এই টাইপের ভাবনা দিয়েই ব্যাপারটা শুরু হয়। শেষে ফরজ, তথা আল্লাহর আদেশকে আর পাত্তা না দেয়ার মাঝেই এই অসাধারণ আলোর পথে যাত্রাটার সমাপ্তি ঘটে।
আমাদের উদ্দেশ্যে দেয়া শেষ ভাষণে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আর অনুসরণীয় মানুষটা ﷺ, আমরা যেন কক্ষনো পথভ্রষ্ট না হয়ে যাই, সেজন্যে দু’টো জিনিস শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন। আবারও মনে করিয়ে দিই, “শক্ত করে” আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন।
কেন?
পথভ্রষ্ট না হওয়ার জন্যে। ভুল পথে না যাওয়ার জন্যে।
প্রথমটা হলো আল্লাহর পাঠানো কিতাব- “আল-কুরআন”।
কুরআন নামের বইটাকে গায়ের সব জোর দিয়ে দুইহাতে শক্ত করে বুকে চেপে রাখার কথা তিনি বলেননি। কুরআনের আদেশ-নিষেধগুলো ঠিকঠাকমতো যত্নের সাথে পালন করে নিজ জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এর বাণীগুলোকে জিন্দেগীতে আঁকড়ে ধরতে বলেছেন তিনি।
দ্বিতীয়টা হলো নবিজীর ﷺ সুন্নাত।
উনি জীবনে যা কিছু করে গেছেন, নিজে করার পাশাপাশি আমাদেরকেও পালনের আদেশ দিয়ে গেছেন, বা নিষেধ করে গেছেন, এর সবই উনার সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। পথভ্রষ্ট না হওয়ার, ভুল পথে, ভুল গলিতে গিয়ে যাত্রা শেষ না হওয়ার জন্যে তিনি কিন্তু উনার সুন্নাতকেও শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন। আবারও মনে করিয়ে দিই, “শক্ত করে” আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন।
উনি শুধু কুরআনকে আঁকড়ে ধরার কথা বলতে পারতেন। কিন্তু না, উনি উনার সুন্নাতকেও আঁকড়ে ধরার কথা বলেছেন।
শক্ত করে।
এটা সাহাবায়ে কেরাম আর তাদের পরের জেনারেশান খুবই ভালোভাবে বুঝেছিলেন বলেই, উনারা একটা সুন্নাত পেলেই সেটাকে সাথে সাথে জীবনে ইন্সটল করে ফেলতেন। “সুন্নাত না মানলে কিচ্ছু হবে না”, এই ধরণের বিধ্বংসী চিন্তা উনাদের মাথাতেও কখনো স্থান পায়নি। ফলে, সুন্নাতের পাশাপাশি কুরআনের আলোর পূর্ণ প্রতিফলনও ছিলো উনাদের জিন্দেগীতে দেখার মতো।
শেষকথাঃ
আমরা যেন মনে রাখি, সুন্নাত কোনো ফেলনা ব্যাপার না। আজ সুন্নাত না মানলে, কাল কুরআন না মানাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। পথভ্রষ্ট না হতে চাইলে তাই কুরআনের পাশাপাশি সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে হবে। শক্ত করে। আল্লাহ যেন সঠিক পথের উপরে আমাদের প্রত্যেককে পর্বতের মতোই অটল আর অবিচল রাখেন। আ-মীন।
Writer: Mohammed Touaha Akbar
Post a Comment