আমরা আগামীকাল, পরশু, আগামী সপ্তাহ, এমনকি আগামী বছর নিয়েও অনেক কিছুই ভাবি এবং প্ল্যানও করি। কিন্তু আমরা ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খেয়াল করি না।
১। আগামীকাল আমি বেঁচে থাকবো এর নিশ্চয়তা কি?
আল্লাহ ﷻ বলেছেন, কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। (সূরা লুকমান:৩৪)
২। আমি যে আগামীকাল নিয়ে সমস্ত প্ল্যান করলাম, সেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কি কি আছে?
আল্লাহ ﷻ বলেছেন, হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; আর প্রত্যেকের উচিত চিন্তা করে দেখা সে আগামীকালের (কিয়ামতের / পরকালের) জন্য কি প্রেরণ করেছে; তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (সূরা হাশর:১৮)
কতশত মানুষ প্ল্যান করেছিলেন-
আগামীকাল থেকে নামাজ পড়বেন, রোজা রাখবেন, মিথ্যা বলবেন না, খারাপ কাজ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু আগামীকাল তাদের জীবনে আসেনি!
কিছুক্ষণ পরে আপনি জীবিত থাকবেন এর কোনো ধরনের নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি নাই। আসমান জমিনের কেউ জানেনা কখন মৃত্যু এসে যায়।
আর তাই কুরআন হাদিসে ভালো কাজ করার, ভালো কাজের নিয়ত করার প্রতি উৎসাহ এবং গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আমাদের পরিকল্পনা এমন হওয়া উচিত:
ফজরের আগেই ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ আদায়ের নিয়ত রাখা, ফজর জাম'আতে আদায় করা।
ফজরের পরে কিছুক্ষণ হলেও কুরআন তিলাওয়াত করা।
কাজকর্মের ব্যস্ততার মাঝেও তাসবীহ পাঠ, যিকর করা, অন্তত ইস্তিগফার বা আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করা।
সামান্য হলেও দান করা, অন্তত নিয়ত রাখা।
যোহর, আসর, মাগরিব, ঈশা অর্থাৎ সকল ওয়াক্তের ফরয নামাজ জাম'আতে পড়ার নিয়ত করা এবং আদায় করা।
সকাল-সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দুয়াগুলো পড়া।
পরিবারকে বিশেষভাবে সময় দেয়া।
ঘরে এবং বাহিরে যতটুকু সম্ভব পরিপূর্ণভাবে সুন্নাতগুলো পালন করা।
দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা, নিয়ত রাখা।
আপাতত এতটুকু দিয়েই শুরু করা যাক আমাদের 'আগামীকাল'।
মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
© মাহমুদ হাসান
Post a Comment