মাঝে মাঝে ভাবি এই যে গুম বা খুন হয়ে যাওয়া মানুষদের আত্মীয়দের কথা।
এদের মায়েরা, মেয়েরা, স্ত্রীরা, বোনেরা - কী কান্নাইটা না কাঁদে!
বাবা, ভাই বা ছেলে থাকলে তারাও হয়তো কাঁদে - হয়তো সেটা নীরব বলে আমরা তা শুনি না, ছবিতে দেখি না।
ভাবি, এরা যখন কাঁদে - আল্লাহর কাছে দু'আ করে - তখন কী ঘটে?
আমরা জানি মাজলুম আর আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না - এই আহাজারিগুলো তো আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায় - আল্লাহ কেন তারপরেও বছরের পর বছর জালিমকে সময় দিয়ে যান?
একটা কারণ হতে পারে - যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কাঁদে তখন সেটা তাকে সত্যি সত্যি আল্লাহর কাছে নিয়ে যায়। সাধারণ নামায বা মোনাজাতে সেই আবেগটা আসে না যেটা বিপদে পড়লে আসে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যাদের ভালোবাসেন তাদের বিভিন্ন সুযোগ করে দেন আল্লাহর কাছে যাওয়ার, কেঁদে আল্লাহর সাথে কথা বলার।
আর যেহেতু আল্লাহ জন্ম-মৃত্যু সৃষ্টিই করেছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য - তাই তিনি জালিমকে সুযোগ দেন ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য।
ক্ষমতা কিংবা টাকার মোহ থেকে বেরিয়ে আসার।
যুলম বন্ধ করার।
আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়ার।
মানুষের কাছে মাফ চাওয়ার।
জালিম জাহান্নামীটি অনন্তকাল ধরে সেইসব কালো রাত্রির কান্নাগুলো শুনতে পাবে। কী ভয়ংকর শাস্তি হবে সেটা তাই না?
আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা আমাদের যুলম থেকে পালানোর তাওফিক দিন।
লিখেছেন - ভাই শরিফ আবু হায়াত অপু
Post a Comment