বন্ধু মুভি দেখিশ না, মিউজিক, বেপর্দা নারী দেখা হারাম!
বন্ধুর জবাবঃ আরে, এ বয়সে একটু-আকটু না দেখলে কী হয়!? ইসলাম এত কঠিন না!
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই চিত্র অনেকটা এমন। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন ভাষায় ‘হারাম’কে হালকাভাবে দেখা হয়! হারাম-কে হারামই মনে করা হয় না, বরং ‘হালাল’ মনে করা হয়! – এটাই ইস্তিহলাল, যা কুফর! কী অবাক হচ্ছেন? সমাজের অধিকাংশ মানুষই এ সম্পর্কে অজ্ঞ, বছরে হাজারো ওয়াজ-মাহফিল হয়, অথচ স্থান পায়না এসব গুরুত্বপূর্ন আলোচনা!
ইসলাম কঠিন না- এর মানে হলো, ইসলামের বিধিনিষেধ কঠিন নয়। অর্থাৎ, ইসলাম যা বলে, তাই সহজ। এর মানে এই নয় যে, ইসলামে আছে একটি, আমরা বানাবো আরেকটি, আর বলবোঃ “ইসলাম কঠিন নয়!”
আল্লাহ তা’আলা যা হারাম করেছেন, তা হারাম, যেমনঃ মিউজিক, নারীদের দিকে দৃষ্টিপাত, অশ্লীলতা ইত্যাদি। সে হিসেবে নাটক-সিনেমা দেখা, গান শোনা – এসব হারাম। যদি কেউ মনে করেন, এসব দেখলে বা শুনলে সমস্যা নেই – তাহলে তা কুফর!
দেখুন, হারামকে হারাম জেনে ও মেনে কেউ যদি হারামে লিপ্ত হোন, তাহলে তা কেবল কবীরা গুনাহ। আর যদি কেউ হারামকে হারাম মানতেই আপত্তি করেন, অথবা ‘এটা হারাম কেন’? ‘গুনাহ হবে কেন’? ইত্যাদি বলেন অথবা বৈধ সাব্যস্ত করতে চান, অথবা বৈধ মনে করে – তাহলে তা হবে ‘কুফর’, আর এটি এমন কুফর যা মুসলিমকে ‘কাফির’ বানিয়ে দেয়।
উদাহরণস্বরূপঃ কেউ গান শোনেন অথবা মুভি দেখেন, সে যদি অন্তর থেকেই বিশ্বাস করেন যে, এটি হারাম, এটি অপরাধ, এর জন্য তিনি গুনাহগার হচ্ছেন – তাহলে তিনি কবীরাগুনাহগার মুসলিম।
কিন্তু কেউ যদি মনে করেনঃ এসব দেখা বা শোনা অপরাধ নয়, হারাম নয়, বরং তার ঐচ্ছিক ব্যাপার – তাহলে তিনি “হারামকে হালাল বা ঐচ্ছিক গন্য করলেন” বা “ইস্তিহলাল” করলেন, এর ফলে তিনি ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবেন।
[Collected from - IOU]
Post a Comment