মুক্তি ও সাফল্যের অর্থ:
আল কুরআনের দৃষ্টিতে মানব জীবন অখণ্ড এবং দুনিয়া ও আখিরাত পরিব্যাপ্ত। পার্থিব জীবনে মানুষের দৈহিক মৃত্যু হলেও মানুষের আত্মার মৃত্যু হয় না। মানব জীবনকে পরকালেও মৃত্যুহীন রাখা হবে।
মানুষের পার্থিব জীবন খুবই হ্রস্ব এবং স্বল্প সময়ের। অপরদিকে আখিরাতের জীবন অনন্ত, মৃত্যুহীন :
وَمَا هَـٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَهْوٌ وَلَعِبٌ ۚ وَإِنَّ الدَّارَ الْآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ
অর্থ: নিশ্চয়ই এই পৃথিবীর জীবন একটা খেল তামাশার সময় মাত্র। অথচ আখিরাতের জীবন চিরন্তন। -(সূরা ২৯ আনকাবুত : আয়াত ৬৪)
কুরআন বলে, মানুষের এই পৃথিবীর ক্ষুদ্র জীবনটা হলো : প্রচেষ্টার, বিনিয়োগের, চাষবাষ ও বীজ বপনের। অপরদিকে আখিরাতের জীবন হলো : ফসল কাটার, ফল লাভের এবং ফল ভোগের ।
পৃথিবীর জীবনে যার প্রচেষ্টা যেমন হবে, বিনিয়োগ যেমন হবে, যে ফলের বীজ সে বপন করবে, আখিরাতের জীবনে সেই রকম ফল ফসলই সে লাভ করবে এবং সেই ফল ফসলই সে ভোগ করবে।
তাই কুরআন বলে, পৃথিবীর ক্ষুদ্র জীবনটাকে চূড়ান্ত আবাস এবং ভোগের জায়গা বানিয়ো না, বরং আখিরাতের মুক্তি, সাফল্য ও সুফল লাভের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রাখো। আখিরাতের জীবনের মুক্তি ও সাফল্যের লক্ষ্যে পৃথিবীর জীবনে চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাও, এর জন্যে ত্যাগ স্বীকার করো, এরি জন্যে জীবন লক্ষ্যকে একমুখী করে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাও, তবেই তুমি তোমার আখিরাতের সীমাহীন জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের জয়মাল্যে ভূষিত হবে :
وَمَنْ أَرَادَ الْآخِرَةَ وَسَعَىٰ لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَـٰئِكَ كَانَ سَعْيُهُم مَّشْكُورًا
অর্থ : আর যারা আখিরাতের মুক্তি ও সাফল্যের সংকল্প করে এবং এর জন্যে যেমন চেষ্টা সাধনা করা দরকার তা করে যায়, তারা যদি মুমিন হয়, তাহলে এমন লোকদের চেষ্টা সাধনা (আল্লাহর নিকট) অবশ্যি কুবল হবে। -(সূরা ১৭ বনি ইসরাইল : আয়াত ১৯)
ইসলাম বলে, মানুষের জীবন অবিনাশী। দৈহিক মৃত্যুর মাধ্যমে তার জীবনটা স্থানান্তরিত হয় মাত্র। পৃথিবীর জীবন তার গোটা জীবনের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। তাই পার্থিব জীবনের কল্যাণ প্রচেষ্টা যেমন তার জন্যে জরুরি, তেমনি, বরং তার চাইতে বেশি প্রচেষ্টা চালাতে হবে আখিরাতের অনন্ত জীবনের মুক্তি, সাফল্য ও কল্যাণের জন্যে। এ কারণেই কুরআন উভয় জগতের কল্যাণের জন্যে দোয়া করতে শিখিয়েছে :
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ : আমাদের প্রভু! এই জগতেও আমাদের কল্যাণ দাও এবং পরজগতেও আমাদের কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের মুক্তি দিও। -(সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত ২০১)
লক্ষ্য অর্জনের পথে মানুষ যতো কষ্টই করুক না কেন, তাতে রয়েছে আনন্দ ও প্রশান্তি। সুতরাং মুক্তি ও সাফল্যের অর্থ হলো:
আল কুরআনের দৃষ্টিতে মানব জীবন অখণ্ড এবং দুনিয়া ও আখিরাত পরিব্যাপ্ত। পার্থিব জীবনে মানুষের দৈহিক মৃত্যু হলেও মানুষের আত্মার মৃত্যু হয় না। মানব জীবনকে পরকালেও মৃত্যুহীন রাখা হবে।
মানুষের পার্থিব জীবন খুবই হ্রস্ব এবং স্বল্প সময়ের। অপরদিকে আখিরাতের জীবন অনন্ত, মৃত্যুহীন :
وَمَا هَـٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَهْوٌ وَلَعِبٌ ۚ وَإِنَّ الدَّارَ الْآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ
অর্থ: নিশ্চয়ই এই পৃথিবীর জীবন একটা খেল তামাশার সময় মাত্র। অথচ আখিরাতের জীবন চিরন্তন। -(সূরা ২৯ আনকাবুত : আয়াত ৬৪)
কুরআন বলে, মানুষের এই পৃথিবীর ক্ষুদ্র জীবনটা হলো : প্রচেষ্টার, বিনিয়োগের, চাষবাষ ও বীজ বপনের। অপরদিকে আখিরাতের জীবন হলো : ফসল কাটার, ফল লাভের এবং ফল ভোগের ।
পৃথিবীর জীবনে যার প্রচেষ্টা যেমন হবে, বিনিয়োগ যেমন হবে, যে ফলের বীজ সে বপন করবে, আখিরাতের জীবনে সেই রকম ফল ফসলই সে লাভ করবে এবং সেই ফল ফসলই সে ভোগ করবে।
তাই কুরআন বলে, পৃথিবীর ক্ষুদ্র জীবনটাকে চূড়ান্ত আবাস এবং ভোগের জায়গা বানিয়ো না, বরং আখিরাতের মুক্তি, সাফল্য ও সুফল লাভের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রাখো। আখিরাতের জীবনের মুক্তি ও সাফল্যের লক্ষ্যে পৃথিবীর জীবনে চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাও, এর জন্যে ত্যাগ স্বীকার করো, এরি জন্যে জীবন লক্ষ্যকে একমুখী করে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাও, তবেই তুমি তোমার আখিরাতের সীমাহীন জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের জয়মাল্যে ভূষিত হবে :
وَمَنْ أَرَادَ الْآخِرَةَ وَسَعَىٰ لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَـٰئِكَ كَانَ سَعْيُهُم مَّشْكُورًا
অর্থ : আর যারা আখিরাতের মুক্তি ও সাফল্যের সংকল্প করে এবং এর জন্যে যেমন চেষ্টা সাধনা করা দরকার তা করে যায়, তারা যদি মুমিন হয়, তাহলে এমন লোকদের চেষ্টা সাধনা (আল্লাহর নিকট) অবশ্যি কুবল হবে। -(সূরা ১৭ বনি ইসরাইল : আয়াত ১৯)
ইসলাম বলে, মানুষের জীবন অবিনাশী। দৈহিক মৃত্যুর মাধ্যমে তার জীবনটা স্থানান্তরিত হয় মাত্র। পৃথিবীর জীবন তার গোটা জীবনের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। তাই পার্থিব জীবনের কল্যাণ প্রচেষ্টা যেমন তার জন্যে জরুরি, তেমনি, বরং তার চাইতে বেশি প্রচেষ্টা চালাতে হবে আখিরাতের অনন্ত জীবনের মুক্তি, সাফল্য ও কল্যাণের জন্যে। এ কারণেই কুরআন উভয় জগতের কল্যাণের জন্যে দোয়া করতে শিখিয়েছে :
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ : আমাদের প্রভু! এই জগতেও আমাদের কল্যাণ দাও এবং পরজগতেও আমাদের কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের মুক্তি দিও। -(সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত ২০১)
লক্ষ্য অর্জনের পথে মানুষ যতো কষ্টই করুক না কেন, তাতে রয়েছে আনন্দ ও প্রশান্তি। সুতরাং মুক্তি ও সাফল্যের অর্থ হলো:
১. পরকালের অনন্ত জীবনে আল্লাহর পাকড়াও এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি।
২. পরকালের অনন্ত জীবন আল্লাহর সন্তোষ আর জান্নাতের সুখ বিলাসের মধ্যে অবস্থানের সুযোগ লাভ।
৩. পৃথিবীর জীবনে সকলের দাসত্ব ও শৃঙ্খল পরিহার করে এক আল্লাহর দাস হিসেবে প্রশান্তির জীবন যাপন করা।
৪. এই বিশেষ ধরনের জীবন যাপনের কারণে এ পথে যেসব দুঃখ কষ্ট ও বিপদ মুসিবত আসে সেগুলোকে বৃহৎ মুক্তির লক্ষ্যে স্বাভাবিক বলে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেয়া। যেমন সন্তানের জন্যে মায়ের কষ্ট। প্রিয়জনের জন্যে প্রিয়জনের কষ্ট। এই ধরনের কষ্টের জন্যে দুঃখ থাকে না, থাকে হৃদয়ের প্রশান্তি। মূলত এটাই মানুষের প্রকৃত শান্তি, মুক্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের পথ।
মানুষের এই প্রকৃত শান্তি, মুক্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের বার্তা নিয়েই নাযিল হয়েছে ইসলামের মূল সূত্র আল কুরআন :
قَدْ جَاءَكُم مِّنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ - يَهْدِي بِهِ اللَّهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ .
অর্থ : তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে এক আলো এবং সুস্পষ্ট কিতাব। আল্লাহ এই কিতাবের মাধ্যমে ঐসব লোকদের শান্তির পথ দেখান, যারা তাঁর সন্তুষ্টি সন্ধান করে এবং তিনি তাঁর নিজের মর্জিতে তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসেন। -(সূরা ৫ আল মায়েদা : ১৫-১৬)
হাদিসে বলা হয়েছে :
عَنْ اَبِىْ اُمَامَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ص يَقُوْلُ : اِقْرَأُوا الْقُرْاٰنَ فَاِنَّه يَأْتِىْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيْعًا لاَصْحَابِه
অর্থ : আবি উমামা রা. বর্ণনা করেন, আমি রসূলুল্লাহ সা-কে বলতে শুনেছি: তোমরা কুরআন পাঠ করো। কিয়ামতের দিন কুরআন তার সাথিদের জন্যে মুক্তির সুপারিশকারী হিসেবে উপস্থিত হবে। -(সহীহ মুসলিম)
عَنْ عَبْدِ اللهِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ اِنَّ هٰذَا الْقُرْاٰنَ مَأْدَبَةُ اللهِ فَاقْبَلُوْا مَأْدَبَتُه مَاسْتَطعْتُمْ ، اِنَّ هٰذَا الْقُرْاٰنَ حَبْلُ اللهِ وَالنُّوْرِ الْمُبِيْنِ وَالشِّفَاءِ النَّافِعِ ، عِصْمَةٌ لِمَنْ تَمَسَّكَ بِه ، وَنَجَاةٌ لِمَنْ اتَّبَعَه .
অর্থ : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন : অবশ্যি এই কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে (উপাদেয় আত্মিক মানসিক খাদ্যের) দস্তরখান। তাই তোমাদের সাধ্যানুযায়ী আল্লাহর দস্তরখান থেকে (জ্ঞান) আহরণ করে। অবশ্যি এই কুরআন আল্লাহর রজ্জু, অনাবিল আলো এবং কল্যাণময় প্রতিকারক। যে কুরআনকে শক্ত করে ধরবে কুরআন তাকে রক্ষা করবে। যে কুরআনকে অনুসরণ করবে সে তার জন্যে (জাহান্নাম থেকে) মুক্তির উপায় হবে।’ -(হাকিম)
ইসলাম মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথ প্রদর্শন করে। যারা এই জীবনে ইসলামের মূল সূত্র আল কুরআন পড়বে, বুঝবে, এবং রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ করবে এবং কুরআন-সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরবে, পরজীবনে তারাই জাহান্নাম থেকে বাঁচাবে, তাঁদেরই মুক্তির ব্যবস্থা হবে।
লিখেছেন: আবদুস শহীদ নাসিম
Post a Comment