ছেলেদের গাইরতহীনতা!


আচ্ছা, ছেলে মানুষ এতটা গাইরতহীন হয় কীভাবে!মাঝেমধ্যেই দেখি কিছু ভাইয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মা, বোন, স্ত্রীর ছবি শেয়ার করে বেড়ান। আচ্ছা ভাই, আপনাদের কি গাইরত নেই? নিজেদের আত্মমর্যাদা কি সব বন্ধক দিয়ে রেখেছেন?


ছেলে মানুষ হবে গাইরতওয়ালা। পসেসিভ। ‘ন্যারো’ মাইন্ডেড। সে তার মা-বোন-স্ত্রী'দের নন মাহরাম কাউকে দেখতে দেবে না। ছেলেরা হবে তাদের জন্য সুরক্ষা প্রাচীরের মতো, যে তাদেরকে বেগানার চাহনি থেকে নিরাপত্তা দেবে।


কিন্তু ভাইয়েরা, আপনারা কী করছেন? কদিন পরপর তথাকথিত মা দিবস, বউ দিবসের স্লোগান দিয়ে দিয়ে তাদেরকে অনলাইন দুনিয়ায় উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন। নিজেদের মায়েদেরকে, স্ত্রীদেরকে অন্যদের দেখার জন্য সুযোগ করে দিচ্ছেন। কেন ভাই? ঠিক কোন ভালোবাসায় আপনি আপনার মা-বোন-স্ত্রীর ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছেন? আপনাদের কি আত্মমর্যাদা নেই?


আপনাদের মতো লোকদের উদ্দেশ্য করেই আলি ইবনু আবী তালিব (রদিয়াল্লাহু আনহু) প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন—

‘তোমাদের কি লজ্জা নেই? গাইরত নেই? তোমরা নারীদেরকে পুরুষদের মাঝে ছেড়ে দিয়েছ। তারা পুরুষদেরকে দেখছে, পুরুষরাও তাদেরকে দেখছে!’ (কিতাবুল কাবাইর, ১৭১)


ভাই আমার, আত্মমর্যাদাবান হোন। আমাদের নবি মুহাম্মাদ ﷺ আত্মমর্যাদাবান ছিলেন। প্রচন্ড আত্মমর্যাদাবান। আর আমাদের রব সবচেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাবান।


একবার সাহাবি সা’দ ইবনু উবাদা (রদিয়াল্লাহু আনহু) একজনকে বলছিলেন,

‘যদি আমি আমার স্ত্রীর সাথে (গাইর মাহরাম) কোনো পুরুষকে দেখি, তাহলে আমি ত/র/বা/রি দিয়ে তার

গ/র্দা/ন ফেলে দেব।’


এই কথা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে পৌঁছলে তিনি সাহাবিদের উদ্দেশ্য করে বলেন,

‘তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদা দেখে অবাক হচ্ছ? আল্লাহর শপথ! আমি সা’দের থেকেও বেশি আত্মমর্যাদাবান এবং আল্লাহ আমার থেকেও বেশি আত্মমর্যাদাবান।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং - ১৩৯৮)


তাই ভাইয়েরা, এমনটা করবেন না। আপনাদের মা, বোন বা স্ত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে বেড়াবেন না। মানুষের সামনে তাদেরকে উন্মুক্ত করে দেওয়াতে ভালোবাসা নেই। আছে লজ্জাহীনতা, গাইরতহীনতা, দায়িত্বহীনতা।


আচ্ছা, এমনও তো হতে পারে যে, আপনি তাদের যেসব ছবি আপলোড করছেন, কেউ সেগুলো এডিট করে কোনো পর্ন সাইটে আপলোড করে দিল! হতে পারে না?


সচেতন হোন, ভাইয়েরা। আত্মমর্যাদাবান হোন। নিজের মা, বোন আর স্ত্রীর জন্য সুরক্ষা প্রাচীর হোন। তাদের বেইজ্জতির কারণ হইয়েন না।


[সংগৃহীত]

Post a Comment

Previous Post Next Post