১। নজরের দোয়া পড়ুন। নিজেও যখন সন্তানের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হন তখনি ওর মাথায় হত রেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসালাম উনার নয়নের মণি আল হাসান ও আল হুসাইনের জন্য যে দোয়া পড়তেন তা পড়ে দিন। আরও ২ সময়ে পড়লেও লাভ, বাইরে যাওয়ার সময় বা মেহমান ঘরে আসার আগে। কারণ শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবসময় 'মাশা আল্লাহ' বলেননা/অভ্যাস নেই।
২। আল ফাতিহাহ আর ঘুমের দোয়া শিখিয়ে দিন। বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি শিখে যায়। ওরা স্পঞ্জের মতো। যা ঢালবেন তাই শুষে নিবে। শোয়ার সময় দোয়াটা রাতে নিরাপদ রাখবে ইন শা আল্লাহ। আরেকটু বড় হলে আয়াতুল কুরসি।
৩। সালাম দিন। ঘুম থেকে উঠে আপনার সন্তান যখন তার ঘর থেকে বেরোবে বা বিছানাতেই ছোট্ট মানুষটি যখন চোখে মেলবে, সালাম দিন। আসসালামু আলাইকুম। এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি দোয়া। 'আল সালাম' অর্থাৎ আল্লাহ তোমার সহায়ক হোন। ওরা শিখে যাবে।
৩। ঘরে সালাতের সময় আযান দিন। উম্মুল মু'মিনিন আযান দিয়ে সালাত পড়তেন। যদিও মাসজিদের দেয়ালই ছিলো তার ঘরের দেয়াল। আর আযান দিলে শয়তান পালায়। আপনি আযান দিতে দিতে দেখবেন ওরাও হাইয়্যা আলাসসলাহ আর হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলার সময় কানে হাত দিয়ে দুলছে। শিখে যাবে ইন শা আল্লাহ।
৪। বাইরে থেকে ফিরে ঘরে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ বলে সালাম দিয়ে ঢুকুন। এতে শয়তান ঘরে প্রবেশ করতে পারবেনা। থাকার জন্য অন্য বাসা খুজবে। খাওয়ার সময়ও- যারা বলতে পারে, বিসমিল্লাহ বলে খেতে বলুন। শয়তান সাথে খাবেনা।
৫। সন্ধ্যার আগে আগেই সন্তানদের আগলে ঘরে আসার ব্যাবস্থা করুন, অভ্যাস গড়ুন। মাঘরিবের পর শয়তান রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। আর রাত নামা পর্যন্ত বিসমিল্লাহ বলে দরজা বন্ধ রাখুন। কারণ শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারেনা।
৬। সহবাস করার সময় আল্লাহর নাম নিয়ে, মুবাশারাহ করার দোয়া পড়ে নিন। তাতে সন্তান গর্ভে আসার হুকুম থাকলে ওই সন্তানকে শয়তান বেশি উত্যক্ত করতে পারবেনা বা তার উপর প্রভাব ফেলতে পারবেনা ইন শা আল্লাহ।
★প্রতিটি আমল/দোয়ার সহিহ দলিল আছে। পোস্ট লম্বা হয়ে যাবে জন্য হাদিসগুলি আর লিখলাম না। অধিকাংশই আদাব আল মুফরাদ কিতাবে পাওয়া যাবে। মাসনুন দোয়াগুলো হিসনুল মুসলিমেও আছে।
উপরের বিষয়গুলো লাইফস্টাইলে এনে অভ্যাস করে ফেললে আশা করি আমরা সবাই উপকৃত হবো। এর বাইরেও আরো আদব অবশ্যই আছে। এই কয়েকটিমাত্র আপাতত মনে আসছে।
আল্লাহ আমাদের সন্তানদের আধ্যাত্মিক সুরক্ষা করে ইসলামের সুশিক্ষায় আলোকিত করার তাওফিক্ব দিন।
আসসালামু আলাইকুম।
Post a Comment