তে। তাদের মধ্যে একজন ছিলো জুডাস, যে যিশু খ্রিষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মতে যা পরবর্তীতে যিশুখ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই ভাগ্যের ভল মন্দের ব্যাপারে পৌত্তলিকদের বিশ্বাসটি ১৩ সংখ্যার মোড়কে নতুনরূপে আবির্ভূত হয় পশ্চিমাদের কাছে।"
বইঃ সভ্যতার সংকট
লেখকঃ ড. বিলাল ফিলিপস
Post a Comment