একবার প্রখ্যাত তাবেয়ী, হাসান আল-বাসরী রাহিমাহুল্লাহর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললো, “আমাদের এখানে খরা এবং অনাবৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমরা কি আমল করলে আল্লাহ আমাদেরকে বৃষ্টি দেবেন?” হাসান আল-বাসরী তাকে বললেন, “তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো।”
আরেক ব্যক্তি এসে তার দারিদ্রতার কথা বললো এবং কি আমল করলে আল্লাহ তাকে সম্পদ দেবেন, সেটা জানতে চাইলো। হাসান আল-বাসরী তাকে উপদেশ দিলেন, “তুমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো।”
তৃতীয় এক ব্যক্তি এসে জানতে চাইলো, “আমার কোন ছেলে-মেয়ে নেই। কোন দুয়া পড়লে আল্লাহ আমাকে একটি সন্তান দেবেন।” হাসান আল-বাসরী তাকে উপদেশ দিলেন, “তুমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো।”
চতুর্থ একব্যক্তি এসে বললো, যে তার বাগানে ফসল হচ্ছে না। তিনি তাকেও উপদেশ দিলেন, “তুমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো।”
এভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হাসান আল-বাসরী রাহিমাহুল্লাহ সবাইকে একই উত্তর দিচ্ছেন, এটা দেখে উপস্থিত লোকেরা আশ্চর্য হয়ে তাঁর নিকট এর ব্যাখা জানতে চাইলো।
হাসান আল-বাসরী রাহিমাহুল্লাহ বললেন, “এটা আমার মনগড়া কোন মতামত নয়। কেননা, আল্লাহ সুবহা’নাহু ওয়া তাআ’লা সুরা নূহে এরশাদ করেছেন, “আর তোমরা তোমাদের রব্বের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিঃসন্দেহে আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল। (যদি তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো তাহলে) আল্লাহ তোমাদের উপর অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, এবং তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন, তোমাদের জন্যে বাগ-বাগিচা ও উদ্যান স্থাপন করবেন, তিনি সেখানে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। (সুরা নূহঃ আয়াত ১০-১২)।”
উৎস: তাফসীর আল-কুরতুবীঃ ১৮/৩০১-৩০২।
একজন হাদীসের বর্ণনাকারীর কাছে জানতে চাওয়া হল, “ইস্তেগফার” বা আল্লাহর কাছে কি বলে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে? এর উত্তরে তিনি বললেন, “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেনঃ আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।”
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। [সহীহ মুসলিম]
Post a Comment