"তোমরা সেই জাহান্নামের ভয় করো, যার খোরাক মনুষ্য ও প্রস্তর খন্ড; যা অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।" [২:২৪]
[২]
উপরোক্ত আয়াত থেকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ইমামগন দলীল পেশ করে থাকেন যে, জাহান্নাম এখনো বিদ্যমান ও সৃষ্ট রয়েছে।
কেননা, (أُعِدَّتْ) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আর এটি অতীতকাল বুঝাতে ব্যবহার হয়। যার অর্থ- "তৈরী করা হয়েছে।" অর্থাৎ, কাজটি অতীতকালে সম্পন্ন হয়েছে বুঝাচ্ছে। এছাড়া বহু সহী হাদীসেও একথার প্রমাণ রয়েছে। একটি দীর্ঘ হাদীস আছে, "জান্নাত ও জাহান্নামে ঝগড়া করলো…।" দ্বিতীয় হাদীস “জাহান্নাম একবার আল্লাহ'র কাছে দুইটি শ্বাস গ্রহণের অনুমতি চাইলো। তখন জাহান্নামকে শীতকালে একটি এবং গ্রীষ্মকালে একটি শ্বাস নেয়ার অনুমিত দেয়া হয়।” তৃতীয় হাদীসে আছে, সাহাবাগণ রাঃ বলেন, “আমরা একদিন একটি বড় শব্দ শুনতে পাই। আমরা তখন রাসূলুল্লাহ সঃ-কে জিজ্ঞেস করি, “এটা কিসের শব্দ?”
তখন রাসুলুল্লাহ বলেন, "সত্তর বছর পূর্বে একটি পাথর জাহান্নামের উপর থেকে নিক্ষেপ করা হয়, আজ তা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছেছে।” চতুর্থ হাদীস… "রাসূলুল্লাহ সঃ সূর্য গ্রহণের নামায পড়া অবস্থায় জাহান্নামকে দেখেছিলেন।" পঞ্চম হাদীস হলো… "রাসূলুল্লাহ সঃ মি'রাজের রাত্রে জাহান্নাম ও তার শাস্তি অবলোকন করেছিলেন।" এইরকম আরও অনেক মুতাওয়াতির হাদীস রয়েছে। মু'তাযিলারা নিজেদের অজ্ঞতার কারণেই এটা স্বীকার করেনা এবং বিপরীত কথা বলে থাকে। [ইবনে কাসীর]
[৩]
মু'তাযিলারা বলে থাকে যে, "জাহান্নাম বা জান্নাত এখনো তৈরি করা হয়নি; বরং তৈরি করা হবে।" তাদের মতে, "আদম আলাইহিসসালাম ও হাওয়া আঃ নাকি আল্লাহর সাব-জান্নাতে ছিলেন।" অর্থাৎ
সাব-জেল যেরকম, সেরকমই কোনো এক বিশেষ জান্নাতে ছিলেন। (উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালে বেগম জিয়াসহ শেখ হাসিনা ও হু.মু.এরশাদ আটক হয়ে সাব-জেলে ছিলেন)
জাযাকাল্লাহ খাইরান
ReplyDeletePost a Comment