'সফলতা'- এটা কি রংধনুর সাত রং ?

ঘটনা: ১
১৯১৪ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত হন। অস্ট্রিয়া এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং ওই বছরের ২৮ জুন সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ যুদ্ধে দুদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) সূচনা হয়। তবে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ হত্যাকাণ্ডই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একমাত্র কারণ ছিল না। উনিশ শতকে শিল্পে বিপ্লবের কারণে সহজে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য উপনিবেশ স্থাপনে প্রতিযোগিতা এবং আগের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদিও প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের কারণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া। যাদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি। আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেনে, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও আমেরিকা। যাদের বলা হতো মিত্রশক্তি।

ফলাফল:
প্রায় ১ কোটি লোকের জীবন হারানো ও আরো কয়েক কোটি মানুষের ভোগান্তি এবং ক্ষমতাশীল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দিন দিন দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত।

ঘটনা: ২
১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। এই মহাসমরকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়, যাতে ৩০টি দেশের সব মিলিয়ে ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহণ করে।

ফলাফল:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে দ্বিগুণ ক্ষয়ক্ষতি এবং জাতিসঙ্ঘ (রাষ্ট্রসঙ্ঘ) নামক বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন সৃষ্টি, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারষ্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে জাতিসঙ্ঘের চরম ব্যর্থতার কথা! যা কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার অপেক্ষায় ।

ঘটনা: ৩
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে।

ফলাফল:
বর্তমান বাংলাদেশ। যেখানে দেশের সীমান্ত থেকে শুরু করে শয়নকক্ষেও মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন অনুভব করে।


ঘটনা তিনটির সফলতার হার:
উপরের ঘটনা তিনটির পেছনে অবশ্যই যৌক্তিক কারণ ছিলো এবং কেউ কেউ ভিন্ন রঙে সফলও হয়েছে বটে । কিন্তু এই সফলতার স্থায়িত্বকাল নিয়েই যত কথা । প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যা পেয়েছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এসে মুছে দিয়েছে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যা পেয়েছে বর্তমানে তা হারিয়ে যাচ্ছে । অর্থাৎ কোনটার সফলতাই স্থায়িত্ব পাচ্ছে না । বরং কখনো কখনো পুরো বিপরীত বেশই ধারণ করছে । তাই কোথায় শান্তি কোথায় নরক তা বুঝে উঠাই মুশকিল । আর বাংলাদেশের কথা চিন্তা করলে এই সফলতা বড়ই বৈচিত্রময় । কারণ এর রং দেশ পরিচালকের হাত ধরে বদলায় । তাইতো কখনো বাংলাদেশ হয় আমার, আপনার, সবার; আবার কখনো হয় সরকারের; আবার কখনোবা বিদেশী প্রভুদের ।

আর এই অস্থায়ী সফলতার পেছনে যে জিনিসটার অভাব তা হলো 'প্রকৃত উদ্দেশ্য' । অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে সত্য ও ন্যায়ের বহিঃপ্রকাশ । আর এই উদ্দেশ্যটা কেমন হবে তা বুঝতে স্থায়ী সফলতা লাভকারীদের ইতিহাস জানা আবশ্যক । তাই আসুন ফেলে আসা ছোট ছোট ইতিহাসের স্থায়ী সফলতার দিকে একটু তাকাই-


ইতিহাস: ১
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেছেন, বদরের যুদ্ধের দিন আল্লাহর নবী (সা:) দোয়া করতে গিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! আমি তোমার ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য প্রার্থনা করছি । হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও (কাফিররা) আমাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করুক তাহলে তোমার ইবাদাতের লোক আর থাকবে না । । এতটুকু কথা বলার পর আবু বকর (রা:) তাঁর হাত ধরে বললেন, যথেষ্ট হয়েছে । তখন রাসূলুল্লাহ উঠলেন এবং এ আয়াত পড়লেন, শত্রুদল অচিরেই পরাস্ত হবে এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে । -(বুখারীঃ ৩৬৬২; আ: প্র:)

ফলাফল:
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, বদরের যুদ্ধের দিন আল্লাহর নবী (সা:) বললেন, "এই তো জীবরাঈল (আ:) । ঘোড়ার মাথায় হাত দিয়ে চেপে ধরে যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তিনি এসে গেছেন" -(বুখারীঃ ৩৬৯৯; আ: প্র:) ।অর্থাৎ ৩১৩ জনের মুসলিম কাফেলা ১০০০ জনের কাফির বাহিনীকে হারিয়ে দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নিলো এবং সত্য প্রতিষ্ঠায় নিজেদের উৎস্বর্গ করতে আরো উৎসাহিত হলো ।

ইতিহাস: ২
মাত্র তিন হাজার মুসলিম সেনার বিরুদ্ধে এক লক্ষ সুসজ্জিত রোমান সেনা লড়তে এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন এ যুদ্ধে বাহিনী পাঠান, তখন তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছিলেন যা তিনি এর আগে কখনও দেননি। তিনি বলেছিলেন, “এ যুদ্ধে তোমাদের নেতৃত্ব দেবে যায়িদ বিন হারিসা (রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আযাদকৃত দাস)। যায়িদ যদি শহীদ হয় তাহলে নেতৃত্ব দেবে জাফর বিন আবু তালিব (রাসুলুল্লাহ সাঃ এর চাচাত ভাই এবং আলী রাঃ এর বড় ভাই), আর জাফর যদি শাহীদ হয় তাহলে নেতৃত্ব দেবে আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা (মদীনার আনসার ও তৎকালীন আরবের বিখ্যাত কবি)। আর যদি আব্দুল্লাহ শহীদ হয়, তাহলে তোমরা নিজেরা তোমাদের পরবর্তি নেতা ঠিক করবে”। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর এই ঘোষণা শুনে অনেকেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো যে, রাসুলের উল্লেখ করা তিন সাহাবা সত্যিই শহীদ হতে যাচ্ছেন।

মুসলিম বাহিনী যখন মু’তায় পৌঁছালো, তারা বিস্ময়ের সাথে দেখলো যে লক্ষ সেনার রোমান বাহিনী প্রস্তুত তাদের মোকাবেলা করার জন্য। এমন নাজুক অবস্থায় অনেকে মন্তব্য করল ফিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেনাপতি যায়িদ বিন হারিসা সহ অধিকাংশ মুসলিম মত প্রকাশ করলেন যে, আমরা পিছু হটে যাবার জন্য এখানে আসিনি। আমরা শহীদ হবার উদ্দেশ্য নিয়েই মদীনা থেকে বের হয়েছি এবং এটা হয়তো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা সুযোগ আমাদের জন্য। অবশেষে সুবিশাল রোমান বাহিনীকে অবাক করে দিয়ে মাত্র তিন হাজার অকুতোভয় সাহাবা বাহিনী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলো। আল্লাহু আকবার।

রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হলো। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ঘোষণা অনুযায়ী যায়িদ, জাফর আর আব্দুল্লাহ রাঃ একে একে শহীদ হলেন। এরপর মুসলিম বাহিনী যখন প্রায় ছন্নছাড়া, তখন বিখ্যাত সাহাবী সাবিত বিন আরকাম রাঃ মুসলিমদের পতাকা তুলে নিয়ে খালিদ বিন ওয়ালিদের হাতে দেন। খালিদ তখন মাত্র নও মুসলিম, আর সেখানে বিখ্যাত মুহাজির ও আনসারী সাহাবারাও ছিলেন, তাই খালিদ এ নেতৃত্ব গ্রহণে অস্বীকার করলেন। কিন্তু সকল সাহাবা খালিদকে নেতৃত্ব গ্রহণের আহবান জানালেন। খালিদ অনিচ্ছা সত্বেও তুলে নিলেন মুসলিম বাহিনীর পতাকা। দ্রুত তিনি সমর কৌশল পরিবর্তন করে রোমান বাহিনীকে রুখে দাঁড়ালেন। মুসলিমদের এই আকস্মিক রণকৌশল দেখে রোমানরা মুসলিম বাহিনীকে সমূলে ধ্বংস করার পরিবর্তে যুদ্ধ বন্ধ করার পথ অবলম্বন করল। আর এ অবস্থাতেই বুদ্ধিমান খালিদ তাঁর অবশিষ্ট সেনাদল অক্ষত রেখে মদীনা ফিরে চললেন। বস্তুত মু’তার এ যুদ্ধে কোন বাহিনীর জয় হয়নি। তবে সমর বিশ্লেষণ অনুযায়ী এটা ছিল মুসলিম বাহিনীর জয়, যেভাবে তারা মাত্র তিন হাজার হয়েও এক লক্ষ সেনার মোকাবেলা করে পিছু না হটে একরকম যুদ্ধ বিরতি আদায় করে বীরের মত ফিরে এসেছিলো। বস্তুত এ যুদ্ধ রোমান সাম্রাজ্যের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। মুসলিমদের এই দুঃসাহস তাদের ভীত করে তুলেছিল।

মু’তার যুদ্ধ থেকে যখন এ বাহিনীটি ফিরে এসেছিলো, রাসুলুল্লাহ সাঃ মদীনা থেকে বেশ খানিকটা বাইরে গিয়ে এ দলটিকে বরণ করে এনেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “খালিদ হলো সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তলোয়ার)”। আর সেদিন থেকেই খালিদ সাইফুল্লাহ উপাধি লাভ করেন। এই খালিদ পরবর্তি যতগুলো যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন বা অংশ নিয়েছেন, আল্লাহ তাঁকে বিজয় দিয়েছেন। এ লোকটির মাধ্যমে আল্লাহ এমনকি মানব ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেয়া সব যুদ্ধজয় মুসলিমদের দিয়েছেন।

ফলাফল:
মিথ্যা ও অন্যায়ের অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের উত্তরসূরীদের ভয় পেল এবং সত্য ও ন্যায়ের ঝান্ডাবাহী সাহসী সৈনিকরা নিজেদেরকে তার রবের দিকে এগিয়ে নিতে অনুপ্রাণিত হলো।

ইতিহাস: ৩
হিজরী নবম সন। রজব মাস। রোম-সম্রাট আবার সিরিয়া সীমান্তে সৈন্য মোতায়ন করেন। খবর পেয়ে আল্লাহর রাসূল (সা) যুদ্ধাভিযানের প্রস্তুতি শরু করেন। গ্রীষ্মকাল। প্রচন্ড গরম। দেশে খাদ্যাভাব। ফসল সবেমাত্র পাকতে শুরু করেন। দূরত্ব ছিলো অনেক। মুকাবিলা ছিলো বিশাল বাহিনীর সংগে। মুসলিমরা যুদ্ধের জন্য তৈরী হন। নানা অজুহাত দেখিয়ে যুদ্ধ যাত্রা থেকে বিরত থাকে মুনাফিকরা। রজব মাসের খররোদ উপেক্ষা করে ৩০ হাজার যোদ্ধা নিয়ে আল্লাহর রাসূল (সা) নিজেই রওয়ানা হন। লক্ষ লক্ষ রোমান সৈন্য তখন অপেক্ষামান। রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস নিজে সেখানে উপস্থিত। ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে এবার মুহাম্মাদ (সা) নিজেই আসছেন, এই খবর গেলো তাঁর কাছে। দুই-এক বছর আগে তিন হাজার মুসলিম সেনা দুলাখ রোমান সেনার কিভাবে মুকাবিলা করেছিলো তাও তাঁর মনে উদিত হয়। ভাবনা পড়ে যান রোম সম্রাট। যথা সময়ে মুসলিম বাহিনী তাবুকে পৌঁছে। কিন্তু শত্রু সেনাদের কোন চিহ্ন দেখা গেলো না। জানা গেলো সবদিক ভেবে রোম সম্রাট সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়াই উত্তম মনে করেছেন। আল্লাহর রাসূল (সা) তাবুকে দশ দিন অবস্থান করেন। সীমান্ত অঞ্চলে শাসন-শৃংখলা সুসংহত করেন। এর পর মদীনায় ফিরে আসেন।

ফলাফল:
সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাহসী সৈনিকরা আরো একধাপ এগিয়ে গেল এবং মহান সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো।

ইতিহাস তিনটির সফলতা:
উপরের ইতিহাস তিনটির দিকে ফিরে তাকালে যে কেউ জয়-পরাজয় কে আলাদা করতে সক্ষম হবে (ইন শা আল্লাহ্)। তবে মুসলিমদের এই জয় কতটুকু স্থায়ী হয়েছে, তা বুঝতে হলে তাকাতে হবে একজন প্রকৃত মুসলিমের দিকে। যে কিনা ১৪০০ বছর পর এসেও আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মদ (সা:) কে ভালোবেসে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে সর্বদা প্রস্তুত, যে কিনা একজন বার্তাবাহক [মুহাম্মদ (সা:)] এর কথায় বিশ্বাস করে আজও ভোরবেলা ঘুম থেকে জেগে উঠে তার রবের নিকট মাথা নত করে, যে কিনা আজও একটি আদর্শের [ইসলামের] নিকট নিজের সকল চাওয়া-পাওয়াকে বন্দি করে রাখে, যে কিনা অদেখা এক স্বর্গের স্বপ্নে সর্বদা বিভোর থাকে। তহলে এই সফলতাই যে স্থায়ী সফলতা তা মেনে নিতে আর কোন স্বাভাবিক দ্বন্দ্ব রইল না। কারণ যে আদর্শ ১৪০০ বছর পর এসেও একই কথা বলে, একই জয়োধ্বনি উচ্চারণ করে সেটাই আসল, সেটাই স্থায়ী। যা চলবে কিয়ামত অবধি......। কারণ এর ভিত্তি ছিলো সত্য ও ন্যায়ের উপর, এর উদ্দেশ্য ছিলো পবিত্র ও সঠিক। তবে এই পথে বড় বাধা হল শয়তানের বিকৃত যুক্তি ও কুমন্ত্রণা। কারণ সে চায় তার অনুসারী (বিপথগামী) দলটি আরো বড় হোক।

তাই বিভিন্ন জাতির নিকট ভিন্ন বেশে, ভিন্ন রঙে অস্থায়ী সফলতা বারবার আসলেও, মুসলিমদের নিকট স্থায়ী সফলতা আসে একই বেশে, একই রঙে। আর এই রং, আল্লাহর রং। তাই তাঁরা বলে "আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই ইবাদত করি।" [সূরা আল বাক্বারাহ, আয়াত -১৩৮]

আল্লাহ্ আপনি আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে গ্রহণ করুন । আমীন ।


লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম দিপু

2 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post