ইসলামের পাঁচটি রূকনের মধ্যে ছিয়াম একটি। অর্থাৎ ছিয়াম আমাদের উপর ফরয। আর তা পূর্বের নবী-রাসূলগণ এবং তাদের উম্মতের উপরও ফরয ছিলো। সংক্ষিপ্তভাবে ছিয়ামের গুরুত্ব ও আদাব (করণীয়- বর্জনীয়) নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
■ গুরুত্ব-
১. ছিয়াম আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে। (সূরা বাক্বারাহঃ ১৮৩)
২. ছিয়াম আল্লাহর জন্য এবং এর প্রতিদান আল্লাহ নিজেই (বাড়িয়ে) দিবেন। (মুসলিম ও আহমাদ)
৩. ঈমানের সাথে ও ছাওয়াবের আশায় কেউ ছিয়াম পালন করলে, তার বিগত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (বুখারী, মুসলিম)
৪. ছিয়াম পালনকারী কোন ব্যক্তির মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভির সুগন্ধির চেয়ে উত্তম। (আহমাদ ও মুসলিম)
৫. ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তির 'রাইয়ান' নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার বিশেষ সুযোগ। (বুখারী, মুসলিম)
৬. রমাযান মাসে জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। (বুখারী)
■ আদাব (করণীয়, বর্জনীয়)-
১. মিথ্যা কথা বলা যাবে না। (বুখারী)
২. সকল প্রকার অশ্লীল কর্ম (গান দেখা, গান শুনা, গালি দেওয়া) থেকে বিরত থাকতে হবে। (বুখারী)
৩. ফযরের পূর্বেই ছিয়াম পালনের জন্য (অন্তরে) নিয়্যাত করতে হবে। (তিরমিযী, নাসায়ী)
৪. দিনের বেলায় সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। (সূরা নিসাঃ ৯২)
৫. ইফতার করতে বিলম্ব করা যাবে না। (বুখারী, মুসলিম)
৬. তারাবীর সালাত আদায় করা। (মুসলিম)
৭. শেষ দশ দিনে অধিকহারে আমল করা। (বুখারী)
এছাড়া প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত অবশ্যই আদায় করতে হবে এবং দান- সাদকাহর পরিমাণ বাড়িয়ে অনেক সাওয়াব অর্জন করা যাবে। ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ সুবাহানওয়া তায়ালা যেন আমাদের সকলকে রমাযান মাসের সকল ফযীলত অর্জনের সৌভাগ্য দান করেন। আমীন।
Amin.
ReplyDeletePost a Comment