জান্নাতের দরজা আটটি এবং জাহান্নামের দরজা সাতটি। এই কথার দলীল সমূহ -
(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি পূর্ণভাবে ওযু করবে এবং (এরপরে) কালিমা শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যেটা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।” সহীহ মুসলিমঃ ১/২০৯, মিশকাতঃ ২৮৯।
(২) মহান আল্লাহর বাণী, “আমার প্রকৃত বান্দাদের উপর তোর (ইবলীস শয়তানের) কোন আধিপত্য চলবে না, শুধুমাত্র তোকে যারা অনুসরণ করে সেই বিভ্রান্ত লোকেরা ছাড়া। আর তাদের সবার জন্য অবশ্যই ওয়াদাকৃত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম। তার (জাহান্নামের) সাতটা দরজা আছে। প্রত্যেক দরজার জন্য তাদের মধ্যে শ্রেণী নির্দিষ্ট আছে।” সুরা আল-হিজরঃ ৪২-৪৪।
জান্নাত এবং জাহান্নামের নামগুলো কি কি? জান্নাত ও জাহান্নাম কোথায়?
ক্বুরআন ও হাদীস থেকে প্রাপ্ত জান্নাতের নামঃ
(১) জান্নাতঃ বাগান। (২) আল-ফিরদাউসঃ ফিরদাউসের বাগান। (৩) দারুস-সালামঃ শান্তির বাসস্থান। (৪) দারুল-খুলদঃ চিরস্থায়ী আবাস। (৫) জান্নাতুন-নাইয়ী’মঃ নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত। (৬) জান্নাতুন-আ’দনঃ চিরস্থায়ী জান্নাত। (৭) জান্নাতুল মাঅ’ওয়াঃ মাঅ’ওয়া জান্নাত। (৮) আল-মাক্বামুল আমীনঃ নিরাপদ ঠিকানা। (৯) মাকয়া’দু সিদক্বীনঃ যথাযোগ্য আসন। (১০) দারুল মুক্বামাহঃ স্থায়ী নিবাসের স্থান।
জাহান্নামের নামগুলো হলোঃ
(১) জাহান্নামঃ জাহান্নাম। (২) আন-নারঃ আগুন। (৩) সাইয়ী’রঃ জ্বলন্ত আগুন। (৪) সাক্বারঃ জাহান্নামের আগুন। (৫) জাহী’মঃ জাহান্নাম। (৬) হাভীয়াঃ প্রজ্বলিত আগুন। (৭) হু’তামাহঃ হু’তামাহ।
জান্নাত এবং জাহান্নামের অবস্থান কোথায়?
ইমাম ইবনে কাসীর, ইমাম বাগাবী ও ইমাম ইবনে রজব (আল্লাহ তাঁদের সকলের প্রতি রহম করুন), একাধিক হাদীস উল্লেখ করেছেন, “জান্নাত হচ্ছে সাত আসমানের উপরে, আর জাহান্নাম হচ্ছে সাত যমীনের নীচে একটি স্থান।” তাফসীরে বাগাবীঃ ৫৪৮/৪, তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ৪৮৬, ৪৮৭/৪। ইমাম ইবনে রজবের ‘জাহান্নাম থেকে ভয় প্রদর্শন’, পৃষ্ঠা ১-৬২। অনুরূপভাবে ইমাম ইবনুল কাইয়িমের ‘হাদীয়ুল আরওয়াহ ইলা বিলাদিল আফরাহ’, পৃষ্ঠা ৮২-৮৪।
Post a Comment