মু‘তাযিলা (المعةزلة) : এরা আল্লাহকে গুণহীন নামীয় সত্তা মনে করেন। তাঁদের মতে আল্লাহর সত্তা যেমন সনাতন (ক্বাদীম), তাঁর গুণাবলীকেও তেমনি সনাতন মনে করলে ‘শিরক’ করা হবে। সে কারণ তারা বলেন, আল্লাহ ইলম (জ্ঞান) ছাড়াই ‘আলীম’ (সর্বজ্ঞ), কুদরত (শক্তি) ছাড়াই ‘ক্বাদীর’ (সর্বশক্তিমান), হায়াত (জীবন) ছাড়াই ‘হাই’ (চিরঞ্জীব) ইত্যাদি। তারা আল্লাহর নাম ও নামীয় সত্তার (الإسم والمسمى) পার্থক্য করে থাকেন। তাদের কথিত কালেমায়ে শাহাদাতের অর্থ হ’ল- ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি সেই সত্তার যাঁর নাম আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি সেই ব্যক্তির যার নাম মুহাম্মাদ, তিনি আল্লাহর রাসূল’। মু‘তাযিলাগণ ওয়াছিল বিন আত্বা (৮০-১৩১ হিঃ)-এর অনুসারী। এরা ওয়াছিলিয়াহ, হুযাইলিয়াহ, নিযামিয়াহ প্রভৃতি ১২টি উপদলে বিভক্ত। জাহ্মিয়া ও মু‘তাযিলা সকলে ‘মু‘আত্ত্বিলাহ’ (নির্গুণবাদী) বলে অভিহিত।
আশ‘আরিয়া (الأشعرية) : এরা আল্লাহর ‘আলীম’ (সর্বজ্ঞ), ‘ক্বাদীর’ (সর্বশক্তিমান), ‘হাই’ (চিরঞ্জীব), ‘মুরীদ’ (ইচ্ছাকারী), ‘মুতাকাল্লিম’ (কথক), ‘সামী‘ (শ্রোতা), ‘বাছীর’ (দ্রষ্টা)-সহ মোট সাতটি গুণকে স্বীকার করেন ও বাকী সকল গুণকে অস্বীকার করেন। এরা আবুল হাসান আলী বিন ইসমাঈল আশ‘আরীর (২৬০-৩২৪ হিঃ) অনুসারী। ৩০০ হিজরীতে তিনি এই মত পরিত্যাগ করে আহলে সুন্নাতের অনুসারী হন। তবে তাঁর অনুসারী দল পূর্বমতে রয়ে যায়।
বিদ্বানদের দ্বিতীয় দলটি আল্লাহকে নাম ও গুণযুক্ত সত্তা মনে করেন। এই দলের কিছু বিদ্বান বাড়াবাড়ি করে আল্লাহকে মানব দেহের আকৃতি কল্পনা করেন, যারা ‘মুজাস্সিমাহ’ (কায়াবাদী) নামে পরিচিত হয়েছেন। কিছু বিদ্বান আল্লাহর গুণাবলীকে বান্দার গুণাবলীর সদৃশ মনে করে ‘মুশাব্বিহাহ’ (সাদৃশ্যবাদী) নামে অভিহিত হয়েছেন। এদের কেউ কেউ সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার কল্পনা করে ‘সর্বেশ্বরবাদী’ (حلولية) হয়ে গেছেন। এরা বেশ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত।
Note: আল্লাহ পাক অবশ্যই নাম ও গুণযুক্ত সত্তা। তবে তাঁর সত্তা ও গুণাবলী বান্দার সত্তা ও গুণাবলীর সাথে তুলনীয় নয়। বরং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, সেভাবেই তার উপরে ঈমান আনতে হবে।
আশ‘আরিয়া (الأشعرية) : এরা আল্লাহর ‘আলীম’ (সর্বজ্ঞ), ‘ক্বাদীর’ (সর্বশক্তিমান), ‘হাই’ (চিরঞ্জীব), ‘মুরীদ’ (ইচ্ছাকারী), ‘মুতাকাল্লিম’ (কথক), ‘সামী‘ (শ্রোতা), ‘বাছীর’ (দ্রষ্টা)-সহ মোট সাতটি গুণকে স্বীকার করেন ও বাকী সকল গুণকে অস্বীকার করেন। এরা আবুল হাসান আলী বিন ইসমাঈল আশ‘আরীর (২৬০-৩২৪ হিঃ) অনুসারী। ৩০০ হিজরীতে তিনি এই মত পরিত্যাগ করে আহলে সুন্নাতের অনুসারী হন। তবে তাঁর অনুসারী দল পূর্বমতে রয়ে যায়।
বিদ্বানদের দ্বিতীয় দলটি আল্লাহকে নাম ও গুণযুক্ত সত্তা মনে করেন। এই দলের কিছু বিদ্বান বাড়াবাড়ি করে আল্লাহকে মানব দেহের আকৃতি কল্পনা করেন, যারা ‘মুজাস্সিমাহ’ (কায়াবাদী) নামে পরিচিত হয়েছেন। কিছু বিদ্বান আল্লাহর গুণাবলীকে বান্দার গুণাবলীর সদৃশ মনে করে ‘মুশাব্বিহাহ’ (সাদৃশ্যবাদী) নামে অভিহিত হয়েছেন। এদের কেউ কেউ সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার কল্পনা করে ‘সর্বেশ্বরবাদী’ (حلولية) হয়ে গেছেন। এরা বেশ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত।
Note: আল্লাহ পাক অবশ্যই নাম ও গুণযুক্ত সত্তা। তবে তাঁর সত্তা ও গুণাবলী বান্দার সত্তা ও গুণাবলীর সাথে তুলনীয় নয়। বরং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, সেভাবেই তার উপরে ঈমান আনতে হবে।
Post a Comment