প্রথম ও শেষ চাওয়া

প্রতিটা মানুষেরই কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর অন্যকিছুর চেয়ে একটু বেশিই ভালোবাসা প্রকাশিত হয় । আর একজন মুসলিম হিসেবে আমি ইসলামকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, কারণ তা সত্যের ও শান্তির ধর্ম। আমি ইসলামকে ভালোবাসি, কারণ এতেই আমি প্রকৃত শান্তি খুঁজে পাই। আমি ইসলামকে ভালোবাসি, কারণ ইসলামই আমাকে প্রকৃত ভালোবাসা শেখায়।

আর ইসলামই আমার সৃষ্টিকর্তার মনোনীত একমাত্র ধর্ম। তাই আমি আমার জীবনের চেয়েও ইসলামকে বেশি ভালোবাসি। আর রসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, 'সে ব্যাক্তি কখনো মুমিন হবে না যে তার জীবনের চাইতে বেশি আমাকে ভালো না বাসবে'। আর রসূলকে ভালোবাসা মানে আল্লাহকে ভালোবাসা, আর আল্লাহকে ভালোবাসা মানে তার দ্বীন ইসলামকেও ভালবাসা। আল্লাহ বলেছেন "একমাত্র গ্রহনযোগ্য দ্বীন হচ্ছে ইসলাম"(সূরা আল ইমরান: ১৯)। আল্লাহ তা'আলার নাযিলকৃত এই আয়াতটিই ইসলামের প্রতি আমার ভালোবাসা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

আবার রসূলুল্লা­হ (সা:) বলেছেন, প্রত্যেক শিশু দ্বীনের ফিতরাতের উপর জন্মো গ্রহন করে। সে থেকে বুঝা যায় আমরা স্বভাবগত ভাবেই ইসলামকে ভালোবাসি। আসলে ইসলামকে ভালোবাসার কথা কিভাবে বলতে হয় তা আমার জানা নেই। তবে একটা কথা কি আমার জীবনের প্রথম দিকে ইসলামের প্রতি তেমন একটা ভালবাসাই ছিলো না। অর্থাৎ স্বভাগতভাবে যা ছিলো তাই ।

আমার বাবা সৌদিআরবে এক মাসজিদের মুয়াজ্জিন ছিল। তাই উনার সাথে প্রতিদিন আমাকে নিয়ে যেত মাসজিদে। এভাবে মাসজিদে যাওয়ার একটা অভ্যাস হয়ে উঠে। অভ্যাস কারনে মাসজিদে যেতাম ঠিক কিন্তু তা ভালোবেসে যেতাম না, যা আমার বাবাও বুঝতো। তাও মাঝে মাঝে ফযর ছালাতে যেতে চাইতাম না। মাও মাঝে মধ্যে বলতো আজ থাক না কিন্তু বাবা উঠিয়ে নিয়েই যেত।কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর একা হয়ে গেলাম বাবা তো আর আসে নি। এখন আর কেউ ছালাত এর জন্য তেমন বলে না আর জাগিয়েও নিয়ে যায় না । তাই বেশিভাগ ছালাত বাসাতেই পড়তাম। একটা সময় কি জানি কি হলো ইসলাম নিয়ে জানার খুব আগ্রহ হলো, বাবা কেন এভাবে নিয়ে যেত জানার ইচ্ছা হল। তাই কিনে নিয়ে আসলাম বাংলা বুখারীসহ আরো কিছু ইসলামিক বই । তারপর থেকে বুঝতে পারলাম আসলে কেন আমাক ছালাতে নিতেন।

আর তখন থেকে আমি নতুনভাবে ইসলামের প্রেমে পড়ে গেছি। অনেক বই কিনলাম আর পড়তে শুরু করলাম। আর তখন থেকে ইসলাম নিয়ে যতো পড়ি ও বুঝি, ততই ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকি। অর্থাৎ এক প্রকার প্রেমে পড়ে যাই । আর এতেই পেয়ে যাই জীবনের সত্যিকার উদ্দেশ। আর এখন সেই উদ্দেশ্য (পরকালীন মুক্তি) অর্জনে সফল হওয়াই আমার প্রথম ও শেষ চাওয়া । আমীন ।


লিখেছেন: নাজমুস সাকিব (NGC)

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post