অশ্লীলতাই সবচেয়ে বড় দুর্নীতি

 


আমাদের আধুনিক বিশ্বে অশ্লীলতা কিন্তু দুর্নীতি না, অন্যায় না। অথচ সব দুর্নীতির চেয়ে, সব অন্যায়ের চেয়ে, হিরোইন নিয়েছে, ড্রাগ নিয়েছে, মাদকাসক্ত হওয়ার চেয়ে, বোমা মেরে মানুষ মেরে ফেলার চেয়ে, পকেটের টাকা কেড়ে নেয়ার চেয়েও অনেক বেশি সভ্যতার জন্য ধ্বংসকর হলো অশ্লীলতা।


মাদকাসক্ত হলে, যে আসক্ত হয় সে মারা যায়। আর অশ্লীলতা যখন সমাজে ছড়িয়ে যায়, ঐ মানব সভ্যতাটাই উঠে যায়।পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়, মানবের প্রজনন বন্ধ হয়ে যায়। মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়।


এ জন্য আল্লাহর ব্যবস্থায় অশ্লীলতার চেয়ে বড়ো দুর্নীতি আর কিছু নেই। জুলুম, অন্যায়, অন্যান্য যা আছে, তার চেয়েও বড়ো দুর্নীতি হলো অশ্লীলতা।


তাইতো ভালোবাসা দিবসের নামে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের ওরস পালন করছে মুসলিম যুবকরা, থার্টি ফার্স্ট নাইটের নামে চরিত্র হরণ করছে। যা সম্পূর্ণ হারাম!


মানুষ যখন একেবারেই প্রিমিটিভ (primitive) ছিল, তখন তারা প্রকৃতি পুজা করতো। ১৪ ফেব্রুয়ারী (এবং এর আগে ও পরে) ১৩,১৪,১৫ ফেব্রুয়ারী, ফাল্গুনে উত্তর গোলার্ধে, বিশেষ করে ইউরোপে, এবং আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশেও বসন্ত বরণ হতো। বসন্তের আগমন, নতুন ফুল ফুটবে, নতুন যৌবন আসবে। তাহলে আমরা যদি বসন্তের শুরুতে গান বাজনা ফুর্তি যৌবনের কাজ করি, তাহলে আমাদের যৌবন এবং ফুর্তি নিটুট থাকবে। প্রকৃতি আমাদের এটা দিয়ে দেবে। এই ধরনের একটা চেতনায় প্যাগান যুগের, প্রিমিটিভ যুগের, প্রাচীন যুগের অসভ্য মানুষেরা প্রকৃতি পুজা করতো।


এ রকম ইউরোপে একটা ছিল, ফিস্ট অব লুপারক্যালিয়া (feast of lupercalia)। লুপারক্যালিয়া উৎসব। ভারতে ‘বসন্ত বরণ’। পরবর্তীতে এগুলো খৃস্টানাইজ্ড করা হয়।


ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।

Post a Comment

Previous Post Next Post