কিভাবে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করাবো? (১ম পর্ব)


বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

প্রশংসা আল্লাহ সুবাহানওয়া তা'আলার। শান্তি বর্ষিত হোক রাসূল (সা) ও তার অনুসারীদের উপর।
সকল মুসলিমদের নিকট এতটুকু স্পষ্ট যে, রাসূল (সা) এর আদর্শ অনুসরণে সাহাবীগণ (রা) ছিলেন সবার উর্ধ্বে। আর এজন্যই তাঁরা জীবিত অবস্থায়ই পেয়ে গেছিলেন জান্নাতের সার্টিফিকেট। সাহবাগণ (রা) রাসূলকে (সা) এতটাই অনুসরণ করতেন যে তাদের জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সবকিছুতেই রাসূল (সা) এর আদর্শ খুঁজতেন।

আর রাসূল মুহাম্মদ (সা) এর জীবনটা এরকমই ছিলো যে, সাহাবীগণ যখনই তাঁর কাছ থেকে কিছু নতুনভাবে জানতেন কিংবা অনুসরণ করতেন, তখনই ঐ কাজটা উত্তম মনে হতো। অর্থাৎ এক কথায় রাসূল (সা) এর মধ্যে ছিলো শ্রেষ্ঠ জীবন, অনন্য বৈশিষ্ট্য ও উত্তম আদর্শ।

এজন্যই আল্লাহ সুবাহানহুয়া তা'আলা বলেন,
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর (সা) মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। -[সূরা আহযাব, আয়াত: ২১]

আর তাই মুসলিমদের উত্তম আদর্শ ও শ্রেষ্ঠ যুগ বলতে রাসূল (সা) এর যুগকেই বুঝতে হবে। যে যুগে মুসলিমদের সামনেই ছিলো তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা ও উত্তম আদর্শ মুহাম্মদ (সা)। আর ঐ যুগের পর শ্রেষ্ঠ যুগ হলো খোলাফায়ে রাশেদিন এর যুগ এবং তার পরবর্তীতেই রয়েছে তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনদের যুগ।

অর্থাৎ একজন মুসলিমকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে হলে ফিরে যেতে হবে ঐ প্রাথমিক তিন যুগে। যেই সময়গুলোকে উত্তম হওয়ার সার্টিফিকেট দিয়েছেন রাসূল মুহাম্মদ (সা) নিজেই। আর সেখানে প্রথম পর্যায়ে থাকবে রাসূল (সা) এর যুগ, তারপর খোলাফায়ে রাশেদিন এর যুগ, তারপর তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনদের যুগ।

তাই প্রাথমিক পর্যায়েই একজন মুসলিমের ঐ যুগগুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হতে হবে এবং ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের জীবনে বাস্তবায়নের দৃঢ়তা থাকতে হবে। (ইন শা আল্লাহ)

যখন কেউ বুঝতে পারবে তার জন্য উত্তম আদর্শ রাসূল মুহাম্মদ (সা) ও সাহাবায়ে কেরামগণ (রা), তখন তাকে এটাও বুঝতে হবে যে তাদের যুগে ফিরে যাওয়া আমার কর্তব্য ও লক্ষ্য। আর এই ফিরে যাওয়া হবে ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে। যেখানে এমন কিছু বলার সুযোগ নেই যে এই আধুনিক যুগ থেকে মধ্যযুগে যাওয়ার কি প্রয়োজন? কারণ ইতোমধ্যেই আমি সাক্ষ্য দিয়েছে আমার জন্য উত্তম আদর্শ রাসূল (সা) ও তারা সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যেই নিহিত।

যখন আমার হৃদয়ে এই চুড়ান্ত লক্ষ্য স্পষ্ট হয়ে যাবে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা বৃদ্ধি পাবে। আর যখন আল্লাহর উপর ভরসা বৃদ্ধি পাবে, তখন আল্লাহর সাহায্য আসবে। আর সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।

আল্লাহ সুবাহানহুয়া তা'আলা বলেন,
যে ব্যক্তি আল্লার উপর ভরসা করে তাঁর জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। -[সূা আত-তালাক, আয়াত: ৩]

সুতরাং আমার বিশ্বাস, লক্ষ্য ও আল্লাহর উপর আস্থা যখন নির্ধারণ হয়ে যাবে, তখনই আল্লাহর সাহায্য আসবে। আর তখনই আমার চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে। (ইন শা আল্লাহ)



Post a Comment

أحدث أقدم